দেশীয় চলচ্চিত্রের পরিচিত নাম আলেকজান্ডার বো। অসংখ্য ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি। এই অভিনেতা ১৯৯৫ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লম্পট’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন। পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘ম্যাডাম ফুলি’ সিনেমাতে শিমলার বিপরীতে আলেকজান্ডারের অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়। এরপরের গল্প কারও অজানা নয়।
পারফর্মিং আর্টস এবং মার্শাল শৃঙ্খলার প্রতি তার আজীবন নিবেদনের স্বীকৃতিস্বরূপ ও বিচারক হিসেবে ‘হিরণ কিরণ লাইফটাইম-অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন এক সময়ের পর্দা কাঁপানো এই অভিনেতা। এই আয়োজনে বিচারকের ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। থিয়েটারের সভাপতির হাত থেতে এ পুরস্কার নেন তিনি।
এমন সম্মাননায় চলচ্চিত্র পরিবেশনায় মার্শাল আর্টকে অগ্রণী একীভূতকরণ এবং একজন পরামর্শদাতা, সাংস্কৃতিক দূত এবং শিল্প নেতা হিসেবে চলমান সেবার প্রতি অটল প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন বলে মনে করেন আলেকজান্ডার।
আলেকজান্ডার বো-কে তার সমসাময়িকদের থেকে আলাদা করে তোলে অভিনয়ে মার্শাল আর্টের অনন্য সংমিশ্রণ। একজন দক্ষ এবং সার্টিফাইড কারাতে প্রশিক্ষক এবং বিচারক হিসেবে মার্শাল আর্টে তার দক্ষতা বাংলাদেশি সিনেমায় খুব কমই দেখা যায় এমন সত্যতা এবং শারীরিক নির্ভুলতার স্তর নিয়ে আসে। অ্যাকশন কোরিওগ্রাফি, শৃঙ্খলা এবং চরিত্র ব্যাখ্যার এই মিশ্রণ চলচ্চিত্রের গল্প বলার ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি শারীরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য অভিনেতাদের একটি প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে।
আরটিভি/এএ/এস