চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উড়ন্ত বার্সেলোনাকে মাটিতে নামিয়েছে ইন্টার মিলান। প্রথম লেগে ড্র করার পর দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে কাতালানদের ৪-৩ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা। তবে এই ম্যাচের আগে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দুই দিন কেঁদেছিলেন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের দিনের প্রথম গোলটি করেছিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। তবে মাঝে পিছিয়ে পড়লেও শেষের রোমাঞ্চে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে তার দল। এরপর নিজের সাম্প্রতিক তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন এই বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্টিনেজ বলেন, আমি অনেক সংগ্রাম করেছি– এমনকি আমি নিজের পা তুলতে পারছিলাম না। বার্সেলোনায় প্রথম লেগের পর আমি বাসায় দু’দিন কেঁদে কেঁদে পার করেছি। আমি পুরো সপ্তাহে দ্বিগুণ অনুশীলন সেশন করি এবং চোট থেকে সেরে ওঠার পুরো চেষ্টা চালাই। মাঠে নামার সময় পায়ে শক্ত করে বাঁধা থাকত ব্যান্ডেজ।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ম্যাচে আপনাকে থাকতেই হবে। আমি স্ত্রীসহ বসে কেঁদেছি এবং সেখানে শিশুরাও ছিল। কিন্তু আমি তাদের প্রতিজ্ঞা করেছিলাম– আমি খেলবই। এমনকি আমার এই অবস্থায় মা–ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সকাল থেকে তিনি কল দেওয়া শুরু করেন, কিন্তু তিনি আরও বেশি দুশ্চিন্তায় পড়বেন ভেবে আমি তার জবাব দিইনি।
বার্সেলোনার বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচে প্রথমার্ধে ঊরুতে চোট পান লাউতারো মার্টিনেজ। বিরতিতে তাকে উঠিয়ে নেন কোচ সিমোন ইনজাঘি। যার ফলে দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামার বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে মার্টিনেজকে।
এর আগে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে ইতালিয়ান সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা সিরি-আ’য় সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন লাউতারো। যদিও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ২০২৩ ইউসিএলের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হেরে। তবে এবার শিরোপার জয়ের সুযোগ মিস করতে চান না তিনি।
তাই মার্টিনেজের পুরো মনোযোগ এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে। ওই ম্যাচের আগে তিনি শারিরীকভাবে শতভাগ ফিট হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাবেন। যদিও অনেকটা সময় পাচ্ছেন তিনি। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ জুন।
আরটিভি/এসআর/এস