নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিশ্বনেতাদের খোলা চিঠির প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার চলছে। আমাদের এ প্রসঙ্গে কথা নেই।
তিনি বলেন, বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিদের বক্তব্যে বিচার বিভাগীয় হয়রানির অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাদের বিচার-বুদ্ধি বা সততা সম্পর্কে কোনো সন্দেহ বা কটাক্ষ করা হাস্যকর। তারা বিচার বিভাগীয় হয়রানির কথা বলেছেন, এটি সংশ্লিষ্টদের খতিয়ে দেখতে হবে। বিশ্ববরেণ্য নেতাদের বিবৃতি খতিয়ে না দেখলে জাতিকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাতীয় যুব সংহতি সভাপতি এইচ এম শাহরিয়ার আসিফের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে জি এম কাদের এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববরেণ্য ওই সব মানুষের বিচার-বুদ্ধি, বিবেক ও সততা নিয়ে কটাক্ষ করা বিশ্বে আমাদের হাস্যকর করে তুলছে। আমরা যদি মনে করি উটপাখির মতো মাথা গুঁজে বালুতে কিছু লুকিয়েছি, আমি কাউকে দেখিনি তাই কেউ আমাকেও দেখছে না। উটপাখির মতো মনে করলে চলবে না, সবাই আমাদের দেখছেন।
তিনি বলেন, নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার এক প্রতিবেদনেও বিচারিক হয়রানির কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে গণতন্ত্রহীনতার কথা বলা হয়েছে। গণতন্ত্র ধংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে বর্তমান সরকার কাজ করছে।
জি এম কাদের বলেন, নিউইয়র্ক টাইমসকে বিশ্বের এক নম্বর গণমাধ্যম বলা হয়ে থাকে। তাদের যেকোনো প্রতিবেদন সারাবিশ্বে গ্রহণযোগ্য। দেশের মানুষ, সরকার ও বিরোধীদলের সঙ্গে কথা বলে নিউইয়র্ক টাইমস এই প্রতিবেদন করেছে। সারাবিশ্বে যে পত্রিকাকে গ্রহণযোগ্য মনে করে, আমরা তাকে মূল্য না দিলে তাতেও আমাদের খেসারত দিতে হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ধংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে, সব ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে। এটাকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি, না হলে জাতি হিসেবে বড় ধরনের মাশুল দিতে হবে।
জি এম কাদের আরও বলেন, সরকার নির্বাচনের আগে বড় বড় পদে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপ-সচিব পদে প্রচুর পদোন্নতি দিয়েছে। এতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে গণমাধ্যম বলছে, সরকার একটি শ্রেণিকে সুযোগ-সুবিধা দিতেই পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে।