ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

গরুর মাংসের দোকান বন্ধের হিড়িক (ভিডিও)

আরটিভি নিউজ

শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০২৩ , ১০:৩৪ পিএম


গরুর মাংসের চড়া দামে হাঁসফাঁস ভোক্তাদের। চার বছরে দাম বেড়েছে প্রায় ‍দ্বিগুণ। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে সাতশ থেকে আটশ টাকায়। এমন বাস্তবতায় খাদ্য তালিকা থেকে মাংস বাদ দিচ্ছেন মধ্য ও নিম্নবিত্তরা। আর বিক্রি কমে যাওয়ায় এরই মধ্যে অনেক গরুর মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিই এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী। 

বিজ্ঞাপন

প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণের বড় উৎস গরুর মাংস। খেতেও সুস্বাদু। তাই উৎসব-পার্বণের পাশাপাশি বাঙালির খাদ্য তালিকায় গরুর মাংস ছিল অন্যতম অনুষঙ্গ। 

তবে গেল কয়েক বছর ধরে একটু একটু করে গরুর মাংস নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে। ২০১৯ সালে কেজি প্রতি যে মাংস বিক্রি হতো মাত্র সাড়ে চারশ টাকায়, চার বছরের ব্যবধানে তার দাম উঠেছে সাড়ে সাতশ থেকে আটশ টাকায়।

বিজ্ঞাপন

ভোক্তারা বলছেন, আগে সপ্তাহে একবার গরুর মাংস কিনলেও বর্তমানে মাসে একবারও গরুর মাংস কিনতে পারছেন না তারা। বর্তমান বাজার দর হিসেবে গরুর মাংস কিনে খাওয়াটাই কষ্টসাধ্য।    

গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধিতে সংকটে বিক্রেতারাও। তারা বলছেন, ৮০০ টাকা করে বিক্রি করছি, দাম বাড়ায় কেউ নিতে চায় না। আগে ১০০ কেজি গরুর মাংস বিক্রি হলেও এখন তার অর্ধেকও হয় না।

খামারিদের দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কারণে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিই এ সংকটে মূল কারণ। তারা বলছেন, সব কিছুরই দাম বাড়তি। এখন যেমন চলছে এ দাম আর কমবে না, সামনে আরও বাড়বে। 

বিজ্ঞাপন

মাংসের বাজারে স্বস্তি ফেরাতে আমদানি উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

বিজ্ঞাপন

সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, দেশের ভিতরে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যেখানে গলদ বা ঘাটতি রয়েছে সেটা ঠিক করতে হবে। একইসঙ্গে আমদানির জন্য বাজার উন্মুক্ত করে দেওয়া।

এ ছাড়া গো-খাদ্য আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানান বিশ্লেষকরা।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |