নাইজেরিয়ার একটি স্কুল থেকে ১১০ জন ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ও বিমান অভিযান চালাচ্ছে। ওই ছাত্রীদের জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম অপহরণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
গেলো ১৯ ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ইয়োবে প্রদেশের দাপচি শহরের ওই স্কুলে বোকো হারামের জঙ্গিরা ঢুকে পড়ে। এরপরই মূলত ওই ছাত্রীদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি একটি ‘জাতীয় বিপর্যয়’ উল্লেখ করে অপহৃত ছাত্রীদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
সবশেষ এই অপহরণের ঘটনায় ২০১৪ সালের চিবক স্কুলছাত্রীদের স্মৃতিটা তাজা করে দিয়েছে।
এই অপহরণের ঘটনা এমন এক সময় ঘটলো যখন গেলো মাসেই দাপচির গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্ট থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে নেয়া হয়।
চিবক থেকে ২৭৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের দাপচি শহরে সরকারি বালিকা বিজ্ঞান ও টেকনিক্যাল কলেজে হামলার পর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পাশে থাকা ঝোপঝাড়ে আশ্রয় নেয়।
স্থানীয়রা বলছেন, পরে সেনাবাহিনীর সহায়তা জঙ্গিদের মোকাবেলা করে নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী।
তবে কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে এই অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করে। তারা তখন জানায়, হামলাকারীদের থেকে বাঁচতে ওই শিক্ষার্থীরা লুকিয়ে আছে। কিন্তু পরে তারা স্বীকার করে, ওই হামলার পর থেকেই ১১০ ছাত্রীকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল বোর্নো প্রদেশের চিবকে একটি সরকারি স্কুলে হামলা চালিয়ে ২৭৬ জন ছাত্রী অপহরণ করে বোকো হারাম। পরবর্তী কয়েক মাসে ৫৭ ছাত্রী পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পরে রেডক্রসের মধ্যস্থতার ছাড়া পায় আরও ১শ’ জন ছাত্রী। তবে বাকি ছাত্রী ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত।
আরও পড়ুন:
- আইএস জঙ্গি সন্দেহে ভারতীয় বংশোদ্ভূতসহ আটক দুই
- আজীবন ক্ষমতায় থাকতে সংবিধান সংশোধন করছেন প্রেসিডেন্ট শি
এ/পি