ঠাকুরগাঁওয়ে অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মিলন হোসেন নামের এক যুবককে অপহরণ করে একটি চক্র। অপহরণ চক্রের দাবি অনুযায়ী, ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলেও কলেজপড়ুয়া ছেলের লাশ পেল পরিবার।
ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকায় বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলেজছাত্র মিলনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার একজন হলেন—সদর উপজেলার শিবগঞ্জ মহেশপুর বিট বাজার এলাকার মো. মতিয়র রহমানের ছেলে মো. সেজান আলী। অপরজনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। মিলন হোসেন দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাও এর চাপাপাড়া এলাকার পানজাব আলীর ছেলে।
জেলা পুলিশ সুপার বলেন, প্রযুক্তির সহযোগিতায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা স্বীকার করেছে, অপহরণের শিকার কলেজছাত্র মিলনকে হত্যা করেছে। গ্রেপ্তার সেজান আলীর বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের নিচ থেকে মিলনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজপড়ুয়া মিলনকে অপহরণ করে একটি চক্র। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মিলন। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায় চক্রটি। প্রথমে মুক্তিপণের জন্য ৩ লাখ টাকা চায় অপহরণকারীরা। পরে চক্রটি আরও ৫ লাখ দাবি করে। দফায় দফায় টাকার পরিমাণ বাড়াতে বাড়াতে সবশেষ ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। গত ৯ মার্চ রাতে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা অপহরণকারী চক্রের কাছে বুঝিয়ে দেন মিলনের বাবা পানজাব আলী।
আরটিভি/এআর/এস