ফরিদপুর নৌ-পুলিশে কর্মরত এসপি আব্দুল্লাহ আরেফের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী চর চামারদহ এলাকার কৃষকেরা।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ভুক্তভোগীরা সেখান একটি কৃষি জমিতে চেয়ার টেবিল বিছিয়ে ও ব্যানার টানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় ২৫/৩০ জন গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আরেফ ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোর পুর্বক আকছাইল মৌজার অনেক কৃষকের জমি দখলে রেখেছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় জিডি ও অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় কৃষক নাসির উদ্দীন (৬০) জানান, তার ১০ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা করছেন আব্দুল্লাহ আরেফ। রাতের আধারে তার সহযোগীদের দিয়ে ওই জমিতে খুটি দিয়েছেন। অবশ্য তিনি সেই খুটি তুলে ফেলেছেন।
কৃষক আন্নাফ আলী (৭০) অভিযোগ করেন, তার ১০ শতাংশ জমিতে বাশ খুটি দিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন পুলিশ কর্মকর্তা আরেফ।
কৃষক ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেম, আমার পৈত্রিক সম্পত্তির ৩৯ শতাংশ জমি আব্দুল্লাহ আরেফ দখল করে রেখেছেন। এবিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি নানা হুমকি দেন। এক পর্যায়ে বাড়াবাড়ি করলে মামলা দিয়ে জেলে ঢোকানোর হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গ্রামবাসী জানান, প্রায় ৩ বছর পূর্বে চর চামারদহ এলাকায় ৬/৮ বিঘা জমি ক্রয় করেন পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আরেফ। সেখানে তিনি একটি বাংলোঘর বানিয়েছেন। সেখানে কেয়ারটেকার আছে। স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারীর সহায়তায় পুলিশ কর্মকর্তা আরেফ তার ক্রয় করা জমির আশপাশের জমি নানা ভাবে দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেকের জমি দখলও করেছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে এসপি আব্দুল্লাহ আরেফের মুঠোফোনে করলে তিনি রিসিভ না করে কেটে দেন। এ বিষয় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় কৃষক আন্নাফ আলীর দায়ের করা জিডি (সাধারণ ডায়েরি) তদন্তের দায়িত্বে আছেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম।
জিডির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিডি তদন্তের জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতির পেলে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।