অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে জিম্বাবুয়ের মান বাঁচানো পুঁজি
শঙ্কা ছিল টাইগার বোলারদের দাপটের দিনে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই শঙ্কা রীতিমত দুঃস্বপ্নে রূপ দিয়েছে রোডেশিয়ানদের লোয়ার-অর্ডার। অষ্টম উইকেটে মাসাকাদজা ও মাদান্দের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সফরকারীরা।
শুক্রবার (৩ মে) মাসাকাদজা ও মাদান্দের ৭৫ রানের জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের সংগ্রহ গড়েছে সিকান্দার রাজার দল।
টস জিতে বোলিংয়ে নেমে টাইগারদের হয়ে ইনিংসের শুরু করেন শরিফুল। তার ওভারে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে অভিষেক রাঙান জিম্বাবুয়ের ওপেনার জয়লর্ড গাম্বির। একই ওভারে আরও একটি চার হাঁকান এই ওপেনার। শরিফুলের হাফ ভলিতে মাপা শটে তুলে নেন ৮ রান।
তবে উদ্বোধনী জুটি থিতু হতে দেননি মেহেদী। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে আরভিনকে পরাস্থ করেন। মেহেদীর দ্বিতীয় বলেই উড়ে যায় ওপেনার ক্রেগ আরভিনের অফ স্ট্যাম্পের বেলস। মাপা লেংথের বলে সামনে পায়ে একটু জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন আরভিন। তবে ব্যাটে না পাওয়ায় রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
এরপর আক্রমণে এসেই ভেলকি দেখান ১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার ফুল লেংথের সুইংয়ে রীতিমত খাবি খান অভিষিক্ত গাম্বি। শর্ট ফাইন লেগে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার।
ষষ্ঠ ওভারে জোড়া উইকেট হারায় সফরকারীরা। রান আউটের ফাঁদে পরে কাটা পড়েন ব্রায়ান বেনেট। ১৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন বেনেট।
এরপর ক্রিজে নেমেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সিকান্দার রাজাও। রোডেশিয়ানদের অধিনায়ককে টিকতে দেননি শেখ মেহেদি। তাকে সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। আর প্রথম স্লিপে কোনো ভুল করেননি লিটন। চোখের পলকে ১ উইকেটে ৩৬ থেকে ৪ উইকেটে ৩৬ রানে পৌঁছায় সফরকারীরা।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে এসে ফের জোড়া উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এতে ৯ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
প্রথম বলে উইলিয়ামস এবং পরের বলেই বার্লকে ফেরান তাসকিন। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন তারা। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও দেখেশুনে সেই বলটি ছেড়ে দেন লুক জঙ্গি।
৭ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে সফরকারীরা। এরপর জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন মাসাকাদজা এবং মাদান্দে। টাইগার বোলারদের সামলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন তারা। শেষ পর্যন্ত তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট খুইয়ে ১২৪ রানে থামে রোডেশিয়ানরা।
স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন এবং সাইফউদ্দিন। এ ছাড়া মেহেদীর শিকার দুই উইকেট।
মন্তব্য করুন