• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
স্নাতকে ৩.৬৫ পেয়ে তৃতীয় সেই অবন্তিকা
পানি সংকটে নাজেহাল নোবিপ্রবির আবাসিক শিক্ষার্থীরা
পানি সংকটের কারণে নাজেহাল অবস্থা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আবাসিক শিক্ষার্থীরদের। সম্প্রতি টানা ৩২ ঘন্টা নোবিপ্রবির বিবি খাদিজা হলে পানি সরবরাহে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার পর এ সংকট প্রকাশ্যে আসে। সংশ্লিষ্টদের দায়সারা কর্মকাণ্ডে প্রায়ই এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার (১৭ মে) বিবি খাদিজা হলে দুপুর থেকে পানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ক্লাস শেষে হলে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা। একদিকে তীব্র গরম আর অন্যদিকে পানি নেই। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বছরের অন্য সময়েও পানির সংকটে ভুগতে হয় তাদের। হলের প্রথম ব্লকের কক্ষগুলোতে পানি থাকলেও শেষের ব্লকের কক্ষগুলোতে পানি থাকে না। এ নিয়ে হল প্রশাসনকে এর আগে কয়েকবার জানানো হলেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানায় হলের শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিবি খাদিজা হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল থেকে পানির অভাবে ভুগছি। এত সময় ধরে পানি ছাড়া কীভাবে থাকা যায়? শুনেছি, পাইপ ফেটে যাওয়ায় এমন হয়েছে। অথচ পাইপ ফেটেছিলো গতকাল। এখনো পানি আসে নি। হল প্রশাসন নাকি লোকের অভাবে গতকাল কাজ শুরু করতে পারেনি। আমার বিশ্বাস হয় না এমনটা হয়েছে। তারা যদি আন্তরিকভাবে বিষয়টা দেখতো, তাহলে এই সমস্যাটা খুব দ্রুতই সমাধান হয়ে যেত। এখন পানি আসবে আসবে বলছে কবে আসবে কেউ জানে না। বিবি খাদিজা হলের আরেক শিক্ষার্থী জানান, গত বছরও এমনটা হয়েছিলো। গরমের সময় এলে তো ইলেকট্রিসিটি থাকে না বাইরে। আমাদের হলগুলোতে পানি আসে বাইরে থেকে। খাদিজা হলের পানির লাইনগুলো এমনভাবে করা যে, পানি আগে সামনের ব্লকে যায় এরপর পিছনের ব্লকে আসে। দেখা যায় সকালে ক্লাসে যাওয়ার সময় পানি নাই, আবার দুপুরে এসেও পানি নাই। মাঝে যেই সময় হঠাৎ অল্প একটু আসে, তখন যারা থাকে তারা পায়। গত বছর পুরো গ্রীষ্মকাল এভাবেই গেছে। সব হলে পানি থাকলেও খাদিজা হলের পিছনের ব্লকে নাই। প্রভোস্টকে জানানো হয়েছিলো, কিন্তু কাজ হয় নাই। এবারও গতকাল দুপুরে হঠাৎ দেখা যাচ্ছে, পানি নাই। অনেক সময় দেখা যায় ট্যাংক ভর্তি হয়ে পানি ৪-৫ ঘন্টা অবধি পড়তেই থাকে, নষ্ট হয়। আবার কখনো পানি একদমই থাকে না। শুধু বিবি খাদিজা হলই নয়, ছাত্রীদের  বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলেও পানির তীব্র সংকট। এ হলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বঙ্গমাতা হলে হঠাৎ করেই পানি গায়েব হয়ে যায়। কোন সময় সকালে, তো কোন সময় বিকালে পানি থাকে না। ওয়াশরুমে পানি থাকলে আবার বাথরুমে পানি থাকে না। শনিবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, আজকে সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত পানি ছিলো না, এর দুইদিন আগেও সকাল ১০ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত পানি ছিলো না। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই পানির এই সংকটের কারণে আমরা খুবই কষ্টে আছি। আমাদের এই কষ্ট দেখার কি কেউ নেই? একই হলে আরেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হুট করে ওয়াশরুমের পানি চলে যায়। বেশি হয় সকাল আর বিকেলে। কোন বলা নেই, কওয়া নেই, ঘন্টার পর ঘন্টা পানি থাকে না। তাহলে স্টাফরা করেটা কি? এতগুলো মেয়ে কীভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা পানি ছাড়া থাকবে! দু-একদিন হলে একটা কথা কিন্তু প্রতিদিনই এমন হচ্ছে। কালকে আমার সেমিস্টার পরীক্ষা। কারেন্ট নাই, পানি নাই। এভাবে কি একটা হলে থাকা যায়? এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিবি খাদিজা হলের প্রভোস্ট ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, হলের পানির পাইপ ফেটে যাওয়ার ফলে বেশিরভাগ পানি বাইরে বের হয়ে যায়, যার কারণে হলে পানি আসেনি। কারেকশন বড় ছিলো যার কারণে ফিক্সড করা সম্ভব হয়নি। তবে শনিবার সকাল থেকে ওরা কাজ শুরু হয়েছে।   তবে পিছনের ব্লকের শিক্ষার্থীরা পানি না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এই বিষয়ে অবগত আছি। আমাদের হলে পানি আসে সব একাডেমি ও হলে পানি আসার পর। ফলে অনেক সময় দেখা যায় হলের পেছনের ব্লকে পানি থাকে না। এখন যদি পানির নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ দিতে হয় তাহলে নতুন করে পাইপলাইন বসাতে হবে, যা এই মুহুর্তে সম্ভব না। তাই আমার শিক্ষার্থীদের একটু কষ্ট করতে হবে। এদিকে বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, পানির মোটরে সমস্যা হওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে। আমরা এটি ঠিক করার উদ্যোগ নিয়েছি। কবে নাগাদ ঠিক হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ডিপিটি বলতে পারবে। তারা এখনো আমাদের জানায়নি।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রকৌশলী শান্তু মজুমদার জানান, বিদ্যুতের ভোল্টেজ বার বার আপডাউন করার জন্য আসলে এ সমস্যাগুলো হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দিয়েছি এ সমস্যা নিরসনের জন্য।  
স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান অপু, দরকার সাহায্যের
নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ প্রদান
পোষা প্রাণী না রাখতে নোবিপ্রবির বঙ্গমাতা হল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় / গাঁজা সেবন নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩
বিড়ালের উপদ্রবে অতিষ্ঠ নোবিপ্রবির বঙ্গমাতা হলের ছাত্রীরা
বিড়ালের আক্রমণ ও উপদ্রবে আতঙ্কিত হয়ে দিন পার করছে বলে অভিযোগ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি হলের একাধিক শিক্ষার্থী বিড়ালের কামড়ের শিকার হয়েছেন। বিড়াল গুলো ভ্যাকসিনেটেড না হওয়ায় টিকা নিতে হয়েছে কামড় ও আছড়ের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীদের। বিড়াল রেবিস ভাইরাসের বাহক হওয়ার সম্ভাবনা থাকাই বাকি শিক্ষার্থীরাও আতঙ্কে দিন পার করছেন। শিক্ষার্থীরা জানায়, পোষা প্রাণীর মধ্যে বিড়াল অন্যতম। বিড়ালের বন্ধুসুলভ আচরণ ও বিভিন্ন উপকারিতার কারণে অনেকেই বিড়াল পোষেন শিক্ষার্থীরা। আবার অনেকে শখ করে আদর-যত্ন দিয়ে বিড়াল লালন-পালন করেন। তবে নোবিপ্রবির বঙ্গমাতা হলে বিড়ালের উৎপাতে নানান যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।  খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, গত দু-সপ্তাহ ধরে বিড়ালের অত্যাচার অসহনীয় হয়ে উঠেছে। কোন সময় খাবারে মুখ দিয়ে খাবার নষ্ট করে আবার কোন সময় বিছানার ওপর মলমূত্র ত্যাগ করে। এছাড়াও গায়ের ওপর দিয়ে চলে যাওয়া, বাজার-তরকারি নষ্ট করা, প্রার্থনা কক্ষ নোংরা করা সহ আরও নানান সমস্যার সৃষ্টি করেছে। যা নিয়ে হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম অসন্তোষ কাজ করছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী তাদের এই অসন্তোষের কথা জানিয়েছে। হলটির এক শিক্ষার্থী বলেন, রাতে আমি ঘুমাচ্ছিলাম। গরমের কারণে জানালা একটু খোলা ছিল। হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখি বিড়াল ঠিক আমার গায়ের উপরে। যেহেতু আমি ঘুমে ছিলাম আমি ভয় পেয়ে হাত নাড়া দেই। তাতে বিড়াল আমাকে আঁচড় ও কামড় দিয়ে চলে যায়। এখন ভ্যাক্সিন দিতে হবে। বিড়ালের কামড়ে ৬টা ভ্যাক্সিন নিতে হয়। এক সপ্তাহ আগে রুমমেট আপুর বিড়ালের কামড়ে ভ্যাক্সিন নিতে হয়েছে। আমারা আরও কিছু ফ্রেন্ড এই হলেরই ক-দিনের মধ্যেই এই বিড়ালের কারণে ভ্যাক্সিন নিয়েছে। একটার পর একটা ল্যাব, সিটি দিতে হচ্ছে। যেহেতু সেমিস্টারের আগের মাস। এর মধ্যে বিড়ালের কামড়ের জন্য এখন আমাকে ভুগতে হচ্ছে।  বিড়ালের এই ভোগান্তি থেকে বাঁচতে তারা হল প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করেছেন। শিক্ষার্থীরা জানায় দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে বিড়ালগুলো আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে। তাই বিড়ালগুলোকে হল থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান তারা।  এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান বলেন, বিড়াল আগে আমাদের হলের অনেক মেয়েরা পালতো, বিষয়টি জানার পর আমি নোটিশ দিয়েছিলাম কেউ পোষা কোনো প্রাণী পালতে পারবে না। এরপরও কেউ কেউ পালতো। তবে সম্প্রতি ঘটনাগুলোর কারণে আমি ইতোমধ্যে নোটিশ দিয়েছি। কারও কাছে কোনো পোষা প্রাণী যদি পাওয়া যায় আমরা তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেব। যেহেতু আগের বিড়ালগুলো অনেকগুলো বাচ্চা দিয়েছে তাই আমি স্টাফদের বলেছি বিড়ালগুলো ধরে নিয়ে গিয়ে অনেকদূরে কোথাও রেখে আসতে। সেটার অভিযান শুরু হয়েছে। আশা করছি আমাকে কয়েকদিন সময় দিলে আমরা বিড়ালগুলোকে হল থেকে বের করতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস শুক্রবার (১৭ মে)। এ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।   বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু করে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ পর্যন্ত শোভাযাত্রা ও পরবর্তীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছিলাম। তবে সেদিনের একটি সৌভাগ্য হলো আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অক্ষত পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে দেশের শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে। এসব উপেক্ষা করে আজকের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে এসেছিলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে দুই কোটি ভূমিহীনকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসেন। এরপর ভয়াবহ বন্যায় অনেক মানুষ উদ্বাস্তু হলে তাদেরকেও আশ্রয় দেন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন কারাগারে জীবন পার করেন। আজ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের আনন্দই প্রধানমন্ত্রীর আনন্দ। আর এই আনন্দকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকবে। ছাত্রলীগের একজন নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে কেউ প্রধানমন্ত্রীর চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারবে না।  সমাবেশে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার দীর্ঘদিন পরে প্রধানমন্ত্রী সব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। চেনা স্বজন, নিজ দেশের মানুষকে দেখতে তিনি দেশে ফিরেছেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ ২১ বছর পর তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বর্তমানে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকলে দেশ অনেক বেশি উন্নত হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক বাবু সজল কুন্ডু, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম প্রমুখ।
রাবিতে ২৩তম আন্তর্জাতিক গণিত সম্মেলন শুরু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২৩তম আন্তর্জাতিক গণিত সম্মেলন শুরু হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ গণিত সমিতি ও রাবি গণিত বিভাগের আয়োজনে ‘দ্যা ল্যাঙ্গুয়েজ অব সায়েন্স’ শীর্ষক এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ এমপি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের প্রক্রিয়া মানুষকে আজ এই জায়গাতে নিয়ে এসেছে। আমরা নানা ঔপনিবেশিক ও রাজনৈতিক কারণে পিছিয়ে পড়েছি। কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অবদান রেখেছে। আমাদেরকে পথ দেখিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নাম ধরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই চেতনায় কাজ করে যাচ্ছেন।  তিনি আরও বলেন, ড. শামসুজ্জোহা রক্ত দিয়ে আমাদের দেখিয়ে গেছেন শিক্ষক ও ছাত্ররা মিলে কি করতে পারে। আমাদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা তাদের বিজ্ঞানকে প্রচার করছে এবং করবে। জীবন যখন শুরু হয় তখন থেকে অংক শুরু হয় এবং শেষ দিন পর্যন্ত তা স্থায়ী হয়। বাঙালি সাহসী, মেধাবী ও শক্তিশালী জাতি। আমরা নিজ মেধা ও মননশীলতায় সব বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছি। আগামীতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম তার বক্তৃতায় বলেন, বিজ্ঞানের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে গণিত। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ও প্রভাবিত হয়। জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নয়নের এই যুগে গণিত অপরিহার্য। সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রবন্ধসমূহ থেকে গণিত ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে গবেষণার ধারা ও আগামীর করণীয় সম্পর্কে পথরেখা পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, বর্তমান বিশ্বে জ্ঞান-বিজ্ঞানে উদ্ভাবন ও উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি হচ্ছে গণিত। গণিতই হচ্ছে মূল ধারার বিজ্ঞানের ‘দর্শন’। আমরা পদার্থবিজ্ঞান বা রসায়ন অথবা কম্পিউটার সায়েন্স যে বিষয়ের কথাই বলি না কেন তার ব্যাকরণ হচ্ছে গণিত। কাজেই মৌলিক বিজ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে হলে আমাদের অবশ্যই গণিত জানতে হবে। এই সম্মেলন সেই লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া সম্মেলনে ‘অ্যাপ্লাইড ম্যাথেমেটিক্স ইন সাসটেইনেবল আর্থকোয়েক রেজিস্টেন্ট ডিজাইন অব জিও-স্ট্রাকচার্স’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি)- বোম্বে’র অধ্যাপক দীপঙ্কর চৌধুরী।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণিত সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম ও রাবির বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক নাসিমা আখতার। এছাড়া গণিত বিভাগের সভাপতি ও সম্মেলনের সচিব অধ্যাপক মো. আসাবুল হক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। জানা গেছে, দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন দেশ ও বিদেশ থেকে প্রায় ২০০ জন গণিত ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক, গবেষক ও পেশাজীবী। এতে ২০টি টেকনিক্যাল সেশনে প্রায় ১৩০টি গণিত ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার ৯টি ও পরদিন ১১টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।  
জাবি ছাত্রীকে হেনস্তাকারী মৌমিতা বাসের সেই সহকারী গ্রেপ্তার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীকে হেনস্তাকারী মৌমিতা পরিবহনের সেই হেলপারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার অপারেশনস অ্যান্ড ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সুপার জনাব আব্দুল্লাহিল কাফী। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত মৌমিতা পরিবহনের সহকারীর নাম আবির হোসেন (২০)। তার বাবার নাম আমির হোসেন। গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায়। এদিকে আটককৃত বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হবে কি না এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মনির শিকদার বলেন, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ছাত্রীর সঙ্গে গতকাল সংগঠিত ঘটনায় মৌমিতা বাসের একজনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাই বাসগুলো কিছুক্ষণ আগে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আপাতত মামলা করা হবে না। যেহেতু হাইওয়েতে ঘটনা ঘটেছে তাই হাইওয়ে পুলিশের ওপর বিচার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সাভার থেকে মৌমিতা বাসে ফেরার পথে রেডিও কলোনি এলাকায় হেনস্তার শিকার হন ওই ছাত্রী। এ ঘটনার প্রতিবাদে মৌমিতা পরিবহনের ১৬টি বাস আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ হেনস্তাকারী হেলপারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে।
নোবিপ্রবিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু, চলবে সপ্তাহে ৬ দিন
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর আগে, গত ৬ মার্চ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১ একরের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লার অব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আরটিভি। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়, শরণ পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ফাউন্ডেশনটি সপ্তাহে ৬ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডাস্টবিন ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন এবং তারা দিনে সর্বোচ্চ ২০০০ কিলোগ্রাম ময়লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তর থেকে অপসারণ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আনিসুজ্জামান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার, হযরত বিবি খাদিজা হলের প্রভোস্ট ড. মো. রফিকুল ইসলাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. অবন্তী বড়ুয়া, এস্টেট এন্ড হাউজিং শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার জনাব মো. গোলাপ হোসেন ও শরণ পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বাশার।   অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, টেকসই পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালু করা হলো। এখন থেকে ক্যাম্পাসের বর্জ্যগুলো একটি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংগ্রহ ও অপসারণ করা হবে। আশা করছি, এ কার্যক্রমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিক সহযোগিতা করবেন।
বাবাকে বাঁচাতে কিডনি বিক্রি করতে চান জবির মেধাবী শিক্ষার্থী
ফতেহ আলী খান আকাশ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী। নিয়মিত গান করেন আরটিভির ফোক স্টেশনে। নিজের লেখা ও সুর করা বেশ কিছু গানও আছে তার। করোনা মহামারির ভয়াল সময়টায় পুরো দেশ যখন ছিল লকডাউনে তখন হাসপাতালে হাসপাতালে গিয়ে হাজির হয়েছেন করোনা আক্রান্তদের মাঝে, সুরেলা গলায় জীবনের গান গেয়ে উজ্জীবিত করেছেন অসহায় রোগীদের।  অথচ আজ তিনিই অসহায় হয়ে পড়েছেন ভাগ্যের কাছে। চোখের সামনে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে যে বাবা। মা মারা যাওয়ার পর থেকে যে বাবাই এতদিন হয়ে ছিল আকাশের পৃথিবী, তিনি আজ হৃদরোগে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যু পথযাত্রী। টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না বাবার। চিকিৎসার অর্থ জোগাড় করতে শেষ পর্যন্ত নিজের একটি কিডনি বিক্রি করতে চেয়ে অসহায় ছেলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। সেই পোস্টে ফতেহ আলী খান আকাশ লিখেছেন, ‘আব্বুর হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। অক্সিজেন মিটার ৩৫% এ নেমে আসছে। জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি করাতে হবে। ডাক্তার বলছে- পেইসমেকার লাগাতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কিন্তু এই মুহূর্তে পেইসমেকার লাগানোর মতো এত টাকা আমার কাছে নাই। তাই আমি আমার একটা কিডনি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছি। ঢাকায় কোথায় কিডনি বিক্রি হয়? এক কিডনি নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো, আব্বুকেও বাঁচাতে পারবো।’   বুধবারের ওই পোস্টে আকাশ বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকালে বাবাকে শেরে বাংলায় হৃদরোগ হাসপাতালে ভর্তি করাবো। সেখানে বাবার ট্রিটমেন্ট শুরু হবে। বাবার শরীরে পেসমেকার লাগানোর কথা বলছেন চিকিৎসকরা, কিন্তু এ মুহূর্তে পেসমেকার লাগানোর মতো টাকা আমার কাছে নেই। সেজন্যই কিডনি বিক্রি করার জন্য ফেসবুকে আমার পোস্ট দেওয়া। আমার কিডনি বিক্রি করে হলেও বাবার চিকিৎসা করাতে চাই।’ এই স্ট্যাটাসের পর কেউ যোগাযোগ করেছে কিনা জানতে চাইলে আকাশ বলেন, ‘ক্যাম্পাস থেকে এখনো প্রশাসন যোগাযোগ করেনি, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, ছোটভাই সবাই কল দিচ্ছে। বাংলা বিভাগের এক শিক্ষকও খোঁজ নিয়েছেন।’ আকাশের সহপাঠী মহিউদ্দিন রিফাত বলেন, সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। কতটা অসহায় পরিস্থিতির শিকার হলে ছেলে তার বাবার জন্য নিজের কিডনি বিক্রি করতে চায়? আঙ্কেলের জীবন বাঁচতে সবাইকে মানবিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।  আকাশের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানা - 01799510783 ও 01603581638  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় / ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আরেক ছাত্রলীগ নেতার ছিনতাইয়ের অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের দিনে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কক্ষ ভাঙচুর ও ২৬ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলেছে আরেক ছাত্রলীগ নেতা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন- সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ।  বুধবার (১৫ মে) বিকেলে হল প্রাধ্যক্ষকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান। তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ১৯৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ১১ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হল শাখা ছাত্রলীগের বিতর্কিত সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আমার অনুপস্থিতিতে আমার রুমের তালা ভেঙে প্রবেশ করে এবং রুমের ভিতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমার রুমে থাকা ১টি ল্যাপটপ, ২টি ফ্যান, লাইট, ঘড়ি ও রুমের যাবতীয় আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং ড্রয়ারে থাকা মোবাইল বিক্রির ২৬ হাজার টাকা ছিনতাই ও লুটতরাজ করে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে আমার ক্ষতিপূরণ ও অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, এখন কত কিছুই বের হবে। আমি তো আতিকের রুমেই যাইনি। আর যেখানে আমি যাইনি, সেখান থেকে টাকা পয়সা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এটা একটা ডাহা মিথ্যা অভিযোগ। এর আগে, গত শনিবার (১১ মে) রাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটে। রাত সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে হলের নিরাপত্তা প্রহরীকে আতিকসহ শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীর মারধর এবং ১৩ মে রাতে পুনরায় রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক আতঙ্ক বিরাজ করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিয়াজ মোর্শেদসহ শাখা ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।