জুয়েলের পথচলাটাই ছিল সুন্দর: ফাহমিদা নবী
‘সেদিনের এক বিকেলে’, ‘চিলেকোঠায় এক দুপুরে’, ‘ওগো চন্দ্রদ্বীপের মেয়ে’, ‘কোথায় রাখো আমাকে’ ও ‘ফিরতি পথে’ শিরোনামের গানগুলো আর কখনও শোনা যাবে না হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের কণ্ঠে। কারণ, ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে এই শিল্পী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের সংগীতানুষ্ঠানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গণমাধ্যমে নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী বলেছেন, জুয়েল ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলে গেল, ভাবতেই পারছি না। আমাদের সবাইকে তো একদিন চলে যেতে হবে। শাফিন ভাইয়ের পরপরই জুয়েলের মৃত্যু! একসঙ্গে দুটি মৃত্যু মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। খারাপ লাগছে। আমরাও শক্ত হচ্ছি। আমাদেরও চলে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেছেন, জুয়েলের কিছু গান আছে এখনও শ্রোতারা মনে রেখেছে। সে সবসময়ই ভালো গান গাওয়ার চেষ্টা করত। বিরহের গানই বেশি গাইত। প্রত্যেকটি গানই একটি মাত্রা রাখে। গানের কথা, সুরে ভিন্নতার ছাপ ছিল।
‘লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প’ গানের এই শিল্পী বলেন, আমার খালুর (কাওসার আহমেদ চৌধুরী) বাসায় জুয়েলকে প্রথম দেখি। ১৯৯৮ সালের কথা। খালু বললেন, ‘একটা ছেলে গান ভালোবাসে, গান গাইতে চায়’। ওই দিনই শুনলাম জুয়েলের কণ্ঠের গান। কি মিষ্টি গলা! ধীরে ধীরে আমরা কলিগ হলাম। তার ইভেন্টেও কিছু কাজ করেছি। লন্ডনে জুয়েল কিছুদিন ছিল চিকিৎসার জন্য। সেখানেও দেখা হয়েছিল।
ফাহমিদা নবী বলেন, আমার উপস্থাপনায় ‘সুরের আয়না’ নামে একটি অনুষ্ঠানে তাকে ডেকেছিলাম। অনেক কথা হলো সেই অনুষ্ঠানে। অসাধারণ কিছু গান শুনলাম। তার অস্থিরতায় মিশে যাওয়ার মানসিকতা কখনই ছিল না। পথচলাটাই ছিল সুন্দর। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে তার লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে জুয়েলের। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমশ সংক্রমিত হয়। সর্বশেষ গত ২৩ জুলাই রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখান থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই সংগীতশিল্পী।
মন্তব্য করুন