দ্বিতীয়বার চেষ্টা করেও মহাকাশে গুপ্তচর উপগ্রহ পাঠাতে পারল না উত্তর কোরিয়া। উৎক্ষেপণের আগেই উপগ্রহ ধ্বংস। এর আগেও একইভাবে তারা একটি রকেট মহাকাশে পাঠাতে চেষ্টা করেছিল। সেই রকেটটিও সমুদ্রে ভেঙে পড়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ভোরে উত্তর কোরিয়ার রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে একটি গুপ্তচর উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর চেষ্টা হয়।
কিমের প্রশাসন জানিয়েছে, রকেট উৎক্ষেপণের প্রথম দুইটি স্তর ঠিক ছিল। কিন্তু তৃতীয় স্তরে পৌঁছে হিসেবের গণ্ডগোল হওয়ায় রকেটটি ভেঙে পড়ে।
রকেট উৎক্ষেপণ সফল না হলেও উত্তর কোরিয়ার এই চেষ্টা নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া সকলেই এর তীব্র নিন্দা করেছে। আমেরিকা জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই কাজ জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের বিরোধী। নিঃশর্তে উত্তর কোরিয়াকে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। উত্তর কোরিয়া অবশ্য এখন পর্যন্ত এর কোনো জবাব দেয়নি। তবে তারা জানিয়েছে, আগামী অক্টোবরে ফের তারা উপগ্রহটি পাঠানোর চেষ্টা করবে।
আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, উত্তর কোরিয়া যে উপগ্রহটি পাঠানোর চেষ্টা করছে তা আমেরিকার ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য। যদিও উত্তর কোরিয়া এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি। বস্তুত, এদিন দক্ষিণ কোরিয়াকে জানিয়েই তারা রকেট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু রকেট উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণের মধ্যেই জাপানে নিরাপত্তার অ্যালার্ম বেজে ওঠে।
জাপান জানিয়েছে, রকেটটির ভাঙা অংশ ইয়েলো সমুদ্র, পূর্ব চীন সমুদ্র এবং প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে। বস্তুত, জাপানের খুব কাছেই রকেটের ভাঙা অংশ পড়েছে। উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, কেন রকেটটি দ্বিতীয়বার সাফল্য পেল না তা তদন্ত করে দেখা হবে।
এদিকে আমেরিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাইডেনের মন্ত্রণালয় গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আমেরিকা এই কাজ কোনোভাবেই সমর্থন করছে না। অন্যদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রীও জানিয়েছেন, তারা উত্তর কোরিয়ার এই কাজ কোনোভাবেই সমর্থন করেন না। এটি জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের বিরোধী কাজ।
এদিকে ঠিক তিনদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকা যৌথ সেনা মহড়া শুরু করেছে। তার উত্তরেই উত্তর কোরিয়া একাজ করার চেষ্টা করেছে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে।