পুরো রমজান মাসজুড়েই তীব্র যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিক্সার বাড়তি চাপ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে নগরবাসীর দুর্ভোগ।
বছরজুড়েই যানজট রাজধানীবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী হলেও রমজান মাসে তা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। সকাল, দুপুর কিংবা রাত রাজধানীর প্রধান সড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। বিশেষ করে বিভিন্ন মার্কেট ও আশপাশের এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির যাতায়াত এবং অপর্যাপ্ত পার্কিং কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে নগরবাসীর দুর্ভোগ।
এদিকে ঈদে কেনাকাটার জন্য প্রতিদিন ঢাকা আসছেন অনেকেই। এছাড়া রমজানে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় রিক্সার সংখ্যা। বাইরের জেলা থেকে অনেক মৌসুমী রিক্সাচালক রাজধানীতে আসেন বাড়তি রোজগারের আশায়।
ঈদকে কেন্দ্র করে ফুটপাতেও বসে নানা দোকান যা অন্য সময় দেখা যায়না। বিপনিবিতান, রাস্তা, ফুটপাত কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সব জায়গায় মানুষের স্রোত। আবার এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মৌসুমী ভিক্ষুকের উৎপাত। সব মিলিয়ে বাড়তি মানুষের ভিড়ে জর্জরিত ঢাকা শহর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলছেন, রোজার সময় গ্রামাঞ্চলে নিম্ন আয়ের মানুষের তেমন কাজ না থাকায় বাড়তি উপার্জনের আশায় ঢাকায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ লাখ মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায়। আর তাই রমজানে রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ কমাতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এই সমাজবিজ্ঞানী।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়তি উপার্জনের আশায় রিক্সাচালকসহ নানা পেশার নিম্ন আয়ের মানুষের ঢাকায় আসা এবং মার্কেট ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপে অসহনীয় পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আর এ পরিস্থিতি উত্তরণে টেকসই সমাধানের পথ খোঁজা দরকার বলে মনে করেন তারা।
আরকে/এএইচ