ঢাকারোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

২০০ বছর আগেও আক্রমণ চালিয়েছিল এইচএমপিভি

আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ , ০২:৩৫ পিএম


loading/img

গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে চীনে দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। যা নিয়ে স্বাস্থ্য সংকটের উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। ইতোমধ্যে ভারতেও কয়েকজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসটি সর্দি-কাশির মতো ওপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের পাশাপাশি ফুসফুসের গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

তবে চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেছেন, এইচএমপিভি ভাইরাস বড় কোনো হুমকি নয়। যদিও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

তবে এবারই প্রথম নয়, ২০০ বছর আগেও ভাইরাসটি আক্রমণ চালিয়েছিল। সবশেষ ২০০১ সালেও দেখা দিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

এইচএমপিভি হচ্ছে একটি আরএনএ ভাইরাস। সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস। বিজ্ঞানীদের মতে, সারা বছরই এই ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকে। তবে মৌসুম বদলের সময়ে বিশেষ করে শীত ও বসন্তে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর চরিত্র অনেকটা করোনা ভাইরাসের মতো। এই ভাইরাসও হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই রোগ ছড়ায়। শ্বাসযন্ত্রেই এটি সবার আগে আক্রমণ করে। কিছুকিছু ক্ষেত্রে ভাইরাসটি প্রাণঘাতীও।

করোনার মতো আরএনএ (রাইবো-নিউক্লিক অ্যাসিড) ভাইরাস হলেও ২০০১ সালে যখন প্রথম আত্মপ্রকাশ হয়েছিল তখনও এইচএমপিভি ততটাও প্রভাব ফেলেনি। সর্দি-কাশি থেকে জ্বর সহ মৃদু থেকে তীব্র উপসর্গ দেখা দিলেও মৃত্যু হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচএমপিভই-র বহিঃপ্রকাশ এতটা জটিল নয়। এই ভাইরাসের সংক্রমণে শুকনো কাশি, জ্বর, হালকা নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সিওপিডি রোগীরা সংক্রামিত হলে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে, ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বয়স্কদের শরীরে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশি পড়তে পারে। তবে আপাতত সেই ঝুঁকি নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

বিজ্ঞাপন

চীনের চ্যচিয়াং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের চিলড্রেনস হাসপাতালের শ্বাসযন্ত্র রোগ বিভাগের প্রধান থাং লানফাং বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইচএমপিভি সংক্রমণ মৃদু হয়। তবে কিছু শিশুর সংক্রমণের পর নিউমোনিয়া হতে পারে। শিশু, বয়স্ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, দুর্বলতা, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্নও হতে হবে।
 
এই ভাইরাসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা বা টিকা নেই বলে উল্লেখ করেছেন চীনের বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রর (সিডিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী চীনের বিশেষজ্ঞরাও যত্নের ওপর জোর দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্রাম, হালকা খাবার এবং উপযুক্ত পোশাক পরা।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখা এবং জনাকীর্ণ স্থান এড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। 

তথ্যসূত্র : অনলাইন

আরটিভি/এফআই

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |