টিভিতে আজকের খেলা
বক্সিং ডে টেস্টের চতুর্থ দিনে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া-ভারত এবং পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচ রয়েছে।
ক্রিকেট
মেলবোর্ন টেস্ট—৪র্থ দিন
অস্ট্রেলিয়া–ভারত
ভোর ৫–৩০ মি., স্টার স্পোর্টস ১
সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট—৩য় দিন
দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান
বেলা ২টা, স্পোর্টস ১৮-১ ও পিটিভি স্পোর্টস
ফুটবল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
লেস্টার-ম্যান সিটি
রাত ৮-৩০ মি., স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
টটেনহাম-উলভারহ্যাম্পটন
রাত ৯টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২
ওয়েস্ট হাম-লিভারপুল
রাত ১১-১৫ মি., স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
আরটিভি/এমএম
মন্তব্য করুন
ছেলেদের যেসব প্রশ্নের কারণে ৪১ বছরেও বিয়ে করেননি ক্রিকেটার মিতালি
ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম মিতালি রাজ। ভারতকে দুটি বিশ্বকাপ ফাইনালে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। বয়স ৪১ পার হলেও এখনও বিয়ে করেন তিনি। বিয়ে নিয়ে এতদিন চুপ থাকলেও এবার মুখ খুলেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
সম্প্রতি রণবীর আলাবাদিয়ার একটি শোতে বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন মিতালি। যেখানে বিয়ে না করার কারণ হিসেবে ছেলেদের অদ্ভুত কিছু প্রশ্নকে দায়ী করেছেন তিনি। যে কারণে জীবনের আগে ক্রিকেটকেই বেছে নিয়েছিলেন এই ক্রিকেটার।
বিয়ের ক্ষেত্রে মিতালি ছেলেদের প্রথম যে কথাটি সামনে এনেছেন সেটি হলো—বিয়ের পর খেলাধুলার পাঠ চুকিয়ে সংসারে মন দিয়ে বাচ্চা মানুষ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি সত্যিই কিছু কথার কোনো মানে খুঁজে পাই না। আমার এক নিকটাত্মীয় কয়েকটা পাত্র খুঁজেছিল, আমায় তাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছিল। আমি রাজি হয়েছিলাম। একটু কথা বলার পরই সবাই সোজা বিয়ে পরবর্তী চিন্তাভাবনায় চলে যেত। যে কতগুলো বাচ্চা আমাদের দরকার, আমি এসব কথা বলায় একটু পিছিয়েই পড়তাম। আমি তখনও দেশের ক্রিকেটের কথাই ভাবতাম, তখনও আমায় বলত যে ক্রিকেট ছেড়ে দিতে হবে।
এরপর আরও একটি প্রশ্নের কথা শেয়ার করেন মিতালি। তার ভাষ্য, আমি সেই সময় ভারতীয় দলের অধিনায়ক। একজন পাত্র আমায় বলল, বিয়ের পর তোমায় খেলা ছেড়ে দিতে হবে, বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে হবে। আমি তখনও ওর কথাগুলো শুনে নিচ্ছিলাম।
‘এরপর হঠাৎই জিজ্ঞাসা করল, যে তার মায়ের কিছু হলে আমি ক্রিকেট খেলব না তাকে দেখব? আমিও পাল্টা বললাম, এটা কী ধরনের প্রশ্ন? তখন সে বলেছে, আমি দেখতে চাই তোমার কাছে কে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এরপর আমি বললাম, যে পরিস্থিতির ওপর সব নির্ভর করে। আমি ছেলেটার নাম জানি না, তবে বিষয়টা আমাকে খুব বিরক্ত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, আমার মনে আছে, আমার একজন ক্রিকেটার বন্ধু আমায় বলেছিল কিছু বিষয় মানিয়ে নিতে হবে। কারণ, কেউ আমায় আমার বর্তমান লাইফস্টাইল নিয়ে থাকতে দেবে না। আমি ওকে বলেছিলাম, যে ওসব প্রশ্নের কোনো মানেই নেই। কিন্তু ও বলেছিল, অনেক ছেলেরাই এ রকম প্রশ্ন করে।
‘তখনও আমি কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি, পরে আমি ভাবলাম। আমার মা-বাবা এত কষ্ট করে আমার ক্যারিয়ার গড়তে সহযোগিতা করেছে, এত কিছু ত্যাগ করেছে। তাই কোনো অচেনা-অজানা লোকের জন্য এভাবে আমি আমার ক্রিকেট বা ক্যারিয়ারকে ত্যাগ করতে পারব না।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন মিতালি। ক্যারিয়ারে ১২টি টেস্টের সঙ্গে ২৩২টি ওয়ানডে ও ৮৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১০ হাজার ৮৬৮ রান করেছেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার, মেয়েদের ক্রিকেটে যা সর্বোচ্চ।
আরটিভি/এসআর-টি
৩৪৯ রান করে টি-টোয়েন্টিতে নতুন বিশ্বরেকর্ড বারোদার
টি-টোয়েন্টিতে রান বন্যা দেখার জন্যই অনেক দর্শক মাঠের গ্যালারিকে অলঙ্কৃত করেন। এবার রান বন্যার নতুন রেকর্ড লিখেছে ২০ ওভারে ৩৪৯। ভারতের সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফিতে সিকিমের বিপক্ষে বারোদার ম্যাচে দেখা গেল এই নতুন রেকর্ড। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে দলীয় সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড এটি।
এর আগে ভারত বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছে ২৯৭ রান। যেটা টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর জন্য সর্বোচ্চ ছিল। পরে জিম্বাবুয়ে নিজেদের স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ৩৪৪ রান। যেটা টি-টোয়েন্টির যে কোনো পর্যায়েই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল।
সিকিমের বিরুদ্ধে দলটি ব্যাটিংয়ে নেমে আরও কিছু রেকর্ড গড়েছে বারোদা। শ্বাশত রাওয়াত ও অভিমন্যু সিং রাজপুত ওপেনিং জুটিতে ৫ ওভারেই তোলেন ৯২ রান। বারোদা দলীয় স্কোর কার্ডে শতরান ছুঁয়ে নেয় পাওয়ার প্লের আগেই।
এরপর বোলারদের তুলোধুনো করতে থাকেন তিনে নামা ভানু পানিয়া। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৪২ বলেই করেন সেঞ্চুরি। আর ৫১ বলে ১৩৪ রান নিয়ে ইনিংস শেষে অপরাজিত থাকেন তিনি। ভানুর এই ইনিংসের সুবাদেই টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় দুইশ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েছে বারোদা। মাত্র ১০.৩ ওভারেই দুইশ কোটা পূর্ণ করে দলটি।
১৮তম ওভারে ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় দল হিসেবে ৩০০ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে বারোদা। ২০২৩ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ৩১৪ এবং চলতি বছর গাম্বিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ৩৪৪ রানের রেকর্ড টপকে ২০ ওভারে ৩৪৯ রানে থামে বারোদার ব্যাটিং ঝড়।
এমন বিশাল স্কোরের পথে অবশ্য আরও একটা রেকর্ড গড়েছে বারোদা। পুরো ইনিংসে তারা হাঁকিয়েছে ৩৭ ছক্কা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার নতুন রেকর্ড এটি। এর আগে গাম্বিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে হাঁকিয়েছিল ২৭ ছক্কা। বারোদার ইনিংস ছাপিয়ে গেছে তাদেরও।
আরটিভ/এমএম/সআর
দিবারাত্রি টেস্টের জন্য একাদশ ঘোষণা করল অস্ট্রেলিয়া
ভারতের বিপক্ষে পার্থ টেস্টে বড় ব্যবধানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের দ্বিতীয় ও অ্যাডিলেট টেস্ট। এই ম্যাচকে সামনে রেখে একাদশ ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় টেস্টে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে স্বাগতিকরা। ইনজুরির কারণে দিবারাত্রির এই টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন হ্যাজেলউড। তার জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন স্কট বোল্যান্ড। ২০২৩ সালের অ্যাশেজের পর আবারও একাদশে জায়গা পেলেন ৩৫ বছর বয়সী এই পেসার।
এদিকে ইনজুরির শঙ্কা থাকলেও দ্বিতীয় টেস্টে একাদশে রয়েছেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। তবে নেটে তাকে শুধু ব্যাট করতে দেখা গেছে। কথা ছিল, মার্শ না খেললে দলে অভিষেক হতে পারে বেন ওয়েবস্টারের।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে ছন্দে নেই অজিদের তিন টপ অর্ডার ব্যাটার লাবুশেন, স্মিথ ও খাজা। তবে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও তাদের উপরই ভরসা রাখছে অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট।
দ্বিতীয় টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়ার একাদশ
প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), নাথান ম্যাকাসুইনি, উসমান খাজা, স্টিভ স্মিথ, মারনাস লাবুশেন, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন ও স্কট বোল্যান্ড।
আরটিভি/এসআর-টি
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইস্যুতে পিসিবির শর্তে রাজি ভারত!
আগামী বছর পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। কিন্তু পাকিস্তানে গিয়ে এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চায় না ভারতীয় দল। এদিকে পাকিস্তানও এই টুর্নামেন্ট হাত ছাড়া করতে চায় না। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি অবস্থানে এখনও নিশ্চিত হয়নি চ্যাম্পিয়ন ট্রফির ভবিষ্যৎ।
এই সমস্যা সমাধানে দুইবার বৈঠকে বসলেও ভেন্যু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। কারণ, পিসিবি চেয়ারম্যান জানিয়ে দিয়েছেন সবকিছুর সমতার ভিত্তিতে। ভারতীয় দল পাকিস্তানে না আসলে বাবর-রিজওয়ানরাও ভারতের যাবে না।
ভারত শুরু থেকেই হাইব্রিড মডেলের কথা বলে আসছিল। কিন্তু পাকিস্তান তা মানতে নারাজ। কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল হাইব্রিড মডেল নিয়ে দুটি শর্ত দিয়েছে পিসিবি। প্রথমটি হলো- পিসিবিতে আইসিসির প্রদেয় রাজস্বের হার বাড়াতে হবে।
আর দ্বিতীয়টি হলো ভারত যদি এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না আসে, তাহলে ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টগুলোতে অংশ নিতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান।
যেগুলো নিয়ে আলোচনার হওয়ার কথা ছিল গতকালের বোর্ড সভায়। কিন্তু তা স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে জট কেটেছে বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
আইসিসির এক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইব্রিড মডেল নিয়ে পাকিস্তানের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। পাক বোর্ডের দাবি ছিল, আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত যদি হাইব্রিড মডেলে খেলে তাহলে আগামী দিনে ভারতের আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলোতে পাকিস্তানও হাইব্রিড মডেলে খেলবে। পিসিবির এই দাবিতে সায় দিয়েছে বিসিসিআই।
আইসিসির এক কর্মকর্তা বলছেন, সব পক্ষের সম্মতিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলা হবে পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ভারত দুবাইয়ে ম্যাচ খেলবে। আইসিসি মনে করছে এতে সব পক্ষের দাবিই মানা হলো।
কিন্তু ২০৩১ সাল পর্যন্ত ভারতে খেলতে না গিয়ে তাদেরও হাইব্রিড মডেলে নিরপেক্ষ দেশে খেলা আয়োজনের সুযোগ দিতে হবে বলে দাবি করেছিল পিসিবি। সেটা ২০২৭ সাল পর্যন্ত মানা হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের প্রথম দাবি আইসিসির প্রদেয় রাজস্বের হার বাড়ানো নিয়ে এই প্রতিবেদনে কিছু জানানো হয়নি। তবে আজ (শুক্রবার) দুবাইকে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে আইসিসির। এরপর নিশ্চিত হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভবিষ্যৎ।
আরটিভি/এসআর/এস
খেলোয়াড় সংকটে ফাইনালে অনিশ্চিত রংপুর
লাহোর কালান্দার্সকে ২৩ রানে হারিয়ে গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালের টিকিট পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। কিন্তু খেলোয়াড় সংকটে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রংপুরের অংশগ্রহণ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে রংপুরের তিন খেলোয়াড় সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন ও রিশাদ হোসেনকে বাংলাদেশ দলে যোগ দিতে বলেছে ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তান ডেকেছে খুশদিল শাহকে।
এই চার জনকে বাদ দিলে রংপুরের ১১ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে দেশি থাকছেন ৬ জন। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী একাদশে অন্তত ৭ জন স্থানীয় ক্রিকেটার থাকতে হবে। ফলে ফাইনালের একাদশ সাজাতেই হিমশিম খাচ্ছে রংপুর রাইডার্স।
এক বিবৃতিতে রংপুর রাইডার্স লিখেছে, ‘এই সিদ্ধান্তে খেলার আগেই রংপুরকে হেরে যেতে হবে। এই ধরনের ঘটনা নিঃসন্দেহে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুনাম ক্ষুণ্ন করবে। খেলোয়াড়ের অভাবের কারণে ফাইনালে খেলতে না পারাটা খুবই বিরল। গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর শুধু নিজেদের নয়, সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। তাই এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্যও গভীর হতাশাজনক হবে।’
ওয়েস্ট ইান্ডজের বিপক্ষে ৮ ডিসেম্বর প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। পরের দুটি ম্যাচ ১০ ও ১২ ডিসেম্বর। এরপর তিনটি টি-২০ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
আরটিভি/এমএম/এআর
গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স
টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্লোবাল সুপার লিগ টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল রংপুর রাইডার্স। কিন্তু দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফাইনালে উঠেছিল তারা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য সৌম্য-রিশাদদের জাতীয় দলে ডাক পড়ায় বিপাকে পড়েছিল রংপুর। ফাইনালে অংশগ্রহণ করা নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।
সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে উঠে ফাইনালেও বাজিমাত করেছে বসুন্ধরা গ্রুপের দলটি। ভিক্টোরিয়াকে ৫৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছে রংপুর রাইডার্স।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ফাইনালে আগে ব্যাট করতে নেমে ভিক্টোরিয়াকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর। জবাব দিতে নেমে ১১ বল হাতে থাকতে ১২২ রানে অলআউট হয় ভিক্টোরিয়া। এতে ৫৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন হারমীত সিং। শেখ মাহেদী এবং সাইফ হাসান শিকার করেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়াও কামরুল হাসান এবং রিশাদ হোসেন নেন এক উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রংপুরকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন সৌম্য সরকার এবং স্টিভেন টেইলর। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১২৪ রান। সৌম্য ৩৩ বলে এবং টেইলর ৪৪ বলে ফিফটি তুলে নেন।
৪৯ বলে ৬৮ রান করে টেইলর আউট হলেও ব্যাট চালাতে থাকেন সৌম্য। অপর প্রান্ত থেকে সাইফ হাসান ৬ এবং ম্যাদসেন ১০ রান করে আউট হন শেষ পর্যন্ত সৌম্যর অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংসে ভর করে ১৭৮ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
আরটিভি/এসআর
ভারতকে কাঁদিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জয় বাংলাদেশের
২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তাই এবার শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল জুনিয়র টাইগাররা। যেখানে পুরোপুরি সফল হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে ১৯৯ রানের সহজ লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে ৩৫.১ ওভারে ১৩৯ রান তুলতে পারে ভারত। এতে ৫৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ১ রান করেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার কালাম সিদ্দিকী। ৬৫ বলে ২০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন জাওয়াদ আবরার।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আজিজুল হক তামিমও। মাত্র ১৬ রান করে ফেরেন এই টাইগার অধিনায়ক। রিজানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শিহাব জেমস। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি দুজনের কেউই।
৬৭ বলে ৪০ রান করে ফেরেন শিহাব, ৩ বলে ১ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন দেবাশীষ দেবাও। এরপর ৬৫ বলে ৪৭ রান করে রিজান আউট হলে দলীয় ১৫৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। সামিউন বসির ৪ এবং ১ রান করে উইকেট মিছিলে যোগ দেন আল ফাহাদ।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন ফরিদ হাসান। তাকে সঙ্গ দেন মারুফ মৃধা। ৪৯তম ওভারে চতুর্থ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ফরিদ। ৪৯ বলে ৩৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
শেষ ওভারের প্রথম বলে ইকবাল (১) আউট হলে মারুফ মৃধার অপরাজিত ১১ রানে ভর করে ১৯৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
ভারতের হয়ে হার্দিক রাজ, যুধাজিৎ গুহ ও চেতন শর্মা দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও কিরণ চোরমলে, কেপি কার্তিকেয়া ও আয়ুশ মাত্রে একটি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাটিংয়ের শুরুটা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ভারত। ওপেনার আয়ুশ এক রানে ফাহাদের বলে আউট হলে, বৈভব সূর্যবংশী ৯ রান তুলে মারুফের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। দলীয় ৪৪ রানে ফেরেন সিদ্ধার্থ। এরপর ইমনের পরপর তিন শিকারে ভারতের স্কোর বোর্ডে ৬ উইকেটে ৮১ রান জমা হয়। তবে ক্রিজ আগলে খেলতে থাকেন অধিনায়ক মোহাম্মদ আম্মান। স্কোর বোর্ডে ৯২ রান যোগ করতে এবার ফাহাদের শিকারে আরও এক উইকেট হারায় ভারত।
এরপর অধিনায়কের সঙ্গী হন হার্দিক। রান বাড়তে থাকলে ভারতের ড্রেসিংরুমের আলোচনায়ও জয়ের বাতাস বইতে থাকে। তখন অধিনায়ককে ২৬ রানে থামিয়ে দেন টাইগার জুনিয়র লিডার তামিম। নিজের প্রথম ওভারেই থিতু হতে থাকা আম্মনকে আউট করেন। এরপর আর কেউ জুটি গড়তে না পারলে ১৩৯ রানে থেমে যায় ভারতের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেনে ইকবাল হোসেন ইমন ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। ফাহাদ নেন ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট পান রিজান হোসেন ও মারুফ মৃধা।
২৪ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার খেতাব ও পুরো সিরিজে ১৩ উইকেট শিকার করে সিরিজ সেরার খেতাব বাংলাদেশের ইকবাল হোসেন ইমনের ঝুলিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ (রিজান ৪৭, জেমস ৪০, ফরিদ ৩৯, জাওয়াদ ২০, আজিজুল ১৬, মারুফ ১১; যুধজিৎ ২/২৯, হার্দিক ২/৪১, চেতন ২/৪৮)।
ভারত অনূর্ধ্ব-১৯: ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ (আমান ২৬, হার্দিক ২৪, কার্তিকেয়া ২১, সিদ্ধার্থ ২০, চেতন ১০; আজিজুল ৩/৮, ইকবাল ৩/২৪, আল ফাহাদ ২/৩৪, রিজান ১/১৪, মারুফ ১/৩৬)।
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৫৬ রানে জয়ী।
ম্যান ব দা ম্যাচ: ইকবাল হোসেন ইমন।
আরটিভি/এমএম-টি