আইপিএলের ৫৮তম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে খেলতে মাঠে নামে দিল্লি ক্যাপিটালস। ম্যাচ চলাকালীন সময় ভারতের সীমান্তবর্তী কয়েকটি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তান। এই ঘটনায় আইপিএলের ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। এর ফলে শুক্রবার (৯ মে) আইপিএলের ১৮তম আসর স্থগিত করে বিসিসিআই। ভারত সরকারের পরামর্শে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়ার কারণে ম্যাচপ্রতি ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা!
আইপিএলের চলমান আসর স্থগিত করার কারণে অনেকেই মনে করছেন যে ভারতীয় ক্রিকেট বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে। আইপিএল বন্ধ হওয়ায় শুধুমাত্র বিসিসিআই নয় দলের মালিক, খেলোয়াড়, হোস্ট ব্রডকাস্টার, বিভিন্ন ধরণের স্পন্সর সকলেই বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তবে তারা ছাড়াও স্টেডিয়ামের ভিতরে ও বাইরে থাকা বিক্রেতারা, যারা বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করেন, ম্যাচ রাতগুলোতে ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন ক্যাব ও অটোচালকেরা, এমনকি সেই শহরের রেস্তোরাঁ ও পানশালাগুলো যেখানে ম্যাচ উপলক্ষে উপচে পড়া ভিড় হয়।
যদি শেষ পর্যন্ত আইপিএল বাতিল করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে। সেক্ষেত্রে সম্প্রচারকারীরা প্রায় ৫৫০০ কোটি বিজ্ঞাপন আয়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হারাতে পারে। কেন্দ্রীয় আয়ের উপর নির্ভরশীল দলগুলোও বড় আর্থিক সঙ্কটে পড়বে। টিকিট বিক্রি থেকেও আর্থিক ক্ষতি হবে, বিশেষ করে বেঙ্গালুরুর মতো শহরে যেখানে টিকিটের দাম অনেক বেশি ছিল। আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দুটি হোম ম্যাচ বাকি ছিল।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই বিদেশি খেলোয়াড়রা নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন। পরিস্থিতি যদি দ্রুত স্বাভাবিক হয় এবং টুর্নামেন্ট অল্প সময়ের মধ্যে শুরু করা যায় তাহলে অনেকেই আবার ফিরে আসতে পারে। কিন্তু আইপিএল যদি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে বিসিসিআইকে বিকল্প ভাবতে হতে পারে।
আরটিভি/এসকে