নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম সেশনটা ভালোই কেটেছিল বাংলাদেশ দলের। ২ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের ২৭তম ওভারেই দলীয় শতরান পেরিয়ে যায় লাল-সবুজেরা। তবে প্রথম সেশনের শেষ দিকে অধিনায়ক শান্ত প্যাভিলিয়নে ফিরলে তৃতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে জুটি গড়েন মমিনুল হক। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন জয়। তবে হঠাৎই হোঁচট খায় লাল-সবুজেরা।
ইশ সোধির বলে কট-বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন জয়। ফেরার আগে ১৬৬ বলে ১১ চারের মারে খেলেন ব্যক্তিগত ৮৬ রানের ইনিংস। এর আগের ওভারেই ফেরেন অভিজ্ঞ মুমিনুল হকও। পরপর দুই ওভারে দুই ব্যাটারকে হারিয়ে দারুণ খেলতে থাকা টাইগাররা আবারও ব্যাকফুটে চলে যায়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শান্ত। ওপেনিংয়ে মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গী হন জাকির হাসান। ওপেনিং জুটিতে তারা দারুণ শুরু এনে দেন। তবে এজাজ প্যাটেলের করা দারুণ এক বলে দলীয় ৩৯ রানে প্রথম উইকেটের পতনও হয়। তার ওভারের তৃতীয় বলে পরাস্ত হন জাকির। এতে মাত্র ১২ রানেই শেষ হয় এই ওপেনারের ইনিংস।
এরপর ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাবে খেলতে থাকেন অভিষিক্ত অধিনায়ক। সোধি, প্যাটেলদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটটাই খেলেন তিনি। জয়ও তাকে দারুণ সঙ্গ দেন।
এই জুটিতেই রানের চাকা সচল থাকে। তবে লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে প্রথম ইনিংসে নিজের শেষটা রচনা করে ফেলেন শান্ত। গ্লেন ফিলিপসের ফুল টস ডেলিভারিতে অতি আগ্রাসী শট খেলতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। মিড-অনে ক্যাচ তালুবন্দি করেন কেন উইলিয়ামসন। ফলে ৩৫ বলে ৩৭ রান করেই শেষ হয় শান্তর ইনিংস।
তবে লাঞ্চ বিরতির আগে আর কোনো উইকেট হারায়নি লাল-সবুজ শিবির। ২৭ ওভারে ১০৪ রান তুলে টাইগাররা। প্রথম সেশনে ৭৭ বলে ৪২ রানে জয় এবং অভিজ্ঞ মমিনুল ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
শান্তকে হারানোর আক্ষেপ নিয়েই মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় টিম টাইগার্স। এরপর দ্বিতীয় সেশনেও বেশ সাবধানী মেজাজে রানের চাকা সচল রাখেন ডানহাতি এই ওপেনার। একেবারে টেস্ট মেজাজে খেলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন জয়। ৯টি চারের সাহায্যে ক্যারিয়ারের চতুর্থ পঞ্চাশ ছুঁতে তাকে ৯৩ বল খেলতে হয়েছে।
এই জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১৮০ রানের মাথায় গ্লেন ফিলিপসের বলে কট-বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মমিনুল। আউট হওয়ার আগে ৭৮ বলে খেলেন ৩৭ রানের ইনিংস।
অন্যদিকে ফিফটির পর ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় শতকের দিকে এগোচ্ছিলেন জয়। তবে তিনিও ফেরেন পরের ওভারেই। ইশ সোধির বলে স্লিপে ড্যারিল মিচেলের মুঠোবন্দী হয়েছেন তিনি।