ঢাকাসোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

আমাদের পেছনে তো পুলিশ দৌড়ায় না: বাপ্পারাজ

আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ , ০১:০৪ পিএম


ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা বাপ্পারাজ। ক্যারিয়ারে অসংখ্য রোমান্টিক সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে দর্শকের কাছে অভিনেতা বাপ্পারাজ মানেই ব্যর্থ প্রেম বা ট্র্যাজিডির গল্প! অর্থাৎ ত্রিভুজ প্রেম বা স্যাক্রিফাইসের গল্প নির্ভর সিনেমাগুলোর কারণে আজও এই নায়ক বেশ জনপ্রিয়!

বিজ্ঞাপন

বেশ অনেকদিন ধরেই নতুন কোন কাজ নিয়ে পদ্দ্রায় দেখা নেই বাপ্পারাজের। পর্দার বাইরে খুব একটা দেখা মেলে না তার। ব্যক্তিজীবন নিয়েও চেষ্টা করেন নীরবে, লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে। যে কারণে ক্যারিয়ারজুড়েও খুব একটা সংবাদের শিরোনাম হননি এই নায়ক। 

অভিনয়ের বাইরে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। বাপ্পারাজ এদিক থেকেও ছিলেন ব্যতিক্রম। কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, ভবিষ্যতেও রাজনীতিতে জড়াতে চান না এই নায়ক। 

বিজ্ঞাপন

তিনি মনে করেন, শিল্পীদের রাজনীতি করা উচিত নয়। আর যদি কেউ রাজনীতিতে জড়াতে চান, তাহলে যেন অভিনয় থেকে অবসর নেন। 

বাপ্পারাজ বলেন, শিল্পীদের রাজনীতি করা উচিত না। যদি করতেই হয়, তাহলে অভিনয় ক্যারিয়ার থেকে অবসর নিয়ে করা যেতে পারে। একটা পেশায় যুক্ত থেকে যখন কেউ রাজনীতিতে যুক্ত হয়, তখন সে নানাবিধ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। অন্যের তোষামোদ করতে হবে; যেটা ইদানীং হয়েছে। আমাদের শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই (রাজনৈতিক) সুযোগ নিত। সুযোগ নিতে গিয়েই তারা বিপদে পড়েছে।

নিজের প্রসঙ্গে এই অভিনেতা বলেন, আমি কখনো রাজনীতি করিনি, এখনো করি না, ভবিষ্যতেও করব না। আমি অনেক অনুষ্ঠানে গিয়েছি। দাওয়াত দিলে আওয়ামী লীগের পার্টিতে গিয়েছি, বিএনপির পার্টিতেও গিয়েছি, ছবি তুলেছি। কিন্তু আমাদের পেছনে তো পুলিশ দৌড়ায় না। আমাদের তো কেউ বলে না, তুমি এটা করছ কেন বা ওটা করলা কেন? কারণ, আমি কখনো সুযোগ নিতে চাইনি। পেশাগত কাজটাই করে গেছি।’

বিজ্ঞাপন

সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক কারণে শিল্পীরা হেনস্তা হলেও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নীরব ভূমিকা পালন করছে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে সংগঠনটি।

বিজ্ঞাপন

সমিতির কার্যক্রম নিয়ে বাপ্পারাজ বলেন, কিছু লোক যুক্ত হওয়ার পর শিল্পীদের সংগঠনটি একটা দলের চাটুকার হয়ে গিয়েছিল। শিল্পীদের নয়, মনে হচ্ছিল কোনো দলের মুখপাত্র হিসেবেই কাজ করছে। বাইরের লোকজনকে এনে মালা পরানো হতো। আমাদের নিয়ে গিয়ে বলা হতো, তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। অন্যের স্বার্থ হাসিলের জন্য তার পাশে গিয়ে ছবি তোলা তো শিল্পীদের কাজ না। অবস্থা এমন দাঁড়াল, স্বার্থের জন্য আমি যাব, ফায়দা হাসিল করব—এই কারণেই এসব তোষামোদি করে গেছে। এমন তো হওয়ার কথা ছিল না।

আরটিভি/এএ/এআর

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |