হলিউড অভিনেতা ও প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগ করে লেখা নিবন্ধের মাধ্যমে মানহানি করেন অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড।
গত বুধবার (১ জুন) এ সংক্রান্ত মামলার রায় দেন একটি মার্কিন আদালতের জুরি সদস্যরা। এর আগে ছয় সপ্তাহ ধরে ভার্জিনিয়া আদালত ডেপ এবং হার্ডের অসুখী দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি টানা সম্পর্কে বিশদ বিবরণ শোনেন আদালত।
তারপর মিথ্যা অভিযোগে জনি ডেপের মানহানি হওয়ায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে, ১৫ মিলিয়ন ডলার প্রদান করতে অ্যাম্বার হার্ডকে নির্দেশ দেন আদালত।
তবে ৩৬ বছর বয়সী অ্যাম্বার হার্ড ৫৮ বছর বয়সী ডেপের বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগের মধ্যে একটি জিতেন এবং তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ মিলিয়ন ডলার দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০১৭ সালে হলিউডের এই তারকা জুটি বিবাহবিচ্ছেদ করেছিলেন।
এদিকে মামলায় হেরে যাওয়ার পর অ্যাম্বার দাবি করেছেন, টাকা দিয়ে পোষা সাক্ষীর কারণেই জনি ডেপ জিতেছেন। এমনকি বিচারকদের পক্ষপাতিত্বের কারণে ন্যায়বিচার পাননি বলেও দাবি তার। আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, এত টাকা দিতে পারবেন না।
এবার অ্যাম্বার হার্ড বললেন, তিনি এখনও জনি ডেপকে ভালোবাসেন। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি এখনও তাকে ভালোবাসি। পুরো হৃদয় দিয়ে ভালোবাসি। আমি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম, পারিনি। আমার তাকে নিয়ে কোনো খারাপ অনুভূতি নেই কিংবা খারাপ ইচ্ছেও নেই।’
অ্যাম্বারের এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে প্রচুর ট্রল হচ্ছে। কারণ, কদিন আগেই তিনি জনিকে হারানোর জন্য, তার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য একের পর এক অভিযোগ করেছেন। সেই তিনিই এখন মামলায় হেরে সুর পাল্টে ফেললেন।
প্রসঙ্গত, বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বহু আমেরিকানের কাছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বা মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রত্যাশিত গর্ভপাতের সম্ভাব্য ঐতিহাসিক রায়ের চেয়ে সাবেক এই তারকা দম্পতির আইনি নাটকে বেশি মনোযোগ ছিল।
এ মামলার বিচার কার্যক্রম টেলিভিশন এবং সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, যা বিলিয়ন বার দেখা হয়েছে৷
তাই বিচারকরা সিদ্ধান্তে আসেন যে, জনি ডেপের বিরুদ্ধে অ্যাম্বার হার্ডের বিবৃতি 'মিথ্যা' এবং তিনি মূলত 'বিদ্বেষ' থেকে এ কাজ করেছেন।
সূত্র: ভ্যারাইটি, ভাষান্তর-কুদরত