লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নতুন অধিনায়ক বেন স্টোকস ও কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের অধ্যায় শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। অনেক বদলের ইঙ্গিত দিয়ে ম্যাচটি শুরু করেছিল ইংলিশরা। দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের পেসাররা।
কিন্তু তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতি শেষে উল্টো চাপে পড়ে হার উঁকি দিচ্ছিল ইংলিশদের। সেখান থেকে রুটের অপরাজিত ২৬তম টেস্ট শতক ও অধিনায়ক স্টোকসের দারুণ অর্ধশতকে কিউইদের বিপক্ষে জয়ে নতুন অধ্যায় শুরু করলো ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে স্টোকস ও ম্যাককুলাম দুইজনই হলেন ঘরের শত্রু বিভীষণ। স্টোকস তো কেবল কিউই বংশোদ্ভুত অপরদিকে ম্যাককুলাম তো রীতিমতো নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়কই ছিলেন।
লর্ডসে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে চিত্রপট বদলিয়েছে। টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে জেমস অ্যান্ডারসন ও ম্যাথু পটের বোলিং তোপে মাত্র ১৩২ রানে থেমে যায় কিউইরা। এই দুই ইংলিশ পেসার নেন ৪টি করে উইকেট।
এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪১ রানে থেমে যায় ইংল্যান্ডও। কিউই দুই ফ্রন্টলাইন পেসার টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট ৭ উইকেট শিকার করে নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮৫ রান তোলে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।
দলটির পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ড্যারিল মিচেল শতক হাঁকিয়ে ১০৮ রান করেন। আরেক ব্যাটসম্যান টম ব্লান্ডেল ৯৬ রান করে ফিরেন।
চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য তখন ২৭৭ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই পথ হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। মাত্র ৬৯ রানে হারায় ৪ উইকেট। এরপর ১ রান করে স্টোকসও বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। তবে নতুন নেতৃত্ব পাওয়া স্টোকস যেন ভাগ্য নিয়েই নেমেছেন।
ডি গ্র্যান্ডহোমের নো বলের সুবাদে মাঠে ফেরেন স্টোকস। শেষ পর্যন্ত রুটের সঙ্গে ৯০ রানের জুটি গড়ে দলকে ম্যাচে ফেরান স্টোকস। নিজে অবশ্য ৫৪ রান করে ফেরেন। বেন ফোকসকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন সাবেক অধিনায়ক রুট। ইংল্যান্ড জেতে ৫ উইকেটে।
ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে থাকা রুট নিজের ২৬ তম শতক তুলে দলের জয় নিশ্চিত করেন ১১৫ রানে অপরাজিত থেকে। এই রান করার পথে চতুর্দশ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দশ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন রুট।