বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকীতে নিউ ইয়র্কে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের শিশু কিশোর মেলা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকীতে নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে গত ১৭ মার্চ আয়োজন করা হয় শিশু-কিশোর মেলার। পিএস ৬৯ এ আয়োজিত মেলায় মনের মাধুরী মিশিয়ে চিত্রকল্প এঁকেছে প্রবাসী শিশুরা। কেউ এঁকেছে মাতৃভূমির পতাকা, কারও আঁকায় বঙ্গবন্ধু বা নদীমাতৃক বাংলাদেশ। যে দেশটিকে তাদের অনেকেই নিজ চোখে দেখেনি। গান, আবৃত্তি, নাচ, উপস্থাপনা সবই শিশুরা করেছে নিজেরাই। নাচ, গান, আবৃত্তির প্রতিযোগিতায় অংশ নেন শিশুরা।
শিশু-কিশোর মেলার ৮টি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতা ও বাংলা লিখন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে ৬৩ জন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে ৮৯ জন। কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠানে অংশ নেন ৬৬ জন। নৃত্য প্রতিযোগিতায় ৪১ জন। ফটোগ্রাফিতে অংশগ্রহণ করে ৩৯ জন। অভিনয়ে ২২ জন। আবৃত্তিতে ৬৬ জন। এবারই প্রথম নিউজার্সি, কানেকটিকাট, ডেলওয়ার, ম্যাসাচুসেটস থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও অনুষ্ঠান নিয়ে শিশু-কিশোর মেলায় যোগ দেয়। ‘ক’ গ্রুপের বয়স ছিল ৫ থেকে ৮ বছর। ‘খ’ গ্রুপের বয়স ছিল ৯ থেকে ১২ বছর। ‘গ’ গ্রুপের বয়স ছিল ১৩ থেকে ১৬ বছর। যারা রেজিস্ট্রেশন করেছে শুধু তারাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছে।
রচনা প্রতিযোগিতা: ‘ক’ বিভাগ: প্রথম রুমাইশা আনসারি, দ্বিতীয় ফাতিয়া আয়াত ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে সারদা সাহা। ‘খ’ বিভাগ: প্রথম তিশা রায়, দ্বিতীয় আফসারা জাহান বিমা, তৃতীয় আজরিন আরবি।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা: ‘ক’ বিভাগ: প্রথম মায়া এঞ্জেলিনা, দ্বিতীয় রাজ দাস, তৃতীয় শুভশ্রী সাহা। ‘খ’ বিভাগে প্রথম আজরিন আরবি, দ্বিতীয় প্রমিত মোহন আচার্য, তৃতীয় সগীর মাহমুদ। ‘গ’ বিভাগে প্রথম হয়েছে সমীর মাহমুদ, দ্বিতীয় মহিমা আলী খান, তৃতীয় হয়েছে দেবেশ হালদার।
নৃত্য প্রতিযোগিতা: ‘ক’ গ্রুপ মায়া এঞ্জেলিনা, দ্বিতীয় শান্তি রায় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে রিশিকা পাল। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করে শ্রুতি দাস, দ্বিতীয় রিয়া ভৌমিক ও তৃতীয় হয়েছে চৈতন্য দেব। ‘গ’ গ্রুপে দেবিপ্রিয়া পোদ্দার, দ্বিতীয় স্থান দেবরাতি চৌধুরী, তৃতীয় স্থান পেয়েছে মাহিমা আলী খান।
অভিনয় প্রতিযোগিতা: ‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে রুমাইশা আনসারি। দ্বিতীয় মায়া এঞ্জেলেনিা। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে প্রমিত মোহন আচার্য, দ্বিতীয় সুস্মিতা হালদার তৃতীয় মালিহা মাসুদ।
কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা: ‘ক’ গ্রুপ প্রথম হয়েছে রুমাইশা আনসারী, দ্বিতীয় ফাতিহা আয়াত, তৃতীয় মায়া এঞ্জেলিনা। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে প্রমিত মোহন আচার্য, দ্বিতীয় রিতিকা দেব ও তৃতীয় হয়েছে রিয়া ভৌমিক। ‘গ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে আরবার হাবিব।
সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় ‘ক’ গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করে শুভশ্রী সাহা, ‘খ’ বিভাগে শ্রদ্ধা সাহা ও তৃতীয় দেবস্মিতা পোদ্দার। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে শ্রুতি দাস, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে আফরিন খান ও এথিনা কলম্বিয়া বুশরা এবং তৃতীয় হয়েছে দুজন- সুহলা উদ্দিন ও প্রমিতা মোহন আচার্য। ‘গ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে সুমাইয়া সুখ, দ্বিতীয় দেবেশ হালদার ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে বৃহন্না বিশ্বাস।
ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় ‘ক’ গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করে মাহদিয়া মাহনুর ফাইজা, দ্বিতীয় স্থান ইসমাইল চৌধুরী। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে আশরাফ অসিম, দ্বিতীয় হয়েছে আফসারা জাহান বিমা ও তৃতীয় হয়েছে শরোদ রায়। ‘গ’ গ্রুপে প্রথম হয়েঠে সাহাদেব তাজওয়ার, দ্বিতীয় মিম দে ও তৃতীয় হয়েছে আহমেদ দিদাত।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা, মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. জিয়া উদ্দিন, কাউন্সিলিম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন নবী, সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস প্রমুখ।
এ
মন্তব্য করুন