নিজের সৌন্দর্য এবং প্রতিভা বিকাশের মূল্যায়নে ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন নারীরা। কিন্তু সেই প্ল্যাটফর্মেই যদি তারা হয়রানির শিকার হন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিযোগিতার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। সম্প্রতি নারীদের পোশাক খুলে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার ‘মিস ইউনিভার্স’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায়।
‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন নারী প্রার্থী অভিযোগ করেন, তাদের পোশাক খুলে হয়রানি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তারা পুলিশকে জানিয়েছেন এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন।
ওই প্রতিযোগীদের আইনজীবী মেলিসা অ্যাংগ্রেনি বলেছেন, গত ৩ আগস্ট সুন্দরী প্রতিযোগিতার ফাইনালের দুই দিন আগে প্রতিযোগীদের ‘শরীর পরীক্ষা’ এবং ছবি তোলার জন্য তাদের টপস (বক্ষাবরণের বিশেষ পোশাক) খুলে ফেলতে বলা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তিনজন প্রতিযোগী তার শরণাপন্ন হয়েছেন। তার মতে, আরও অনেকে (প্রতিযোগী) এগিয়ে আসবেন।
আয়োজকরা অভিযোগকারী নারীদের বলেছিলেন যে, তাদের শরীরের দাগ, বিকৃতি বা ট্যাটু পরীক্ষা করতে হবে।
গণমাধ্যমে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া একজন প্রতিযোগী বলেছেন, আমি মনে করি যে এতে আমার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এটা আমাকে মানসিকভাবে অনেক প্রভাবিত করেছে। বলা চলে, এখন রাতে আমার ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছে।
তবে স্থানীয় টেলিভিশন তাদের পরিচয় প্রকাশ না করার জন্য সম্প্রচারের সময় প্রতিযোগীদের মুখ ঝাপসা করে দেয়।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার পুলিশ একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন যে, তারা এ ব্যাপারে আরও তদন্ত করবে।
এ ছাড়া মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়া সংস্থার মালিক সেলিব্রিটি পপি ক্যাপেলা এক বিবৃতিতে বলেছেন, তারা এ অভিযোগের তদন্ত করবে। এ সুন্দরী প্রতিযোগিতার মূল সংস্থা গ্লোবাল মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনও বলেছে যে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
সূত্র : বিবিসি