ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আটের ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে দুই দল। কিন্তু শেষ হাসিটা হেসেছে ভিনি-এমবাপ্পেরা। এতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাতে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ডর্টমুন্ডকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। অতিরিক্ত সময়ে ২ গোল করেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি জার্মান জায়ান্টরা। বিপরীতে ৯৪ গোল করে জয়ের নিশ্চিত করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
গন্সালো গার্সিয়ার গোলে শাবি আলোন্সোর দল এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফ্রান গার্সিয়া। মাক্সিমিলিয়ান ব্যবধান কমানোর পর রেয়ালের তৃতীয় গোলটি করেন এমবাপে। শেষ মিনিটে ডর্টমুন্ডের শেষ গোলটি করেন সেগু গিগাসি।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেন গার্সিয়া। দশম মিনিটে আর্দা গিলের দারুণভাবে বাড়ানো বল ছয় গজ বক্সে পেয়ে, জায়গা বানিয়ে সাইড-ফুট ভলিতে গোলটি করেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। এই টুর্নামেন্টে টানা তিন ম্যাচে এবং পাঁচ ম্যাচে চতুর্থ গোলটি করলেন রেয়ালের যুব দল থেকে উঠে আসা গার্সিয়া।
১০ মিনিট পর আরেক গার্সিয়ার গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউরোপের সফলতম দলটি। ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ফ্রান গার্সিয়া।
আক্রমণ বিভাগ ভালো করার রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারেনি ডর্টমুন্ড। এতে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লস ব্লাঙ্কোসরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ডর্টমুন্ড পাল্টা আক্রমণে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু ফিনিশিংয়ে অভাবে গোল পাচ্ছিল না। ৬৭তম মিনিটে একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন আনেন রিয়াল কোচ জাভি আলোনসো। ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ড, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও জুড বেলিংহ্যামকে তুলে মাঠে নামান কিলিয়ান এমবাপে, দানি সেবালোস ও লুকা মদ্রিচকে।
তাতে দলটির মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ বাড়লেও, আক্রমণে খুব বেশি কিছু করতে পারছিল না কেউ। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষের পর পাল্টে যায় চিত্রপট। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বড় ভুল করে বসেন আন্টোনিও রুডিগার; বল ক্লিয়ার করার সুযোগ পেয়েও উল্টো প্রতিপক্ষের পায়ে তুলে দেন তিনি।
প্রতিপক্ষের ওই উপহার পেয়ে নিচু শটে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি মাক্সিমিলিয়ান। ডর্টমুন্ড সমর্থকদের আশা জাগালেও পাল্টা আক্রমণে আর্দা গিলেরের দারুণ ক্রস ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়ে, অ্যাক্রোবেটিক ওভারহেড কিকে স্কোরলাইন ৩-১ করেন ফরাসি তারকা এমবাপ্পে।
দুই মিনিটের মাথায় আবার লড়াইয়ে নতুন রং লাগে। ডি-বক্সে সেগু গিগাসিকে পেছন থেকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ডিন হুইসেন। আর ওই পেনাল্টি থেকে নিজেই গোল করেন গিনির ফরোয়ার্ড গিগাসি।
ম্যাচে তথন মোটে এক মিনিটের মতো খেলা বাকি। লড়াই অতিরিক্ত সময়ে নেওয়ার লক্ষ্যে শেষ চেষ্টায় ওঠে ডর্টমুন্ড, তাতে প্রায় সফলও হয়ে গিয়েছিল তারা, জোরাল শট নেন মার্সেল সাবিৎজার, ডান দিকে লাফিয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বল গ্লাভসে নিয়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন কোর্তোয়া। এতে ৩-২ গোলের ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় রিয়াল মাদ্রিদের।
উল্লেখ্য, ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী পিএসজির মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ আটে ৯ জনকে নিয়ে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ফরাসি জায়ান্টরা।
আরটিভি/এসআর/এস