যে কারণে ভারতের কাছে হারল বাংলাদেশ
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভালো শুরুর পরও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ইনিংসের কলেবর বেশি বড় করতে পারেনি বাংলাদেশ। বল হাতেও একই দশা। শুরুর ওভার মেইডেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২২ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।
সাম্প্রতিক সময়ে শুরুর মতো শেষটা কিছুতেই করতে পারছে না বাংলাদেশ নারী দল। যে কারণে হারের বৃত্তে আটকে থেকেই দিন পার করতে হচ্ছে নিগার সুলাতানা জ্যোতির দলকে। আর ভারতের বিপক্ষে এটি যেন নিত্যদিনের নিয়মিত দৃশ্য।
সবশেষ নারী ক্রিকেটাররা জয় পেয়েছিল গেল বছরের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর আর সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে খেললেও জয়ের মুখ দেখতে পারেনি টাইগ্রেসরা। সবশেষ ১১ বছর পর হোম অফ ক্রিকেটে খেলতে নেমে সেখানেও একই দশা। ভাগ্যের চাকা হারের বৃত্ত ধরেই ঘুরছে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের।
অভিজ্ঞতায় ভারতের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ সেটা দৃশ্যমান। তাহলে কি ব্যাট বল হাতে ভালো শুরু পরও এই অভিজ্ঞতার অভাবেই এমন অসহায় আত্মসমর্পণ? উত্তরটা এলো জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির কাছ থেকে।
হারের কারণ হিসেবে অভিজ্ঞতা নয় বরং দায় দিচ্ছেন ক্রিকেটারদের মনোযোগের অভাবকে।
জ্যোতি বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে বলবেন যে ইন্টেন্টের অভাব আছে। অভিজ্ঞতা বলতে কী, যখন আপনি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নামবেন তখন অবশ্যই আপনি অভিজ্ঞ; তাই আপনাকে নামানো হচ্ছে। কারণ নিয়মিত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছি, হয়তো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছি না। আমাদের ওই পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, কোচিং স্টাফরা অনুশীলন করাচ্ছে। তাহলে কেন পারছি না? হয়তো ইন্টেন্টের তো একটা বিষয় থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় মনোযোগের ঘাটতিও হতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, আমার মতো খেলে গেলাম। এমনও হতে পারে। যদি একটু ওভারকাম করতে পারি….স্কিল থাকলে কেন পারফরম্যান্স হবে না।’
পাশাপাশি তিনি হারের দায় চাপিয়ে দেন ব্যাটারদের ওপর।
টাইগ্রেস দলপতি বলেন, ‘দুইটা ডট বল দিলে একটা চাপ তৈরি হয়, সেটাকে ওভারকাম করতে আরও দুটো ডট হচ্ছে। যখন স্বর্ণা এই কাজটা করবে বা আন্ডার নাইন্টিন খেলে আসছে তাদের জন্য ঠিক আছে। তারা হয়তো উপরের লেভেলের ক্রিকেট কম খেলেছে। কিন্তু যারা নিয়মিত বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে তাদের কাছ থেকে এরকম ব্যাটিং একটু হতাশাজনক।’
মন্তব্য করুন