টি-টোয়েন্টি সিরিজও হারল বাংলাদেশ
ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়া নারী দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ৯৫, ৯৭ এবং ৮৯ রান। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে কোনো ম্যাচেই দলীয় শত রান পূরণ করতে পারেননি টাইগ্রেসরা।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে অজিদের ১২৭ রানের রেকর্ড লক্ষ্য দিলেও পরাজয় এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৮ রানে হেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ফলে ওয়ানডের পর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটেও সিরিজ খোয়াল টাইগ্রেসরা।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬১ রানের সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে নির্ধারিত ৯ উইকেটে ১০৩ রানে থামে টাইগ্রেসদের ইনিংস। এতে ৫৮ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল অজিরা।
১৬২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়েন দিলারা আক্তার ও মুর্শিদা খাতুন। তবে মুর্শিদা আউট হলেই খেই হারিয়ে ফেরে টাইগ্রেসরা।
স্কোরবোর্ডে মাত্র ১২ রান যোগ করতেই আরও ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর খাঁদের কিনারায় ধুঁকতে থাকা টাইগ্রেসদের টেনে নেওয়ার চেষ্টা চালান ফাহিমা খাতুন ও স্বর্না আক্তার। তবে দলীয় ৭৮ রানে ব্যক্তিগত ১৫ রানে ফাহিমা ফিরলে সেই আশাও নুইয়ে পড়ে।
সেখান থেকে আর দলের হাল ধরতে পারেননি লাল-সবুজেরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানে থামে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে অজিরা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন অ্যাশলে গার্ডনার ও সোফি মোলিনাক্স।
এর আগে, টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই ধাক্কা খায় অজিরা। দলীয় ১৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার ফোবি লিচফিল্ড। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ২ রান।
এরপর শুরুর ধাক্কা সামাল দেন গ্রেস হ্যারিস ও জর্জিয়া ওয়ারহ্যাম জুটি। এই জুটি থেকে আসে ৯১ রান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে হাফ-সেঞ্চুরির পর ৩০ বলে ৫৭ রান করে ফেরেন জর্জিয়া। এই ব্যাটারের বিদায়ের পরই মূলত অজিদের ব্যাটিং লাইন-আপে মূল ধস নামে। এরপর আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি।
অন্যদিকে শেষ ওভারে অজি শিবিরে তাণ্ডব চালান টাইগ্রেস ফারিহা তৃষ্ণা। তার হ্যাটট্রিকে সংগ্রহ বড় করতে পারেননি অজিরা।
শেষ দিকে অ্যালিসি পেরির ২৯ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬১ রানের পুঁজি পায় সফরকারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ফারিহা তৃষ্ণা।
মন্তব্য করুন