আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে মিছিল নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে যমুনার সামনে এসেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাত একটার দিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবনের সামনে তারা আসেন। এর আগে রাত ১০টার পর থেকেই অবস্থান করছেন এনসিপি মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী।
যমুনার সামনে নিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত যমুনার সামনে থেকে উঠবো না।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা আপনাকে সম্মান করি। যতক্ষণ না পর্যন্ত ঐ গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রদ্রোহী, সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা না করছেন এবং নিষিদ্ধ না করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ এখান (যমুনার সামনে) থেকে উঠবো না।
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার আশ্বাসকে ‘প্রহসন’ বলে আখ্যা দিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, মূল দল আওয়ামী লীগকেই সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনারা আমাদের গুলি করে থামাতে পারবেন না, আমাদের এই জীবন আমরা ওয়াক্ফ করে দিয়েছি এই বাংলাদেশকে। যখন আমরা জুলাইয়ে রাস্তায় নেমেছিলাম, তখন আমরা সকল শক্তি জুলাইয়ের পক্ষে আমাদের জীবনটাকে ওয়াক্ফ করে দিয়েছিলাম।
আমাদের মধ্য মত পার্থক্য থাকবে, কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক বলেন, জুলাইয়ের পক্ষের সব শক্তি, আমরা এই জীবনটাকে বাংলাদেশের জন্য দিয়েছিলাম। যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এখানে থাকবো।
আরটিভি/কেএইচ