ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর ঘোষণা ভারতের
ভারতে করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ট্যুরিস্ট ভিসা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে চালু হতে যাচ্ছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দেড় বছর পর বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভারতীয় সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে। পর্যটন খাতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভিসা পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বিদেশিদের নতুন করে পর্যটন ভিসা দেওয়া শুরু করবে ভারত।
দেড় বছর পর ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর বিষয়ে দেশটির কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়, পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং রাজ্য সরকারের মতো অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি
এফএ/টিআই
মন্তব্য করুন
অপছন্দের খাবার খেতে বাধ্য করতেন প্রেমিক, পাইলটের ‘আত্মহত্যা’
এয়ার ইন্ডিয়ার সৃষ্টি তুলি নামের এক পাইলট আত্মহত্যা করেছেন। তার প্রেমিককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, যুবক তাকে নানা ভাবে হেনস্থা করতেন। এমনকি, তরুণীকে নিরামিষ খাওয়া শুরু করতেও বাধ্য করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে থাকতেন মুম্বইতে। সেখানেই আদিত্য পণ্ডিতের সঙ্গে তার আলাপ হয়। দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মোবাইলের চার্জারের তার গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই মৃতের পরিবারের এফআইআর উল্লেখ করে জানিয়েছে, তরুণীকে হেনস্থা করতেন যুবক। ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একাধিক কাজ করতে বাধ্য করতেন তিনি। আমিষ খাবার ছেড়ে নিরামিষ খাবার খাওয়া প্রেমিকের কথাতেই শুরু করেছিলেন ওই তরুণী, অভিযোগ পরিবারের। তাদের বক্তব্য, প্রেমিকের কারণেই তরুণী মানসিক অবসাদে ভুগতেন, যার ফলে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তরুণীর প্রেমিক দিল্লিতে যাচ্ছিলেন। সে সময়ে তরুণী তাকে ফোন করেন। ফোনে তিনি প্রেমিককে জানান, তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুনে মাঝপথ থেকে মুম্বই ফেরেন যুবক। কিন্তু তিনি পৌঁছতে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। ফ্ল্যাটে গিয়ে তিনি দেখেন, তার প্রেমিকা আত্মহত্যা করেছেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। যুবককে আপাতত পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের সংসদে যে আলোচনা হলো
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সংসদে আলোচনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কয়েকজন সংসদ সদস্য বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত সহিংসতা ও হামলার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জবাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং সংসদে বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির ও প্রতীমা ভাঙচুরের ঘটনার তথ্য শোনা গেছে। ভারত সরকার এ ব্যাপারে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। খবর এনডিটিভি।
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকার হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর প্রার্থনাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এ ছাড়া সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের বলেও জানান কীর্তি বর্ধন সিং।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত হামলার বিষয়ে একের পর এক বিবৃতি দিয়ে আসছে ভারত সরকার।
ভারতের গণমাধ্যগুলোও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রচুর অপতথ্য বা ভুল তথ্য প্রচার করেছে। যদিও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বরাবরই ভারতের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরমধ্যে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে ভারত।
আরটিভি/আরএ/এস
বাংলাদেশ ইস্যুতে যা বললেন মমতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছেন, অন্য দেশের ব্যাপারে কথা বলার এখতিয়ার নেই। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মমতা ব্যানার্জী বলেন, কোনো দেশে যেকোনো ধর্মের মানুষের ওপর হামলা হলে আমরা নিন্দা করি, আমরা সেটিকে সমর্থন করি না। এক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা খুব সামান্য। কারণ, আমরা একটি আলাদা দেশ, বাংলাদেশও একটি আলাদা দেশ। ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলতে পারে, পদক্ষেপ নিতে পারে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান হচ্ছে, যে যখন সরকারে থাকুক না কেন, আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি।
তিনি আরও বলেন, কোনো ধর্মের ওপর, কোনো বর্ণের ওপর অত্যাচারকে আমরা সমর্থন করি না। এ ধরনের ঘটনা আজ নয়, অনেক দিন ধরেই ঘটছে। তাই এই ঘটনার জন্য আমরাও দুঃখিত। কিন্তু দুঃখিত হলেও আমরা অন্য দেশের নাগরিক। এটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং বাংলাদেশের সরকারের ব্যাপার। দুটি দেশ কথা বলতে পারে। আমরা কোনোভাবে কোনো বিষয়ে জড়াইও না, জানিও না।
মমতা বলেন, তিস্তার ব্যাপারে চুক্তি হয়ে গিয়েছিল, সেটি আমাদের জানানো হয়নি। কাজেই আমাদের দিক থেকে আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি। নিশ্চয়ই বাংলাদেশ আমাদের ভারতকেও ভালোবাসে, বাংলাকেও ভালোবাসে। আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, সবই এক। রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হতে পারে, কিন্তু আমরা নিশ্চয়ই চাই না ধর্মে-ধর্মে বিভেদ হোক এবং তার রেশ কারও ওপর পড়ুক।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ একটি ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড কঠোর মনোভাব নেয়। আমরা মনে করি, সেটা ঠিক নয়। মন্দির থাকবে, মসজিদ থাকবে, গুরুদুয়ারা, গির্জাও থাকবে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা শান্তির পক্ষে, উন্নয়নের পক্ষে। ধর্ম যেন প্রত্যেকেই পালন করতে পারে, তার স্বাধীনতা অনুযায়ী। আমরা এটার পক্ষে।
আরটিভি/এসএপি/এস
বাংলাদেশ শাখা দায় এড়ালেও চিন্ময়কে সমর্থনের ঘোষণা কেন্দ্রীয় ইসকনের
বিতর্কিত পণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর কোনো কিছুর দায় নেবে না বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেসের (ইসকন) বাংলাদেশ শাখা। ইসকনের বাংলাদেশ শাখা বলেছে, তাকে সংগঠন থেকে আগেই বহিস্কার করা হয়েছে। তাই তার কোনো কিছুর দায় তাদের নেই।
তবে, বাংলাদেশ শাখা দায় এড়িয়ে গেলেও ইসকনের প্রধান শাখা সংগঠন থেকে বহিস্কৃত এই পণ্ডিতের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম উইন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) চিন্ময়কে নিয়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে একটি পোস্ট করেছে ইসকন। এতে তারা বলেছে, ইসকন.আইএনসি শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে আছে। সব ভক্তের নিরাপত্তার জন্য আমরা ভগবান কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করি।
এর আগে ইসকনের বাংলাদেশ শাখা বলেছিল, যেহেতু তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাই তাদের পক্ষ হয়ে চিন্ময় দাসের কিছু বলার নেই।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে গত মাসে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত)।
এরপর গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিতর্কিত এ হিন্দু পন্ডিতকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলার পর কারাদণ্ডাদেশ এলে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আদালত চত্বরে। সংঘর্ষ চলাকালে একদল সন্ত্রাসীর হামলায় প্রাণ হারান সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী।
আরটিভি/এসএইচএম
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
বাংলাদেশে হিন্দুদের শত শত মন্দির ও প্রতীমা ভাঙচুর এবং নির্যাতনের খবর নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় যেভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কথা বলতে এসে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি।
৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার সংবাদ প্রকাশের ধরন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জসওয়াল বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্য সব সংখ্যালঘুর ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি মিডিয়ার অতিরঞ্জন হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা আবারও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সব ধরনের ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
এরপর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয় ইসকন প্রসঙ্গেও। রণধীর জসওয়ালের কাছে এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশ সরকার ইসকনকে ‘উগ্রবাদী সংগঠন’ আখ্যা দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার মত কী?
জবাবে তিনি বলেন, ইসকন বৈশ্বিকভাবে প্রখ্যাত সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। তাদের সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের ভালো রেকর্ড রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আবারও বলব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
এ ছাড়া বিতর্কিত হিন্দু পণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রসঙ্গে রণধীর জসওয়াল বলেন, আমরা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছি। আশা করি, তার বিরুদ্ধে যে আইনি প্রক্রিয়া চলছে, সেটি স্বচ্ছ এবং ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে হবে এবং তাদের যে আইনি অধিকার রয়েছে সেটি পুরোপুরিভাবে পাবে।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
ভারতের সংসদে বাংলাদেশ নিয়ে যা বললেন জয়শঙ্কর
ভারতের সংসদ লোকসভায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কথিত হামলার অভিযোগের বিষয়ে টানা দুই দিন আলোচনা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের সরকার এসব ঘটনার বিষয় গুরুতরভাবে বিবেচনায় নিয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে দিল্লির উদ্বেগ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক দুর্গাপূজা উৎসবের সময় মন্দির ও পূজা মণ্ডপে হামলার খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। এই হামলার পর বাংলাদেশ সরকার শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপন নিশ্চিতে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েনসহ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা জারি করেছিল।’
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের ওপর বর্তায়।’
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ইসকন বাংলাদেশের সাবেক পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও হিন্দুদের ওপর কথিত হামলা বৃদ্ধির অভিযোগ ঘিরে চলমান উত্তেজনার বৃহস্পতি ও শুক্রবার ভারতের সংসদে এই বিষয়ে আলোচনা হলো।
আরটিভি/এসএপি/এআর
বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না দেওয়ার ঘোষণা কলকাতার হাসপাতালের
বাংলাদেশি রোগীদের আর চিকিৎসা দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে কলকাতার একটি হাসপাতাল। তাদের অভিযোগ বাংলাদেশিরা ভারতীয় পতাকা অবমাননা করছে। যদিও একই অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশিদেরও। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ নামের কলকাতার একটি হিন্দু সংগঠন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায়ও আগুন দেয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর কলকাতার মানিকতলার হাসপাতালটির কর্মকর্তা জেএন রায় জানান, বাংলাদেশিরা ভারতীয় পতাকা অবমাননা করছেন, এ জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভারতীয় নিউজ সংস্থা পিটিআইকে হাসপাতালের আরেক কর্মকর্তা শুভ্রাংশু ভক্ত বলেন, আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের আর চিকিৎসা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, তারা ভারতের প্রতি অসম্মান জানিয়েছে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভ এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দেয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে উল্লেখ করছে যে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের বাইরে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ নামে কলকাতার একটি হিন্দু সংগঠন সহিংস বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সীমানায় পৌঁছায়। তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দেয় এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে হলেও ডেপুটি হাইকমিশনের সব সদস্যের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জানায়। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার যেকোনো ধরনের সহিংস কার্যকলাপের নিন্দা করে। একইসঙ্গে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন এবং ভারতে বাংলাদেশের অন্যান্য কূটনৈতিক মিশনের পাশাপাশি কূটনীতিক এবং অ-কূটনৈতিক সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
এই কর্তকর্তা বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে, এজন্য তিনি অন্যান্য হাসপাতালকেও একই পন্থা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে ভারত বিরোধীতা বাড়ছে। আমরা আশা করছি অন্যান্য হাসপাতালগুলোও একই পদক্ষেপ নিবে।
আরটিভি/এএইচ