হ্যারি পটারের বই চুরির ১৭ বছর পর ফেরত দিলেন চোর
ভারতের কেরালা রাজ্যের যুবক রিস থমাস, চুরির ১৭ বছর পর দোকানে এসে ফেরত দিলেন হ্যারি পটারের বই। যা শুনে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হলেন লেখক যে কে রাউলিং।
হ্যারি পটার লিখে পৃথিবী নেড়েচেরে দিয়েছিলেন রাউলিং। সিরিজের সাতটি উপন্যাসই লুফে নিয়েছিলেন বইপ্রেমীরা। যারা কখনও বই পড়েননি তারাও উল্টে দেখেছেন হ্যারি পটারের পৃষ্ঠা। ফলে বিখ্যাত হতে সময় লাগেনি রাউলিংয়ের।
এদিকে সিরিজটির ৬টি বই শেষ দিয়েছিলেন কিশোর থমাস। শেষ বই ‘দ্য ডেথলি হ্যালোজ’ এলেও কিনতে পারছিলেন না টাকার অভাবে। আর তাই দোকান থেকে চুরি করেন বইটি।
সময়টা ,২০০৭ সাল। সে ঘটনার পর কেটে গেছে ১৭ বছর। থমাস এখন যুবক। চাকরি করছেন। অতীতের অনেক স্মৃতি ফিকে হলেও পিছু ছাড়েনি বই চুরির স্মৃতিটি। যদিও থমাস জানিয়েছেন বন্ধুদের উস্কানি ও পটারের প্রতি ভালোবাসা তাকে বাধ্য করেছিল কাণ্ডটি ঘটাতে। বিবেকের সম্মতি ছিল না; যা আজও দংশন করছে তাকে। তা থেকে মুক্তি পেতেই ১৭ বছর পর বইটি বগলদাবা করে ছোটেন ‘নিউ কলেজ বুক স্টল’ নামের সেই দোকানে। দোকানিকে খুলে বলেন সব।
থমাসের এমন কথা শুনে তো অবাক দোকানি! তাই বলে রাগ করেননি তিনি। বরং ১৭ বছর আগের চুরি করা বইটির মূল্য পরিশোধ করতে চাইলেও তা নেননি তিনি। উল্টো বইটি থমাসকে উপহার দেন।
ঘটনাটি দোকানি ও থমাসের মধ্যেও সীমাবদ্ধ থাকেনি। উঠে এসেছে সংবাদয়ামধ্যমের পাতায়। যা পৌঁছেছে জে কে রাউলিংয়ের কানে। নিজের বই ঘিরে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে পারেননি। কিবোর্ডে আঙুল চেপে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন অনুভূতি।
এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আমি জানি এর ফলে আমাকে বই চুরিতে উৎসাহ দেওয়ায় অভিযুক্ত করা হবে। তাই দয়া করে কেউই বই চুরি করবেন না। বই চুরি করা খুব খারাপ। যাই হোক, এটাই আজকের সবচেয়ে সুন্দর ব্যাপার, যেটা আমার দিনটাকেই সুন্দর করে তুলল।
এদিকে হ্যারি পটারের স্রষ্টার প্রতিক্রিয়া শুনে যারপরনাই আনন্দিত থমাস। তিনিও মনের কথা তুলে ধরেছেন নেটদুনিয়ায়। লিখেছেন, বহু বছর আগে আমি একটা কীর্তি করেছিলাম। যেটা আজ গোটা বিশ্ব জেনে গেল। সবচেয়ে বড় কথা, এটা তার কাছেও পৌঁছেছে… এক এবং একমাত্র জে কে রাউলিং, মাস্টারপিস হ্যারি পটারের লেখিকা। তিনিও আমার গল্পটা জানেন। এটাই আমার দিনটাকে সুন্দর করে তুলল।
জানা গেছে, সেদিনের বই চোর থমাস নিজেও একজন লেখক হয়ে উঠেছেন। লিখেছেন ‘৯০’স কিড’ নামে একটি বই।
মন্তব্য করুন