• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১
logo

সহসাই চালু হচ্ছে না শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল

শরিয়ত খান

  ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৩:০৮

সহসাই চালু হচ্ছে না শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। সাড়ে চার বছরে ৯৭ ভাগ কাজ শেষ করে, এখন চলছে ধীরগতি। পরিচালন ব্যয় নির্ধারণ নিয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তি সই না হওয়ায় তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

আকাশ পথের যাত্রীদের চাপ সামলানো আর আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিতে বিমানবন্দরে গড়ে তোলা হয় ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের এই তিনতলা টার্মিনাল। যেখানে রয়েছে ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম, অ্যারাইভাল লাউঞ্জ, ডিউটি ফ্রি শপ, বোর্ডিং ব্রিজসহ ৫৪টি কাউন্টার।

এ ছাড়া ট্রানজিট যাত্রীদের জন্য আলাদা লাউঞ্জ, ভিআইপিদের জন্য তিন হাজার ৬৫০ বর্গমিটার এলাকা, বর্হিগমন ও আগমনীর ১২৮টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার রয়েছে। তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের ব্যয় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা।

গত বছরের অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন বলা হয়েছিল, এক বছরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে পূর্ণরূপে চালু করা হবে টার্মিনালটি। তবে, চলতি বছরের অক্টোবরে সব কাজ শেষ হলেও পূর্ণরূপে চালু করা নিয়ে অনিশ্চিত কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, টার্মিনাল পরিচালনা ব্যয় নির্ধারণ নিয়ে জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে পিপিপি চুক্তি এখনও হয়নি। তারপরও বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃর্পক্ষের আশা অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুখ খান বলেন, টার্মিনালের কিছু কাজ বাকি আছে, যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হবে। আশা করছি, চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা আগামী বছরের শুরুতে নতুন টার্মিনাল চালু হবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যাত্রী চলাচলের জন্য টার্মিনাল প্রস্তুত করতে আরও দেড় থেকে দুই বছর লাগবে।

উল্লেখ্য, তৃতীয় টার্মিনালটি চালু হলে এটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও হজ ক্যাম্পের সঙ্গে টানেলের মাধ্যমে যুক্ত হবে।

মন্তব্য করুন

  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাদিক এগ্রোর ‘ব্রাহমা কেলেঙ্কারি’ তদন্তে এবার বিমানবন্দর কাস্টমসে দুদক 
বেনজীরের চেয়েও ‘ক্লাব প্রেমে’ এগিয়ে পরীমণিকাণ্ডে আলোচিত নাসির
ফাইনালের আগে বিমানবন্দরে ৬ ঘণ্টা আটকা প্রোটিয়ারা
বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে বাস সার্ভিস