প্রথম টেস্টের জিম্বাবুয়েকে পরাস্ত করতে সিলেটে পেস বান্ধব উইকেট তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি টাইগাররা। বিপরীতে শান্ত-মিরাজদের গতির ফাঁদে ফেলে দলকে জয় এনে দিয়েছেন ব্লেসিং মুজরাবানি। তাই চট্টগ্রাম টেস্টে টেস্টে কেমন উইকেট হবে তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
রোববার (২৭ এপ্রিল) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে চট্টগ্রামের পিচ নিয়ে হালকা ধারণা দিয়েছেন হেড কোচ ফিল সিমন্স।
তিনি বলেন, উইকেট দারুণ লাগছে। হার্ড, ফ্ল্যাট। আমরা আশা করি এর ফায়দা নিতে পারব। কিছুটা টার্ন পেলে আশা করি ভালো হবে আমাদের জন্য। তার কথাতেই বোঝা যাচ্ছে চট্টগ্রামের স্পিনারদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকছে।
শেষ টেস্টের জন্য বাংলাদেশ দলের স্কোয়াডে রয়েছেন ৪ স্পিনার ২ পেসার। উইকেটের কারণে আগের ম্যাচের একাদশ থেকেও পরিবর্তন আসবে তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
এ নিয়ে ফিল সিমন্স বলেন, ৩ পেসার, ২ স্পিনার নয়ত ৩ স্পিনার ২ পেসার (এরকম একাদশ) হবে। তবে নির্দিষ্ট করে এখনই বলতে পারছি না। ফাইনাল সিদ্ধান্ত পরে নিব আমরা।
পিএসএল খেলতে পাকিস্তানের রওনা দিয়েছেন নাহিদ রানা। তাই চট্টগ্রাম টেস্টে দেখা যাবে না এই তরুণ পেসারকে। তার গতিকে মিস করবেন বলে জানিয়েছেন সিমন্স।
নাহিদকে নিয়ে টাইগার কোচ বলেন, শক্তি হারিয়েছি বলব না। গতি হারিয়েছি বলতে পারেন, রানার চলে যাওয়ার ফলে। এখানে স্কিলড বোলারও আছে। চট্টগ্রামে আসলে স্লো উইকেট হয়ে থাকে। আশা করি কিছুটা টার্ন বের করতে পারব। এখানের পেসাররা কাজটা করে দিতে পারবে।
নাহিদা পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেতে যাচ্ছেন আরেক তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তাকে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী সিমন্স। তার ভাষ্য, আমার মনে হয় সে যেকোনো ফরম্যাটেই ভালো করতে পারবে। যে লেন্থে সে বল করে, দারুণ পেসও আছে। সাদা বলে স্টাম্পে হিট করে। কট বিহাইন্ড করে প্রায়ই। আশা করি সে ভালো করতে পারবে।
পেস আক্রমণ তিনি আরও বলেন, আমাদের স্কিলে ফোকাস করতে হবে। হাসান (মাহমুদ) ৫ উইকেট নিয়েছে পাকিস্তানে, সেখানে বেশি একটা পার্থক্য নয় এখান থেকে। সাকিব তরুণ এখনও। আমার মনে হয় এখানেও আমাদের ভালো পেসার রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামীকাল (সোমবার) চট্টগ্রাম টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। সিরিজ বাঁচাতে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের সামনে। কারণ, সিলেট টেস্ট জিতে ১-০ তে এগিয়ে রয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে।
আরটিভি/এসআর/এস