মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খালাস পেয়েছেন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি লিখেছেন, মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এই রায় হক্বের ঝলক এবং মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। উচ্ছ্বাস নয়, মিছিল নয়, স্লোগান নয়। মহান আল্লাহর শানে আসুন মাথানত করি। তার পবিত্রতা ঘোষণা করি, তার শুকরিয়া আদায় করি এবং আল্লাহ তা’য়ালার তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করি। সকল সহকর্মীর প্রতি এটিই একমাত্র অনুরোধ।
এদিকে, রায় ঘোষণার পর সাংবাদিদের সঙ্গে কথা বলেছেন আজহারুল ইসলামের আইনজীবী শিশির মনির।
তিনি বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সব অভিযোগ থেকে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আজ থেকে, এখন থেকে এ টি এম আজহারুল ইসলাম ‘ইজ এন ইনোসেন্ট ম্যান (একজন নিষ্পাপ মানুষ)’। এই রায়ের মাধ্যমে মিথ্যা পরাজিত হয়েছে।
এর আগে, গত ২২ এপ্রিল আজহারুলের করা আপিল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ৬ মে দিন ধার্য করা হয়। ধার্য তারিখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। ৬ মে আপিলকারীর পক্ষে আইনজীবী শুনানি করেন। শুনানি নিয়ে সেদিন আপিল বিভাগ ৮ মে দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় সেদিন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগে রায়ের জন্য ২৭ মে দিন রাখেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন তিনি।
এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে আজহারুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ রায় দেন। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল। এই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি লিভ মঞ্জুর করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সেইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দিতে বলা হয়।
আরটিভি/আরএ/এস