ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর ঘোষণা ভারতের
ভারতে করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ট্যুরিস্ট ভিসা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে চালু হতে যাচ্ছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দেড় বছর পর বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভারতীয় সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে। পর্যটন খাতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভিসা পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বিদেশিদের নতুন করে পর্যটন ভিসা দেওয়া শুরু করবে ভারত।
দেড় বছর পর ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর বিষয়ে দেশটির কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়, পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং রাজ্য সরকারের মতো অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি
এফএ/টিআই
মন্তব্য করুন
কলকাতায় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যা বললেন পি কে হালদার
দীর্ঘ আড়াই বছর ভারতের জেলে থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারে অভিযুক্ত পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে শিবশঙ্কর হালদার।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তিনি কলকাতার আলিপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান।
কারাগার থেকে বের হয়ে পি কে হালদার জানান, আমি এখন কিছু বলব না। আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরে সবকিছু জানাবো।
এরপর কারাগারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সাদা প্রাইভেটকারে চেপে ওই স্থান ত্যাগ করেন। যদিও ওই মুহূর্তে তিনি কোথায় যান তা সাংবাদিকদের বলেননি।
গত শুক্রবার পি কে হালদারের জামিন মঞ্জুর করে কলকাতার নগরদায়রা আদালত। সেক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে ১০ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে তাকে জামিন দেয় আদালত। সোমবার আদালতে সেই বন্ড জমা পড়ে। এরপর আদালত থেকে সেই কপি প্রেসিডেন্সি কারাগারে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ছাড়া পান।
পি কে হালদারের সঙ্গে ওই দিন জামিন পান তার অন্য দুই সহযোগী স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মিত্র এবং উত্তম মিস্ত্রি উত্তম মিত্র। তবে নথি ও বন্ডসংক্রান্ত জটিলতা থাকায় স্বপন মিত্র কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি।
বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার করে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ছয়জন ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
এরপর একে একে ৫ জন অভিযুক্তকে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তারপর থেকেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মামলা চলায় পি কে হালদারসহ পাঁচ পুরুষকে রাখা হয়েছিল কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে। এবং নারী সহযোগী আমিনা সুলতানাকে রাখা হয়েছিল কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।
ভারতীয় আইন অনুযায়ী, প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আওতায় ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি।
২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত পি কে হালদারকে দুই মামলায় ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন এবং তিনি ছাড়া অন্য ১৩ আসামিকে দুই মামলায় তিন ও চার বছর করে মোট সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কিন্তু পি কে হালদার ভারতে বন্দি থাকায় সেই রায় কার্যকর হয়নি। এমনকি সেই রায়ের কপি ভারতের আদালতে এসে পৌঁছায়নি বলে জানান ইডির আইনজীবী অরজিৎ চক্রবর্তী।
আরটিভি/একে/এস
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে নতুন তথ্য জানাল ভারতীয় গণমাধ্যম
ভারতের কাছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর অনুরোধটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ফলে অনুরোধটি কার্যকর না হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে (প্রত্যর্পণ) ভারতের কাছে করা অনুরোধটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-দিল্লির মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির উল্লেখিত শর্তের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, ভারত তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের কাউকেও ত্যাগ করবে না, কারণ দিল্লি নিজেদের ভূরাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় রাখে। শেখ হাসিনা এমন একজন সরকারপ্রধান ছিলেন, যিনি ভারতের জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য দিয়েছিলেন, চরমপন্থীদের দমন করেছেন এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়িয়েছেন। এখন তাকে ফিরিয়ে দিলে ভারতের প্রতিবেশী মিত্রদের কাছে ভুল বার্তা যাবে। অন্যদিকে, ঢাকা-দিল্লির প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ‘রাজনৈতিক প্রকৃতির’ যে কোনো অনুরোধ কার্যকর করা যায় না।
ধর্মীয়গুরু দালাই লামাও’র উদাহরণ টেনে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী দেশের অতিথিদের স্বাগত জানানো এবং আশ্রয় দেওয়ার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও ভারত এই ধরনের প্রত্যর্পণবিষয়ক অনুরোধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং এতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এখন যদি ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়, তবে মিথ্যা মামলার আওতায় তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এটি শেখ হাসিনার জন্য অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
ঢাকা-দিল্লির বর্তমান সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার ভূমিকাকে সামনে রেখে প্রত্যর্পণ ইস্যুটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ বলে বিবেচিত হচ্ছে, জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরটিভি/এসএপি
ভারতীয় ভিসা বন্ধে ভ্রমণ খাতে বিরূপ প্রভাব
বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধের জেরে যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের মধ্যে একেবারে কমেছে পাসপোর্টধারী যাত্রীর চলাচল। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে উভয় দেশের ভ্রমণ খাতে। বাংলাদেশের ক্ষতির পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পে অচলাবস্থা নেমে এসেছে।
সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে ভারতে গেছেন ১৪৭১ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ১ হাজার ১৯৪ জন, ভারতীয় ২৭৪, জাপানের ২ ও একজন নেপালের পাসপোর্টধারী ছিলেন। এছাড়া খুলনা-কলকাতা রুটে ‘বন্ধন’ রেলে যাত্রীসেবা এখনও বন্ধ থাকায় নিরাপদ যাতায়াতে বেড়েছে ভোগান্তি। তবে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভিসা সীমিত ও দু’দেশের মধ্যে রেলপথে যাত্রী সেবা বন্ধ করে দেয় ভারত।
সূত্রমতে, যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ যান চিকিৎসা ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণে। অন্যদিকে, যেসব ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসেন, তাদের একটি বড় অংশ আসেন কম খরচে মেডিকেল শিক্ষার জন্য। বর্তমানে দেশের ১০৮টি মেডিকেল কলেজে ১০ হাজারের বেশি বিদেশি অধ্যয়নরত, যাদের বেশিরভাগ ভারতীয়। এছাড়া ট্যুরিস্ট ও ওয়ার্ক ভিসায় দেশে প্রায় ১০ লাখের মতো ভারতীয় চাকরি করছেন।
বাংলাদেশ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলেও নানান অজুহাত দেখিয়ে এখনও স্বাভাবিক ভিসা প্রদান ও রেল পথে বেনাপোল-পেট্রাপোল হয়ে যাত্রী সেবা বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। এতে একদিকে ভিসা না পেয়ে যাত্রী যাতায়াত যেমন কমে এসেছে, তেমনি স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে দুদেশের মধ্যে ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাতায়াত করলেও এখন তা কমে দেড় হাজারের ঘরে নেমেছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুই দেশেই ক্ষতির শিকার হচ্ছে। কেবল বেনাপোল রুটে ভ্রমণ খাতে ভিসা ফি বাবদ বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয় করে থাকে ভারতীয় দূতাবাস। তবে এখনও ‘বন্ধন’ রেল পরিষেবা বন্ধ থাকায় এ পথে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল স্থলবন্দর প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ আব্দুল হাফিজ জানিয়েছেন, ভিসা স্বাভাবিক না থাকায় যাত্রী একেবারে কমে এসেছে।
আরটিভি/কেএইচ
ভারত থেকে আসছেন না চিন্ময়ের আইনজীবী
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাগারে থাকা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি)। অথচ, তার আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ এখনও ভারতে। হৃদজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে নির্ধারিত দিনে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) হৃদজনিত সমস্যা নিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রবীন্দ্র ঘোষ। এর আগে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ আইনজীবী বলেছিলেন, চিন্ময়ের জন্য আইনি লড়াই করতে ২ জানুয়ারির আগেই দেশে ফিরবেন। পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে ছেলের সঙ্গে থাকছিলেন তিনি। সেখানে চিকিৎসার জন্যই গিয়েছিলেন তিনি। তবে, এতদিন বাড়িতে থাকলেও জামিন শুনানির দুইদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাকে। হাসপাতালে থাকায় কবে তিনি দেশে ফিরবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে গতকাল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের কুনাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করেন রবীন্দ্র ঘোষ। এরপর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। রবীন্দ্র ঘোষ জানান, চিন্ময় দাসকে যখন রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়, তখন এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই চিঠির উত্তর এখন পর্যন্ত পাননি।
গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়। এরপর গত ২৭ নভেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
পরের দিন চট্টগ্রামের আদালতে তার মামলার শুনানি ঘিরে আদালত চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হন। আগামীকাল চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতেই তার জামিন শুনানি হওয়ার কথা আছে।
আরটিভি/এসএইচএম
পশ্চিমবঙ্গকে অস্থিতিশীল করতে বাংলাদেশিদের প্রবেশ করাচ্ছে বিএসএফ: মমতা
পশ্চিমবঙ্গকে অস্থিতিশীল করে তুলতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজ্যের প্রশাসনিক বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনা উঠলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিএসএফ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলায় অনুপ্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে এবং নারীদের ওপর নির্যাতন করছে। তৃণমূল কংগ্রেস সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে না। সীমান্ত আমাদের হাতে নেই। তাই কেউ যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে অনুপ্রবেশের অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ করে তাহলে আমি তাদের বলব, এই দায়িত্ব বিএসএফের।
তিনি বলেন, রাজ্য পুলিশের একাংশ বিএসএফের সঙ্গে ‘অ্যাডজাস্ট’ করে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বাংলায় ঢোকাচ্ছে। আমি জানি আপনারা (পুলিশ) ঢোকাচ্ছেন না, ঢোকাচ্ছে বিএসএফ। আমাদের কাছে খবর আছে, বিএসএফ মালদার ইসলামপুর, সীতাই, চোপড়া দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে, আরও অনেক জায়গা দিয়ে ঢোকাচ্ছে। বিএসএফ নারীদের ওপর অত্যাচার করছে। পুলিশের দিক থেকে কেন কোনো প্রতিবাদ হচ্ছে না? আমি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) রাজীব কুমারকে বলব, কোন কোন জায়গা দিয়ে কত লোক বাংলায় ঢুকেছে তার তথ্য দিতে।
তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশ থেকে আসতো, তাদের লিস্ট আমাদের আগে দেওয়া হতো। কিন্তু এখন আমাদের দেওয়া হয় না। ফলে আমরা জানতে পারি না কারা আসছে। এখন দেখছি, প্লেনও চলছে, ট্রেনও চলছে, বাসও চলছে, সঙ্গে বিএসএফও চলছে। কেউ যদি মনে করে অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করবে, তাহলে ভুল ভাবছে। কারণ, তৃণমূল কাউকে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে না। দু-একটা টিভি চ্যানেল বিএসএফের দায়িত্বটা তৃণমূলের ঘাড়ে চাপাচ্ছে। মনে রাখবেন, সীমান্ত রক্ষা তৃণমূল করে না, এমনকি পুলিশও করে না। সেটা বিএসএফের দায়িত্ব। আমি এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি কড়া চিঠি দেব।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দু’পারেই শান্তি থাকুক। আমাদের তো দুই বাংলার মধ্যে কোনো খারাপ সম্পর্ক নেই। আমরা এক ভাষায় কথা বলি, এক ভাষায় পথ চলি। চিকিৎসার কারণে কেউ আসতেই পারে। মানবিকতার কারণেও কেউ আসতে পারে। কিন্তু আমাদের তো জানাতে হবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমি সাধারণ বাংলাদেশিদের কথা বলছি না। আমি বলছি এখানে গুণ্ডাদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে এসে তারা খুন করছে। আবার তারা বর্ডার দিয়ে চলে যাচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে তাদের আসা-যাওয়া বিএসএফের মদদে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এটা অনেক গভীর চক্রান্ত। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্লু প্রিন্ট (নীল নকশা) আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত না থাকলে এটা হতো না। আমি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি, বাংলাদেশ নিয়ে যা আপনারা করবেন সেটাই আমাদের পথ। কিন্তু আমি যদি দেখি, কেউ মদদ দিচ্ছে সেক্ষেত্রে আমরা প্রতিবাদ করব।
তবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অভিযোগের বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। যারা ধরা পড়ছে তারা বাংলাদেশি এবং তাদের বেশিরভাগেরই ঠিকানা নেই। মমতা ভোটের লোভে এসব করছেন এবং বাংলাকে বাংলাদেশি মুসলমান ও রোহিঙ্গাদের প্রবেশদ্বারে পরিণত করছেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
আরটিভি/এফএ/এস
ভারতের ভূখণ্ড নিয়ে নতুন দুই প্রশাসনিক অঞ্চল ঘোষণা চীনের!
চীনের উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে আরও দুটি নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল (কাউন্টি) ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। তবে, পার্শ্ববর্তী ভারতের দাবি, নতুন এই দুই অঞ্চলে তাদের লাদাখের ভূখণ্ডের কিছু অংশও যোগ করে নিয়েছে চীন। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বেইজিংয়ের কাছে আপত্তি ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৭ ডিসেম্বর চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া উত্তর-পশ্চিম চীনের শিনজিয়াংয়ে এই দুটি কাউন্টি প্রতিষ্ঠার কথা জানায়। তাদের খবরে বলা হয়, শিনজিয়াংয়ের সরকার হোটান প্রিফেকচারের অধীনে হে’আন কাউন্টি এবং হেকাং কাউন্টি নামে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং রাষ্ট্র পরিষদ এই দুটি নতুন কাউন্টি অনুমোদন করেছে, যা হোটান প্রিফেকচারের অধীনে পরিচালিত হবে।
তবে, শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, এই তথাকথিত কাউন্টির কিছু অংশ লাদাখের ভেতরে পড়ে এবং ভারত কখনই এই এলাকায় চীনের অবৈধ দখলদারিকে স্বীকৃতি দেয়নি।
তিনি বলেন, আমরা হোটান প্রিফেকচারের অধীনে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেখেছি। তথাকথিত এই কাউন্টিগুলোর কিছু অংশ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের ভেতরে পড়ে। আমরা কখনো এই এলাকায় চীনের অবৈধ দখলদারি স্বীকার করিনি।
রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন, নতুন কাউন্টি তৈরির বিষয়টি এই এলাকায় ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের ও ধারাবাহিক অবস্থানের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। চীনের অবৈধ ও জোরপূর্বক দখলকে ভারত বৈধতা দেবে না। আমরা চীনা পক্ষের কাছে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছি।
সম্প্রতি দীর্ঘদিনের আলোচনার পরে ভারত ও চীনের মধ্যে একটি সীমান্ত জটিলতার সমাধান হয়। ফলস্বরূপ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুদেশই নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু, সবশেষ এমন ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়টি আবারও নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আরটিভি/এসএইচএম
বাইডেনের স্ত্রী জিলকে সবচেয়ে দামি উপহার দিয়েছিলেন মোদি
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে বহু উপহার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার পরিবার। তবে, ২০২৩ সালে বাইডেন পরিবারকে সবচেয়ে মূল্যবান উপহারটি দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই বছরের জুনে মোদির কাছ থেকে সেই উপহারটি পেয়েছিলেন বাইডেনের স্ত্রী জিল, যা ছিল ২০ হাজার ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ২৪ লাখ টাকার বেশি) এক হীরা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের জুন মাসে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন মোদি। হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্ত্রী জিলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে ৭.৫ ক্যারেটের একটি সবুজ হিরা উপহার দিয়েছিলেন মোদি। বিশেষ পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি কৃত্রিম হিরা। প্রাকৃতিক হীরার সমস্ত গুণই রয়েছে ওই হিরাতে।
সে বছর বাইডেনের স্ত্রীর পাওয়া অন্য দামি উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওকসানা মারকারোভার দেওয়া একটি ব্রোচ। সেটির দাম ১৪ হাজার ৬৩ ডলার। এ ছাড়া মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও তার স্ত্রী এন্তিসার আমের ২০২৩ সালে জিল বাইডেনকে ৪ হাজার ৫১০ ডলার মূল্যের একটি ব্রেসলেট, ব্রোচ ও ছবির অ্যালবাম দিয়েছিলেন।
আরটিভি/এসএইচএম/এস