বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রচারণার জন্য প্রায় এক বছর আগে এক শিক্ষকের ব্যক্তিগত আইডি থেকে খোলা হয় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ফেসবুক পেজ। ক্রমেই ওই পেজকে অফিশিয়াল পেজ বলে স্বীকৃতি দেয় গবি প্রশাসন। তবে সম্প্রতি সেই পেজটি হ্যাকারদের কবলে পড়েছে। এরপর থেকেই পেজটিতে অসঙ্গতিপূর্ণ ও অসামঞ্জস্য প্রোফাইল, কাভার ফটো ব্যবহার এবং পোস্ট দেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, অপেশাদারিত্ব ও গাফিলতির মধ্য দিয়েই গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজটি নিয়ন্ত্রিত হতো। এই কারণেই পেজটি হ্যাক হয়ে যায়।
এদিকে ৭ মে সকালে এই বিষয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে সাইবার সিকিউরিটি বিভাগে বিষয়টি অবহিত করেছে গবি প্রশাসন। এরপর মঙ্গলবার (৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুক পেজটির যেকোনো ধরনের পোস্ট কিংবা মেসেজ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়।
এই বিষয়ে পেজটির এডমিন ও সিএসই বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মো. আতিকুর রহমান জানান, এক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচারণার জন্য আমার আইডি থেকে এই পেজটি খুলি। আমি ছাড়াও আরও তিনজন এডমিন ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, পেজটি খোলার সময় ভেরিফাই করা হয়নি। তখন শুধু ই-মেইলের মাধ্যমে ফেসবুক কর্মকর্তাদের জানিয়ে রেখেছিলাম, তবে টেকনিক্যাল ইস্যুর কারণে তাদের কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।
পেজটির আরেক এডমিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামার মো. সাদ্দাম হোসাইন রুবেল বলেন, একটা ওয়েবসাইট যখন খোলা হয়, তখন তার যাবতীয় সিকিউরিটি সিস্টেম আমাদের কাছেই থাকে। তখন কেউ সিস্টেম ব্রেক করতে গেলে বিষয়টি দ্রুত দৃষ্টিগোচর হবে এবং তা করাটাও যথেষ্ট কষ্টসাধ্য।
তবে ফেসবুক পেজের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, যেহেতু অফিসিয়াল পেজ ছিল, তাই ভেরিফাই করা জরুরি ছিল। কিন্তু ফেসবুকের নিজস্ব কিছু নীতিমালা আছে, যা পূর্ণ না হওয়ায় ভেরিফাই করা সম্ভব হয়নি।
পেজের আরেক এডমিন এবং বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রধান সিনিয়র অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হোসেন বলেন, এই পেজ খোলার সময় থেকেই বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। পেজটি অন্য একজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে খোলা হয়েছিল। ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর, ই-মেইল সবই ছিল ব্যক্তিগত। কার তথ্য দিয়ে এটি খোলা হয়েছে, তাও আমি নিশ্চিত না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ বলেন, আমি আসার আগে হয়তো কেউ খুলেছে। আমি জানলে অনেক আগেই সিকিউরিটির বিষয়টি নিশ্চিত করতাম। থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে ও সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ এবং ফেসবুকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন।