ঢাকাশুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১

গার্মেন্টস নিয়ে আবেগঘন ও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন অনন্ত জলিল (ভিডিও )

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ১৩ মে ২০২০ , ১০:০৮ পিএম


loading/img
অনন্ত জলিল

গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও চলচ্চিত্র তারকা নায়ক অনন্ত জলিল গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে আবেগঘন ও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন। বুধবার (১৩ মে) তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া ভিডিও বার্তায় বলেন, একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি তৈরি করতে কতটা পরিশ্রম, অর্থ লগ্নি ও সম্পত্তি ব্যাংকে বন্ধক দিতে হয় তা কেবল একজন গার্মেন্টস উদ্যোক্তাই জানেন।

বিজ্ঞাপন

একজন উদ্যোক্তা যখন ব্যবসা শুরু করেন, তাকে ৩০ থেকে ৬০ কেজি ওজনের ব্যাগ ভর্তি স্যাম্পল নিয়ে বায়ারদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হয়। দেশ ও ফ্যাক্টরি সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলে বায়ারের মন জয়ের চেষ্টা করতে হয়। এভাবে অন্তত এক বছর চলে যায় বায়ারদের মন জয় করতে। কিন্তু এই এক বছর উদ্যোক্তাকে ফ্যাক্টরি চালাতে হয়। এই সময়ে তাকে সমস্ত পুঁজি, সমস্ত সম্পত্তি এমনকি স্ত্রীর গহনা যা থাকে সব বিক্রি করে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠার পেছনে ঢেলে দিতে হয়।

তিনি বলেন, দেশে গার্মেন্টস সেক্টরের দুর্দিন শুরু হয় মূলত রানা প্লাজা ধসের পর থেকে। এর জন্য সারা পৃথিবীতেই আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির তৈরি হয়।

বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে দেশে আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান বায়ারদের সংগঠন অ্যাকর্ড এন্ড অ্যালায়েন্স এর আবির্ভাব ঘটে। তারা বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটি ও ইলেকট্রিক সেফটি অডিট পরিচালনার করার ফলশ্রুতিতে ফ্যাক্টরিগুলো ব্যাপক সংস্কারের কাজে হাত দেয়। এই কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করতে গিয়ে ও অ্যাকর্ড এন্ড অ্যালায়েন্স এর বিতর্কিত কিছু সিদ্ধান্তের কারণে মালিকদের কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয়। অনেক ফ্যাক্টরির মালিক খরচ করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হন, আজ জীবিকার তাগিদে অনেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।

আমার নিজের কথা যদি বলি, আমার একটি ৫ তোলা বিল্ডিং সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলি, ২টি ৮ তলা বিল্ডিং এর ১টি করে ফ্লোর ভেঙে ফেলি। এমনকি একটি ২তলা বিলন্ডিং এর ১টি ফ্লোর ভেঙে ফেলি। সব মিলিয়ে ৪২ হাজার বর্গফুট বিল্ডিং ভেঙে ফেলি। এছাড়া প্রত্যেক বিলন্ডিং এর রেক্টোফিট করা হয়। সব মিলিয়ে ১৮ কোটি টাকা রেকটফিটে লাগে। এই খরচ ৪২ হাজার বর্গফুট ছাড়া। এই সময় মনে হয়েছিল সমস্ত গার্মেন্টস ব্যবসা বন্ধ করে নিয়মিত বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র করি। কারণ এই দেড় বছর সময় প্রতিটা মিনিট কীভাবে কেটেছে তা সহ্য করার ক্ষমতা ছিল না।

অ্যাকর্ড এন্ড অ্যালায়েন্স আসার আগে অন্য একটি ব্যান্ড বায়ারের নির্দেশে ৫ কোটি টাকার খরচ করি। কিন্তু অ্যাকর্ড এন্ড অ্যালায়েন্স আমাকে আবারও আগেরগুলো বাতিল করে নতুন করে খরচ করায়। এই বিপুল বিনিয়োগ করতে গিয়ে অনেকেই ব্যাংক ঋণে জড়ান। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি এই সেক্টর বাঁচাতে চাই।

বিজ্ঞাপন

পাঠক, অনন্ত জলিলের পুরো বক্তব্যটি শুনতে ভিডিওতে ক্লিক করুন….

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |