বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া হোয়াটসঅ্যাপ এবার ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা আরও জোরদার করতে আনতে যাচ্ছে নতুন ইউজারনেম ফিচার। প্রযুক্তি বিষয়ক নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট WABetaInfo-এর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, খুব শিগগিরই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা নিজেদের জন্য আলাদা ইউজারনেম তৈরি করতে পারবেন, যার মাধ্যমে পরিচয় গোপন রেখে সহজেই চ্যাট করা যাবে।
সম্প্রতি জানা গেছে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা খুব শিগগিরই ইউনিক ইউজারনেম ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। ফলে আর কারও সঙ্গে কথা বলার জন্য নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর শেয়ার করতে হবে না। ইউজারনেম দিয়েই সহজে যোগাযোগ করা যাবে, একদম Instagram বা Telegram-এর মতো।
এই ফিচার বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস দুই প্ল্যাটফর্মেই এটি আসছে। ইউজারনেম তৈরি করার জন্য ৩ থেকে ৩০ অক্ষরের মধ্যে ছোট হাতের ইংরেজি অক্ষর, সংখ্যা, ডট এবং আন্ডারস্কোর ব্যবহার করা যাবে। যেই ইউজারনেম একবার কেউ ব্যবহার করবে, সেটি আর অন্য কেউ নিতে পারবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য আরও নিরাপদ থাকবে। স্প্যাম বা অপ্রয়োজনীয় মেসেজের ঝুঁকি কমবে। কেউ যদি নিজের ইউজারনেম পরিবর্তন করেন, তাঁর কনটাক্টদের তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব ভার্সনেও ইউজারনেমের অ্যাভেইল্যাবিলিটি চেক করার সুবিধা থাকছে।
নতুন ফিচারটির আওতায় হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব ভার্সনেও থাকছে বিশেষ সুবিধা—যেখানে রিয়েল-টাইমে ইউজারনেমের অ্যাভেইল্যাবিলিটি চেক করা যাবে। এতে পছন্দের ইউজারনেম অন্য কেউ আগেই নিয়ে নিয়েছে কিনা তা সহজেই জানা যাবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ইউজারনেম ফিচার চালু হলে হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার মান আরও বাড়বে। কারণ, পরিচয় গোপন রেখে চ্যাট করা গেলে স্প্যাম বা অপ্রয়োজনীয় মেসেজের ঝুঁকি কমবে এবং ব্যবহারকারীরা আরও নিরাপদ বোধ করবেন।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ২শ’ কোটির বেশি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যক্তিগত চ্যাট থেকে শুরু করে অফিসিয়াল ও গ্রুপ চ্যাট— সর্বত্র নতুন এই ইউজারনেম ফিচারকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।
কবে নাগাদ এই ফিচার সবার জন্য উন্মুক্ত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট তারিখ এখনো জানায়নি হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর ধারণা, ২০২৫ সালের মধ্যেই ধাপে ধাপে সব ব্যবহারকারী এটি পেয়ে যাবেন।
আরটিভি/এসকে/এআর
