রাবিতে মৌন মিছিল থেকে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা

রাবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ০১ আগস্ট ২০২৪ , ১০:৫৩ পিএম


রাবিতে মৌন মিছিল থেকে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা
ছবি : আরটিভি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক নেটওয়ার্ক’র ‘ছাত্র-জনতার খুনিদের প্রতিহত করুন’ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘রিমেম্বারিং দ্যা হিরোস’ প্রতিপাদ্যে মৌন মিছিল কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে একদল সাদা পোশাক পরিহিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ধ্বস্তাধস্তি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাত থেকে আটক শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে নেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ও জোহা চত্বর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় টানাহেঁচড়ার পরেও দুই শিক্ষার্থীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষকবৃন্দ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে মৌন মিছিল শুরু করেন শিক্ষকবৃন্দ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থানরত শতাধিক শিক্ষার্থী পুলিশি বাঁধার মুখে প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পেরে প্রাচীর টপকে ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর তারা শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে মৌন মিছিলে অংশ নেন। এসময় শিক্ষার্থীদের বিচ্ছিন্নভাবে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে শিক্ষকবৃন্দ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে নিজেদের পরিচয় দিয়ে টানাহেঁচড়া করে শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে নেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে নিয়ে শিক্ষার্থীদের অটো রিকশাযোগে বাসায় পৌঁছে দেন শিক্ষকবৃন্দ। ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীও ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন বলেন, শিক্ষার্থীদের চ্যাঙদোলা করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি ধরেও দুয়েকজনকে আটকাতে পারলাম না। এটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, আমরা যতক্ষণ বেঁচে আছি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা এটা হতে দিব না। এখানেই শেষ না, এরা কোন বাহিনী আমি এর জবাব চাই।  আমি এদের পরিচয় চাই। আমি চাই মিডিয়া খোঁজ নেবে, এটা কোন ফোর্স। এটা বাংলাদেশী কোনো আর্মি, কোন বৈধ বাহিনী নাকি অবৈধ কোনো বাহিনী নিয়ে গেল আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে। আমি শুনেছি দুজন ছেলেকে আটকেছে। আমিসহ আমার সহকর্মীরা কয়েকজনকে বাঁচিয়েছি টানাহেঁচড়া করে। এটা কি কোনো সরকারি আচরণ হতে পারে।

একই বিভাগের আরেক অধ্যাপক আ-আল মামুন বলেন, এভাবে ছোঁ মেরে শিকার করা, ছোঁ মেরে মানুষকে ছিনিয়ে নেওয়া, মানুষকে মারতে চাওয়া এটা আমরা মানিনা। আমরা এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মোবারক পারভেজ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাকি অন্য জায়গার যাচাইয়ের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission