আসন্ন সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। অনলাইনে টিকিট ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে সব টিকিট। তবে সিঙ্গাপুর ম্যাচে গ্যালারিতে থাকা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের অন্যতম গোষ্ঠীর ‘ফুটবল আলট্রাস’ এর সদস্যদের।
তাই সোমবার (২ জুন) বিকেলে টিকিটের দাবিতে বাফুফে ভবনের সামনে অবস্থান করছে। তাদের কারো হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে, ‘টিকিট অথবা টিকিট’, ‘আমি এবার চুপ হলাম টিকিট দে’, ‘নো আলট্রাস, নো ফুটবল’।
অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আলট্রাস। বাফুফে ভবনের প্রধান ফটকের সামনেই বসেছেন আলট্রাসের প্রায় ২০জন সদস্য। বাফুফে সমর্থকদের অবস্থানে কোনো বাধা প্রদান কিংবা অন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এর আগে বাফুফের কাছে অর্থের বিনিময়ে টিকিট কেনার জন্য আনুষ্ঠানিক চিঠি দিলেও কোনো উত্তর পায়নি সংগঠনটি। সাম্প্রতিক সময়ে আলট্রাসের দুই-তিন হাজারের টিকিট চাহিদার প্রেক্ষিতে ফেডারেশন ১০০ টিকিট প্রদানে সম্মত হয়। আলট্রা সেটা প্রত্যাহার করে।
আলট্রাস ছাড়াও বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরামসহ আরও কয়েকটি সমর্থক গ্রুপও টিকিটের জন্য হাহাকার করছে। হামজা-সমিতরা আসার পর ফুটবলে সুদিনের হাওয়ায় বইছে। সেই সুদিনে বাফুফে পুরনো স্মৃতি ভোলার পথে।
প্রথমবারের মতো টিকিটিং পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইনে করেছে বাফুফে। টিকিফাই প্ল্যাটফর্ম সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে অনেক সমর্থক টিকিট কাটতে পারেননি। এরপরও নাকি বেশ অল্প সময়ের মধ্যে সকল টিকিট বিক্রি হয়েছে। সমর্থকরা বাফুফের টিকিটিং পার্টনার টিকিফাইকে নিয়ে নানা সমালোচনা করেছে।
প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশে আনার ক্ষেত্রে বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিমকে প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন সমর্থকরা। টিকিটিং ও আরো কিছু ইস্যুতে সেই ফাহাদ করিম এখন সমর্থকদের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শুধু সমর্থক নয়, ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির কয়েকজন ফাহাদ করিমের উপর অত্যন্ত নাখোশ টিকিট সংক্রান্ত কিছু কর্মকান্ডের জন্য।
আরটিভি/এসআর