আমাদের শরীরে যখন প্রোটিনজাত খাবার—যেমন মাংস, ডাল বা কিছু নির্দিষ্ট খাবার—পাচন হয়, তখন তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। সাধারণত এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়, তবে যখন অতিরিক্ত পরিমাণে তৈরি হয় বা ঠিকমতো নিষ্কাশিত না-হয়, তখন তা শরীরে জমে গিয়ে সৃষ্টি করে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা ভাব কিংবা অস্বস্তি। সাধারণভাবে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ ৩.৫ থেকে ৭.২ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার হওয়াই স্বাভাবিক। এর চেয়ে বেশি হলে তা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
তবে কিছু প্রাকৃতিক ও সহজ ঘরোয়া পানীয় নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নিই এমনই ৬টি উপকারী পানীয় সম্পর্কে।
লেবু পানি
প্রতিদিন সকালে অর্ধেক লেবুর রস এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড ভেঙে শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে, যা দিন শুরু করার জন্য একটি কার্যকর ও উপকারী উপায়।
হলুদ দুধ
হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন শরীরে প্রদাহ কমায় এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন, ধীরে ধীরে এর সুফল টের পাবেন।
শসার রস
শসার প্রায় ৯০ শতাংশই পানি, যা শরীর থেকে টক্সিন ও ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সহায়তা করে। পিউরিন কম থাকায় শসা ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির ঝুঁকিও কমায়। নিয়মিত শসার রস পান করলে দেহ থাকে ঠান্ডা ও সতেজ।
তরমুজের রস
তরমুজে পানি বেশি, যা কিডনিকে ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে। এটির পিউরিন কম, ফলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি দারুণ কার্যকর। তরমুজের রস গরমের দিনে যেমন প্রশান্তি দেয়, তেমনি স্বাস্থ্যকরও।
আদা চা
আদা প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে এবং ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। কয়েক টুকরো তাজা আদা পানিতে সেদ্ধ করে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি করুন আদা-চা। এটি শরীর গরম রাখে, জয়েন্টের ব্যথা কমায় এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করতে সাহায্য করে। এটি কিডনির কার্যকারিতা ভালো রাখে। প্রতিদিন এক থেকে দুই কাপ গ্রিন টি পান করলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
আরটিভি/জেএম