নির্বাচনের পর নতুন সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ সব থেকে বেশি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের জন্য আগামীর কূটনৈতিক পথ মসৃণ নয়, তবে আলাপ-আলোচনা বাড়িয়ে এ সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। জাতিসংঘ ছাড়াও পশ্চিমা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে ছোটখাটো টানাপোড়েন দেশের স্বার্থে সমস্যা সমাধানের পথ এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন সাবেক কূটনীতিকরা।
-
আরও পড়ুন : ভোটের রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণ, মামলার রায় আজ
রাজনীতিতে চরম নাটকীয়তার বছর ছিল ২০২৩। সরব ছিল কূটনৈতিক তৎপরতা। ২০২৩ সালের শেষে নির্বাচনের তফসিল ও ২০২-এর শুরুতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। দেশের রাজনীতিতে আগে এত কূটনৈতিক তৎপরতা না-থাকলেও এবারের এমন তৎপরতার পর বিভিন্ন মহলে কথা উঠছে এ বিষয়ে।
এমন বাস্তবতায় আলোচনা ব্যতীত কূটনৈতিক সমাধানের পথ দেখছেন না সাবেক কূটনীতিক মুন্সি ফয়েজ আহমেদ। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কিছুটা সমস্যা হয়ে থাকলে সেগুলো ঠিক করে নতুন করে এগিয়ে যেতে হবে। ভারত, চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কগুলোকে আবার ঝালিয়ে নিতে হবে।
ফয়েজ আহমেদ আরও বলেন, পশ্চিমাদেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। তবে যেসব বিষয়ে টানাপোড়েন বা প্রশ্ন এসেছে সেসব দেশের প্রতি আমাদের বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
-
আরও পড়ুন : জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে ফের বাংলাদেশের নির্বাচন
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক সাহাব এনাম খানের মতে, পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনৈতিক আগ্রহ আছে বাংলাদেশে। তাই দূরত্ব তৈরি হওয়ার সম্ভবনা কম। তিনি বলেন, বর্তমানে তাদের সঙ্গে দূরত্বতা আদর্শিক, সেটা আলোপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।
পশ্চিমাদেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের কল্যাণে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনৈতিক কার্যক্রমকে আরও কৌশলী ও শক্তিশালী করবেন বলে প্রত্যাশা বিশ্লেষকদের।