এলপিজি বা সিলিন্ডারের গ্যাস অনেক বাড়িতে ব্যবহার হয় রান্নার কাজে। কিন্তু অসাবধানতার কারণে মাঝে-মধ্যে এলপিজি সিলিন্ডারও বিস্ফোরিত হয়। আর এই বিস্ফোরণও ঘটে গ্যাস লিকেজ থেকে। তাই এ বিষয়ে সাবধান হতে বললেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীতে এ পর্যন্ত যতগুলো সিলিন্ডার গ্যাস দূর্ঘটনা ঘটেছে তার বেশিরভাগই হয়েছে ব্যবহারকারীর অসাবধানতায়। এছাড়া নিম্নমানের হোসপাইপ, রেগুলেটর, গ্যাসভাল্বকেও এজন্য দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি দোকান ঘুরে দেখা গেল বেশ কয়েকটি কোম্পানির তৈরি রেগুলেটর, হোসপাইপ বিক্রি হচ্ছে। যার মধ্যে কয়েকটি আবার নিম্নমানের।
এসব নিম্নমানের পণ্য ব্যবহার করলে দূর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়, কয়েকগুণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দূর্ঘটনারোধ করতে, সাধারণ ব্যবহারকারীকে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে-
চুলা থেকে সিলিন্ডারের দূরত্ব হবে কমপক্ষে ছয় ফুট।
ঠাণ্ডা জায়গায় সিলিন্ডার রাখতে হবে।
সিলিন্ডারের গ্যাস খুব উৎকট গন্ধ ছড়ায়। তাই এমন গন্ধ পেলে আগুন না জ্বালিয়ে বাসার বিদ্যুতলাইন বন্ধ করে দিতে হবে।
রান্নার পরে সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করে দিতে হবে।
রান্নার আগে ঘরের দরজা-জানালা খুলে বাতাস যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।
সিলিন্ডারের গ্যাস শরীরের কোথাও লাগলে ২০ মিনিট ধরে পানি দিয়ে দ্রুত ধুয়ে ফেলতে হবে। কাপড়ে লাগলে তা খুলে ফেলতে হবে।
এসব বিষয়ে সচেতন থাকলে দূর্ঘটনারোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে, সবাইকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।