বিচারকদের জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যরা পরিচিত নম্বর (সার্ভিস আইডি) পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে এ সংক্রান্ত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি, অধস্তন আদালতের মনিটরিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারপতি ও জি এ কমিটির সদস্যসহ অনেকে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতির প্যানেল প্রণয়ন, শৃঙ্খলা বিধান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ দৈনন্দিন প্রশাসনিক নানা কাজে ব্যবহারের প্রয়োজনে জ্যেষ্ঠতার তালিকার গুরুত্ব অপরিসীম। বিচার কর্মবিভাগে নিযুক্ত বিচারকদের ২০১৫ সালের পর থেকে অদ্যাবধি জ্যেষ্ঠতার তালিকা সংশোধন বা পুনঃপ্রণয়ন করা হয়নি।
এদিকে, সংবিধানে বর্ণিত জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের ওপর হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানমূলক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নানা জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে বাছাই কমিটি ও ফুলকোর্ট সভায় পদায়নের পরামর্শ দেওয়া, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নামে আনিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার বিষয়টি চলে আসে। আর হালনাগাদ জ্যেষ্ঠতার তালিকা না থাকায় প্রশাসনিক কাজে নানাবিধ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
এসব বিষয় বিবেচনা করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের জ্যেষ্ঠতার তালিকা হালনাগাদ করে পুনঃপ্রণয়নের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।