বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্তার মালিক কানাডীয় ব্যক্তি
কয়েক বছর আগে উত্তরাধিকার সূত্রে বিশাল মাপের একটি পাথর পেয়েছিলেন কানাডার বাসিন্দা আব্রাহাম রেইস। কিন্তু এত দিন জানা যায়নি ২৭.৬৫ কেজি ওজনের ওই পাথরটি মোটেও যেমন তেমন পাথর নয়, সেটি আসলে মুক্তা! বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক মুক্তা।
সম্প্রতি মুক্তাটি প্রকাশ্যে এনেছেন আব্রাহাম। বিশাল বড় ওই মুক্তার নাম তার ওজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ‘গিগা পার্ল’রাখা হয়েছে। ৩৪ বছরের আব্রাহাম জানিয়েছেন, তিনি এটি পারিবারিক সূত্রে পেয়েছেন। কিন্তু এত দিন তিনি এর আসল পরিচয় জানতে পারেননি।
ঘি রঙের প্রাকৃতিক এই মুক্তাটির আনুমানিক বয়স এক হাজার বছর। একটি দৈত্যাকার ঝিনুকের ভেতর থেকে মুক্তাটি পাওয়া গিয়েছিল। এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক মুক্তা হিসেবে ধরা হতো লাউ-জু পার্লকে। তার চেয়ে এই গিগা পার্ল চার গুণ বেশি ওজনের।
১৯৯৫ সালে আব্রাহামের দাদা এই মুক্তাটি উপহার দিয়েছিলেন আব্রাহামের খালাকে। সেই থেকে এটি আব্রাহামের খালার কাছেই ছিল। তবে তাদের পরিবারের কেউই এতদিন পর্যন্ত জানতেন না এই বড় পাথরের মতো বস্তুটি আসলে একটি প্রাকৃতিক মুক্তা। কারণ এর আকার মোটেই প্রচলিত মুক্তার মতো নয়।
বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে ২০১৬ সালে আব্রাহামের খালা তার সম্পত্তি আত্মীয়দের মধ্যে ভাগ করে দিচ্ছিলেন। সেই সময় মুক্তাটি আব্রাহামের ভাগে পড়ে। তারপরই জানা যায়, এটি একটি বিশালাকার প্রাকৃতিক মুক্তা।
সম্প্রতি আব্রাহাম মুক্তাটি পুরাতত্ত্ববিদদের দেখান। তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে এই মুক্তাটির দাম ছয় থেকে ৯ কোটি মার্কিন ডলার। এখন এই বিশাল মুক্তাটি একটি ২২ ক্যারেটের সোনার অক্টোপাসের বাহুবন্ধনে রাখা হয়েছে।
আব্রাহাম বলেন, তিনি এটি বিক্রি করবেন না। তবে সবার দেখার সুযোগ করে দিতে বিভিন্ন মিউজিয়ামে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবেন। তিনি জানান, বিশ্বের মানুষের সত্যিই জানা উচিত, এই রকম একটি জিনিস বাস্তবেই আছে।
এ
মন্তব্য করুন