• ঢাকা শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১
logo

স্ট্রোকের যেসব লক্ষণ ফুটে ওঠে চোখে

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:২১
ছবি : সংগৃহীত

স্ট্রোক একটি ভয়ংকর সমস্যা, যার উপসর্গ অনেক সময় আগেভাগে বোঝা যায় না। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বড় ধরনের স্ট্রোক হওয়ার আগে কিছু উপসর্গ চোখে ফুটে ওঠে।

হঠাৎ কথা বলতে গিয়ে জিভ অবশ হয়ে যাওয়া, হাত তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া, শরীরের এক পাশ অসাড় হয়ে যাওয়া—এই ধরনের সমস্যাগুলো কয়েক মিনিটের মধ্যে ঠিক হয়ে গেলেও, ভবিষ্যতে বড় স্ট্রোকের পূর্বাভাস হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেন না, যা প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ায়।

স্ট্রোকের আগাম লক্ষণ অনেক সময় চোখে প্রকাশ পায়। নিয়মিত চক্ষুপরীক্ষার মাধ্যমে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ সিডনির গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরে স্ট্রোক নিয়ে গবেষণা করছেন। ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ নিউরোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় পল মিশেল উল্লেখ করেন, স্ট্রোকের কিছু লক্ষণ চোখে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যেমন, এক পাশের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, চোখের সামনে কালো ছাপ বা রেখা দেখা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া—এগুলোই প্রাথমিক লক্ষণ।

গবেষণায় প্রায় ৩,৫০০ জন ৪০-৫০ বছরের মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা যায়, যাদের চোখের রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা দৃষ্টি ঝাপসা, তাদের অনেকেই পরে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন।

কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক দিলীপ কুমার জানান, হঠাৎ কিছু সময়ের জন্য কথা বলতে না পারা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবশ হয়ে যাওয়া বা চোখে অন্ধকার দেখা—এগুলো ‘ট্র্যানসিয়েন্ট ইসকিমিক অ্যাটাক’ (টিআইএ) বা ‘মিনি স্ট্রোক’-এর লক্ষণ। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয় এবং এর প্রভাব চোখেও পড়ে। চোখের রক্তজালিকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে চোখ লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া বা দৃষ্টি ঝাপসা হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপও চোখের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।

চিকিৎসক আরও জানান, উচ্চ রক্তচাপ থেকে গ্লুকোমা, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। মারাত্মক উচ্চ রক্তচাপে ‘হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি’ হতে পারে, যেখানে রেটিনার রক্তনালিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার বলেন, ডায়াবেটিস থেকেও রেটিনোপ্যাথি হতে পারে। তবে হৃদ্‌রোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি নির্ধারণে আরও কিছু লক্ষণ খেয়াল রাখতে হবে—যেমন, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, চোখের ওপরের পাতায় সাদা মাংসপিণ্ড দেখা দেওয়া, অকালেই ছানি পড়া, চোখের সামনে কালো পর্দা দেখার অনুভূতি বা চোখে ব্যথা। কখনও কখনও সরাসরি দেখা গেলেও আশপাশ ঝাপসা দেখার সমস্যাও হতে পারে। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

সূত্র: আনন্দবাজার

আরটিভি/জেএম/এআর

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সকালের যে অভ্যাসগুলো দূর করবে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল
স্ট্রোক করে চারদিন বাসায় পড়ে ছিলেন অঞ্জনা!
ভুল ম্যাসেজে বিপদ মারাত্মক! পরামর্শ বিশেষজ্ঞর
বিশ্ব সাঁতারে রাফির টাইমিংয়ে উন্নতি