মা হওয়ার আগে ও পরে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় নতুন মায়েদের। তেমনই একটি সমস্যা হলো চুল পড়া। কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় যেমন নানারকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় হবু মায়েদের, তেমনি শিশুর জন্মের পরও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো চুল পড়ে যাওয়া। শিশুর জন্মের পর চুল পড়ে যাওয়ার হার অনেকটাই বেড়ে যায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব-
একটি ভালো চিরুনি : অনেকেই চিরুনির ব্যাপারটা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে ভাবেন না। চিরুনি ভালো না হলে চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থার পর থেকেই হরমোনের প্রভাবে দুর্বল থাকে। চিরুনির মান খারাপ হলে এই সময় চুল পড়ার হারও বেড়ে যায়।
চুল কেটে ফেলা : নতুন অতিথি বাড়িতে আসার পর তাকে সামলাতেই অনেকটা সময় চলে যায়। তাই চুলের সমস্যা কমাতে এই সময় চুল কেটে ছোট করে নেওয়াই ভালো। এতে চুলের আগা ভাঙে না। পাশাপাশি এতে চুল সামলাতেও সুবিধা হয়।
চুল বেশি না ধোয়া : চুল বেশি ধুলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। তাই গর্ভাবস্থার পর থেকেই প্রতি সপ্তাহে দুবারের বেশি চুল না ধোয়াই ভালো। এতে চুল সহজে পড়ে না। চুলের ঘনত্বও ঠিক থাকে।
রাসায়নিক সমৃদ্ধ দ্রব্য : রাসায়নিকের পরিমাণ বেশি এমন দ্রব্য এই সময় চুলের পরিচর্যায় ব্যবহার না করাই ভালো। কেরাটিন বা বোটোক্স ট্রিটমেন্ট এই সময় না করানোই ভালো। এতে চুলের উপকার তো হবেই না, বরং চুল পড়ার হার বেড়ে যেতে পারে। মাতৃত্বকালীন অবস্থায় যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি প্রসাধনী দ্রব্যই ব্যবহার করা ভালো।
ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করা : চুল ধোয়ার পর একটি ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি। নয়তো চুল পড়ার হার অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। ভালো কন্ডিশনার চুলের ঘনত্ব ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও গর্ভাবস্থা ও মাতৃত্বকালীন অবস্থায় এটি চুল পড়ে যাওয়া আটকাতে সাহায্য করে।