গতি পাচ্ছে দুর্নীতির মামলা
গতি পাচ্ছে দুর্নীতির মামলাগুলো। মাস তিনেক আগে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তথ্য সামনে এলে তৎপর হয় দুদক। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সাধারণ ছুটির কারণে সরকারি অফিস বন্ধ থাকে। তবে আন্দোলনের সময় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের কাজের কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি বলে দাবি, সংস্থাটির আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খানের।
সরকারি চাকরিজীবীদের দুর্নীতি, অর্থ পাচারের বিষয়টি আলোচনায় আসে গত ৩১ মার্চ পুলিশের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর।
এর পরপরই তৎপর হয়ে ওঠে দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রতিদিনই কোনো-না কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে তলব শুরু করে সংস্থাটি। মামলাও হয় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযানও চালায় দুদক। আলোচিত এই ইস্যুর মাঝেই সামনে আসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন। আন্দোলন-সংঘাতে স্থবিরতার পর টানা তিনদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। কারফিউর কারণে সরকারি-বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম চলে ধীর গতিতে।
প্রশ্ন ওঠে, এমন পরিস্থিতিতে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান, সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনসহ চলমান দুর্নীতির মামলাগুলো কি চাপা পড়ে যাবে?
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো সম্ভাবনাই নেই। আন্দোলন বা কারফিউতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না।
দুর্নীতির মামলা ও তদন্তাধীন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন দুদক কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, চলমান যে মামলাগুলো আছে সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে চলে যাচ্ছে। যেগুলো তদন্ত করে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো এখন বিচারিক পর্যায়ে স্বাক্ষর চলছে। কোনোটা অভিযোগ গঠন পর্যায়ে আছে। এ ছাড়া যে মামলাগুলোর তদন্ত এখনো শেষ হয়নি, সেগুলো দ্রুত শেষ করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
স্বার্থান্বেষী কোনো মহল সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করলেও কেউ পার পাবে না বলে জানান দুদকের এই আইনজীবী।
মন্তব্য করুন