ঢাকাশুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চার দাবিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ , ০৬:৩০ পিএম


loading/img
সংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতির এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন, ছবি: সংগৃহীত

বেতন স্কেল ও টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সারাদেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা। তাদের দাবি পূরণে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন।

বিজ্ঞাপন

তাদের এই কর্মবিরতির ফলে দেশের ১ লাখ ২০ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কেন্দ্রের টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। 

তাদের দাবিগুলো হলো, টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৬তম থেকে ১৪ত গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের গ্রেডে উন্নীতকরণ। স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানের জন্য ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ট্রেনিং চালুকরণসহ ট্রেনিং-পরবর্তী অটো ১১তম গ্রেডে আপগ্রেডেশন। প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য ১ জন প্রতি পুরোনো ওয়ার্ডের জন্য ২ জন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ দান এবং স্বাস্থ্য সহকারীদের জব ডেসক্রিপশন তথ্য ব্যবস্থাপনার (এমআইএস) মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগের ওয়েবসাইট নীড়ের পাতায় অন্তর্ভুক্তকরণ।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. এনায়েত রাব্বি লিটন বলেন, ৭০ দশকে পরীক্ষামূলকভাবে এ সকল স্বাস্থ্য সহকারীদের শুধু বসন্ত ও ম্যালিরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব এককভাবে প্রদান করেন। স্বাস্থ্য সহকারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে দেশ থেকে বসন্ত নির্মূল ও নিয়ন্ত্রিত হয়। বসন্ত ও ম্যালিরিয়া রোগ এই সফলতায় ১৯৭৯ সালে ৭ এপ্রিল চালু করা হয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)। 

এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ১ লাখ ২০ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কেন্দ্রের কর্মসূচি এককভাবে স্বাস্থ্য সহকারীদের উপর ন্যস্ত করা হয়। টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্য সহকারীগণ বর্তমানে ১০ মারাত্মক সংক্রামিত রোগের (শিশুদের যক্ষ্মা, পোলিও, ধনুষ্টংকার, হুপিংকাশি, ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও হাম-রুবেলা) টিকা প্রদান করা হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রজাতন্ত্রের পদোন্নতিবিধি অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী ৩ থেকে ৭ বছর পরপর পদোন্নতি পান। কিন্তু একজন স্বাস্থ্য সহকারী ২০ বছরেও পদোন্নতি পেয়ে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক হতে পারেন না। যদিও পদোন্নতি পান তালে স্বাস্থ্য পরিদর্শক হতে আরও কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ বছর অপেক্ষা করতে হয়। অনেকে এমন সময় পদোন্নতি পান, যখন চাকরির বয়স বাকি থাকে মাত্র ৫ থেকে ৬ মাস। তবে পদোন্নতি হলেও বেতন বাড়ে না এক পয়সাও। উপরন্তু বদলি করা হয় অন্য জেলা কিংবা উপজেলায়। 

বিজ্ঞাপন
Advertisement

এনায়েত রাব্বি লিটন বলেন, তাই বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদার দাবিতে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারিতে থেকে ইপিআই কার্যক্রম ও ২৯ ফ্রেরুয়ারি থেকে শুরু হওয়া হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জনসহ স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের সমন্বয়ে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। ফলে দেশের ১ লাখ ২০ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কেন্দ্রের টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ থাকবে।
পি
 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |