অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, জনবিরোধী কাজ করলে ইতিহাসে জায়গা হবে না।
বুধবার (২১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় শহিদ জিয়া’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
বিএনপিকে নিয়ে মিথ্যাচার করার প্রতিবাদ জানিয়ে মঈন খান বলেন, এসব কল্প কাহিনি, গাল গল্প দিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে দমানো যাবে না। বিএনপি স্বৈরতন্ত্র করেছে এই উদাহরণ কেউ দেখাতে পারবে না, যারা এসব করছেন তাদের শক্ত জবাব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশের কল্যাণে আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমি কিন্তু বাকশালের কথা বলছি না, ইউনিটির ডাইভারসিটি থাকবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাব তৈরি করে ছিলেন শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। যেটিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার স্তম্ভ বলা হয়। স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রবর্তক ছিলেন তিনি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকলে সে দেশ গণতান্ত্রিক হতে পারে না। আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আপনারা (জনগণ) দেখছেন, ১৬ বছর সংবাদপত্রের কী অবস্থা করেছিল আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশে যে পরিবর্তন এসেছে, সে পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হতে হবে সংবাদপত্র। এটি না পারলে সব ব্যর্থ হবে।
সংস্কার, নির্বাচন, গণতন্ত্র—এগুলো কোনোটাই মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ নয়; স্ট্যাটিক্সের ভাষায় এরা পাশাপাশি থাকে, কেউ আগে কেউ পরে, এমন মন্তব্যও করেন মঈন খান।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রভেদ দেখিয়ে দিয়ে মঈন খান বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন সৈনিক হয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরে দিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ শব্দ উর্দু, এর অর্থ হলো জনগণের দল। জনগণের দল হয়েও আওয়ামী লীগ কী করেছে? তারা গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রে গেছে। এটাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির প্রভেদ।
আরটিভি/একে-টি