ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত

হাফেজ মাওলানা নাসির উদ্দিন

শুক্রবার, ০৭ জুলাই ২০১৭ , ০৩:৪৮ পিএম


loading/img

সিয়াম বা রোজা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম মাধ্যম। কারণ রোজার মাধ্যমে আল্লাহকে বেশি খুশি করা যায়। রমজানের রোজা ছিল বান্দার জন্য ফরজ। আর শাওয়াল বা চান্দ্রমাসের ১৩-১৫ তারিখের  রোজা হলো সুন্নত বা নফল রোজা। তবে রোজাগুলোতে সওয়াব অনেক বেশি।

বিজ্ঞাপন

শাওয়ালের রোজার বেশি সওয়াবের কারণ হলো, যদি কোনো চাকরিজীবীর নির্ধারিত বেতনের পরও কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত হাদিয়া/বকশিস দেয়, তাহলে ওই ব্যক্তি আরো বেশি খুশি হন। ঠিক তেমনিভাবে বান্দা যখন অতিরিক্ত রোজা বা আমল করেন, তখন আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতি বেশি খুশি হন। আসুন ছয় রোজা সম্পর্কে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি বলেছেন জেনে নেই।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যিনি রমজান মাসে ফরজ রোজা পালন করলেন, অতপর শাওয়াল মাসে আরো ছয় দিন রোজা পালন করলেন, তিনি যেন সারা বছর ধরে রোজা রাখলেন।(মুসলিম শরিফ, হাদিস : ১১৬৪)

বিজ্ঞাপন

হযরত সাওবান (রা.) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে রমজানের রোজা দশ মাসের আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দু’ মাসের রোজার সমান। সব মিলিয়ে এক বছরের রোজা।(নাসায়ী শরিফ)

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, যেকোন কারণে রমজানের রোজা ভেঙে ফেললে শাওয়াল মাসে কাজা রোজা আগে রাখবে, নাকি ছয় রোজা আগে রাখবে। আবার এই রোজা রাখলেই কি কাজা রোজা আদায় হয়ে যায়, নাকি আলাদা আলাদাভাবে রাখতে হবে?

উত্তর হলো, ফরজের কাজার সঙ্গে যেহেতু নফলের নিয়ত করা যায় না, তাই কাজা রোজা ও ছয় রোজা আলাদা আলাদাই রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

শাওয়ালের রোজাগুলো লাগাতার রাখা যায়, আবার বিরতি দিয়েও রাখা যায়। যার যেভাবে সুবিধা তিনি সেভাবেই রাখতে পারবেন। তবে শাওয়াল মাসের মধ্যেই যেন শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

আসুন আমরা সবাই শাওয়াল মাসের ছয় রোজার আমল করি এবং সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব হাসিল করি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে যেন আমল করার তওফিক দান করেন।(আমিন)

কে/এমকে 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |