• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
মা হারালেন অভিনেতা জামিল
‘গিভ অ্যান্ড টেক’ নিয়ে যে শর্ত দিলেন মিষ্টি জান্নাত
তৃতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছেন শাকিব খান। পাত্রী পেশায় ডাক্তার। তবে কে সেই পাত্রী, তা এখনও জানা যায়নি। এরই মধ্যে গুঞ্জন ওঠে অভিনেত্রী ও ডাক্তার মিষ্টি জান্নাতই নাকি সেই পাত্রী। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে এই নায়িকা কথা বললেও স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তবে বিষয়টি গুঞ্জন হিসেবেই রাখতে চেয়েছেন তিনি। মিষ্টির এমন মন্তব্যের পর  শুরু হয়েছে  নানা আলোচনা সমালোচনা। পাশাপাশি তার চরিত্র নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমেরও গুঞ্জন উঠে এই অভিনেত্রীকে নিয়ে। এসব গুঞ্জনের খোলামেলা জবাব দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।  মিষ্টি জান্নাত বলেন, আমার সঙ্গে ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ করতে হলে সমপর্যায়ে আসতে হবে। সমপর্যায়ে তো নেই। দুই লাখ পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে আমার সঙ্গে থাকা যাবে না।  এ ধরনের প্রস্তাব তো সবাই দেয়। শুধু কী মিডিয়ায় দেওয়া হয় এমনটি নয়, মেডিকেলের স্যারও অফার দিয়েছিল। আমি রাজি হইনি। এর শাস্তি হিসেবে ৫ বছরের কোর্স লেগেছে ৮ বছর। আমাকে আমার শিক্ষক অশ্লীল ভিডিও দেখিয়েছিল।  কিন্তু আমি রাজি হইনি।   এই অভিনেত্রী মনে করেন, এ ধরনের প্রস্তাব শুধু মিডিয়ায় দেওয়া হয়নি।  বর্তমানে ৫-১০টাকার চাকরিতে গেলেও অফার করে। স্যারকে খুশি করতে হবে। কিন্তু দোষ হয় শুধু মিডিয়ার।  এটার কারণ হচ্ছে, মিডিয়ার দিকে সবার নজর থাকে।     এতোদিন কেন বিয়ে করেননি এমন প্রশ্নের জবাবে মিষ্টি জান্নাত বলেন, সমপর্যায়ে তো পেতে হবে।  সমপর্যায়ে কাওকে পাইনি এজন্য বিয়ে করা হয়নি।  পেলে বিয়ে করে ফেলব।  তিনি বলেন, আমাকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। আমি মানুষকে রিজেক্ট করেছি। এমনো হয়েছে সিনেমায় চুক্তি করেছি, আমার পছন্দ হয়নি এক লাখ টাকার বান্ডিল ফেরত দিয়ে এসেছি।  আমি এ ধরনের মেয়ে।  প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ‘লাভ স্টেশন’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় ক্যারিয়ার শুরু করেন মিষ্টি জান্নাত। এরপর থেকে কাজ করে যাচ্ছেন নিয়মিত। অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে তিনি একজন দন্ত চিকিৎসকও।
এবার নিপুণের ইস্যুতে মুখ খুললেন খসরু
‘সংবাদ’-এর শুরু পহেলা জুন
সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেয়ে যা বললেন জায়েদ খান
‘মিশা-ডিপজল দুজনই মূর্খ’
পোশাকে নায়িকাদের নাম ফুটিয়ে হাজির ভাবনা
'চলচ্চিত্রের মর্যাদাপূর্ণ আয়োজন ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’-এ গিয়ে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। উৎসবের প্রথমদিন থেকেই নতুন নতুন পোশাকে হাজির হয়ে ভক্তদের চমকে দিচ্ছেন তিনি। প্রথমদিন ভাবনাকে রেড কার্পেটে দেখা গেছে আন্তর্জাতিক তারকাদের মতো লম্বা টেলওয়ালা গাউনে। এর পরদিন অভিনেত্রী হাজির হন কালো গোল্ডেন গাউনে। গাউনের সামনের অংশে ছিল একটি কাকের ডিজাইন। যেই ডিজাইন দিয়ে আমাদের দেশের পরিচিত এই ‘পাখি’কে যেন বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরতে চেয়েছেন তিনি। এর পরদিনই বেনারসি কাতান কাপড়ের ওপর কাস্টমাইজ করা মিডি ড্রেসে হাজির হন এই অভিনেত্রী। যেখানে বেশ খোলামেলা রূপে ধরা দেন ভাবনা। এই পোশাকে মুগ্ধতার পাশাপাশি বিতর্কের মুখেও পড়েন তিনি।  যদিও সেসবকে পাত্তা না দিয়ে ভাবনা ছুটছেন নিজের গতিতেই। এবার রেড কার্পেটে অভিনেত্রী হাজির হয়েছেন কালো অলসোল্ডার গাউনে। যেখানে সবচেয়ে বড় চমক ছিল, পোশাকে চারজন নায়িকার নাম।  ভাবনার পোশাকে ফুলেল নকশার মাঝে স্টোন দিয়ে কিছু লেখা চোখে পড়ছে ভক্তদের চোখে। যেখানে দেখা গেছে চারটি নাম- ববিতা, সুর্বণা (সুবর্ণা মুস্তাফা), মেরিল স্ট্রিপ ও অড্রে হেপবার্ন।  যারা শোবিজ অঙ্গনের খোঁজ রাখেন তাদের জন্য এই চারটি নামই খুব পরিচিত। দুজন বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা, দুজন হলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা। তাদের চারজনকেই নিজের পোশাকে ফুটিয়ে তুলেছেন ভাবনা। ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’-এ এবারের সাজে নিজের পছন্দের নায়িকাদের নামের জানান দিলেন এই তারকা। বিষয়টি ভালোভাবে নিয়েছেন সহ-শিল্পীরাও। অনেকেই ভাবনার ছবির পোস্টে কমেন্ট করে তাকে এমন পরিকল্পনার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন।  প্রসঙ্গত,  কান চলচ্চিত্র উৎসব চলবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। প্রতিদিনই নিত্য নতুন পোশাকে হাজির হচ্ছেন ভাবনা। আগামী দিনগুলোতেও হয়তো অভিনেত্রীকে দেখা যেতে পারে আরও নতুন কিছু চমক নিয়ে। 
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রেম, জানা গেল সেই রাসেলের স্ত্রীর পরিচয়
সময়টা ২০২২ সাল, বছরের মাঝামাঝি সময় মুক্তি পায় ‘ভাইয়ারে’ চলচ্চিত্র। সিনেমাটির নির্মাতা এবং অভিনেতা রাসেল মিয়া কখনও রিকশা চালিয়ে, আবার কখনও ঠেলাগাড়ি ঠেলে প্রচার করে আলোচনায় আসার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার সব প্রচেষ্টা ছাড়িয়ে গেছে সিনেমাটি মুক্তির পর। ‘পাপমুক্ত সিনেমা’, ‘অজু নিয়ে দেখা যাবে’ এমন ধরনের উদ্ভট, আপত্তিজনক মন্তব্য করে ভাইরাল হন তিনি। এমনকি একটি ভিডিওতে তাকে হাউমাউ করে কান্না করতেও দেখা গেছে- যা ভাইরাল হয়। এবার সেই রাসেল মিয়া বিয়ে করলেন। কনের নাম বর্ষা। রাসেলের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী রত্না কবির, অভিনেতা ডিএ তায়েব ও ব্যবসায়ী ও অভিনেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর। অভিনেতা রাসেলের স্ত্রী অভিনেত্রী ও উদ্যোক্তা বর্ষা চৌধুরী। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হন এই জুটি। সেখান থেকেই একটা সময় নেন বিয়ের সিদ্ধান্ত।  নিজের বিয়ের খবর নিশ্চিত করে রাসেল মিয়া বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন বর্ষাকে দেখে প্রেমে পড়ে যাই। এরপর বিষয়টি রত্না আপুকে জানিয়ে বলি, আপু এই মেয়েকে আমি বিয়ে করব। সেদিনই তার ফেসবুক আইডি নেই। তারপর তাকে নক দেই। এক সময় আমরা বিয়ের সিদ্ধান্তে আসি। ‘ভাইয়ারে’ সিনেমায় রাসেল মিয়া ছাড়াও হেলেনা জাহাঙ্গীর অভিনয় করেছেন। সিনেমা প্রসঙ্গে রাসেল বলেছিলেন, ‘ভাইয়ারে ছবিটি অজু করে দেখলেও অজু ভাঙবে না।’ তার এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।  
নিপুণের হুঁশ আসা জরুরি : ডিপজল
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় চলচ্চিত্রাঙ্গণে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিপুণের চরম সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ ও কুৎসিৎ মন্তব্য করার কারণে তাকে নিয়ে এ সমালোচনা হচ্ছে। এক সাক্ষাৎকারে ডিপজলকে অশিক্ষিত বলেন নিপুণ।  এ ঘটনার পরপর এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলন করে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব বলেছেন, নিপুণের এ বক্তব্য শিল্পী সমাজের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। আমাদের সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নিয়ে তিনি যে অশালীন মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের শিল্পী সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। তার এ মন্তব্য নিয়ে আমরা দুঃখিত ও লজ্জিত। কমিটির মিটিংয়ে অনেকে তাকে মানসিক সমস্যাগ্রস্ত এবং মাথায় সমস্যা আছে বলে মন্তব্য করেছেন। তার চিকিৎসা হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা। ডি এ তায়েব বলেন, কার্যনির্বাহী কমিটি সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার এহেন অযাচিত মন্তব্যের জন্য তাকে শোকজ করার। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে আমরা তাকে সমিতি থেকে বহিষ্কার করে দেব। কারণ, তিনি আমাদের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ডি এ তায়েব বলেন, মনোয়ার হোসেন ডিপজল যাকে চলচ্চিত্রে নিয়ে এসেছেন, চলচ্চিত্রে জন্ম দিয়েছেন এবং যিনি তাকে ‘বাবা’ বলে ডেকেছেন, সেই তাকে বাজে ভাষায় ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করার অর্থ হচ্ছে, তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। তা নাহলে, এমন মন্তব্য করতে পারেন না। তিনি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আইনের আশ্রয় নিতেই পারেন, যে কেউ পারেন। তার অর্থ এই নয়, সমিতির সাধারণ সম্পাদককে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করবেন। এটা মানসিক বিকারগ্রস্ততা ছাড়া কিছু নয়। এদিকে, এ ব্যাপারে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে খুব একটা আগ্রহী নন বলে জানান।  ডিপজল বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কমিটির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে তিনি বলেন,‘নিপুণকে চলচ্চিত্রে আমি এনেছি। তাকে আমি সন্তানের মতোই স্নেহ করি। নির্বাচনের আগে সে আমাকে ফোন করেছে। তার সঙ্গে কথা হয়েছে। একটি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে পা ধরে সালামও করেছে। সুসম্পর্কের মধ্য দিয়েই আমরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। নির্বাচনের পর তিনি আমাদেরকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারপর কী এমন হলো যে, তিনি পাগলামি করা শুরু করেছেন। অথচ আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা বাবা-মেয়ের মতো। শুধু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যদি সম্পর্ককে তিক্ত করা হয়, তাহলে কী বলার থাকতে পারে? তাকে অনেকে ‘নির্লজ্জ’ বলছে। তার এ ‘নির্লজ্জ’ কথার জবাব দেয়ার মনমানসিকতা আমার নেই। কথা প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, আমি যদি তাকে চলচ্চিত্রে না আনতাম, তাহলে চলচ্চিত্রে তার জন্মই হতো না। সে এখন কোথায় থাকত? ন্যূনতম জ্ঞানবুদ্ধি ও কৃতজ্ঞতাবোধ যাদের রয়েছে, তারা তো এ কথা বলতে পারে না! কেবলমাত্র মানসিক সমস্যা হলেই এ ধরনের আবোল-তাবোল বকতে পারে। তা নাহলে, তিনি এমন কথা বলবেন কেন? শিল্পী সমিতিতে যদি এমন সদস্য থাকে, তাহলে পুরো শিল্পী সমাজ তার দ্বারা বদনামের শিকার হবে। একমাত্র তার কর্মকাণ্ডের জন্যই গত দুই বছর শিল্পী সমিতির বদনাম হয়েছে। এবারের নির্বাচনে আমরা সবাই মিলে চেয়েছি, সমিতির ভাবমর্যাদা যাতে পুনরায় ফিরিয়ে আনা যায়। কিন্তু তিনি আবারও সেই একই কাজ করছেন। এতে সমিতি ও শিল্পী সমাজের বদনাম হচ্ছে। আজ আমাকে, কাল আরেকজনকে নিয়ে বলতে থাকবে। আমরা তা মেনে নিতে পারি না। কাজেই, তার এই ‘নির্লজ্জ’ আচরণ থেকে সমিতির মর্যাদা রক্ষায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন, তাই নেয়া হবে। একজনের জন্য সবার বদনাম হবে, তা আমরা বরদাস্ত করতে পারি না। ডিপজল বলেন, আমি তাকে বলব, আগে নিজের দিকে তাকাতে। নিপুণ কে, কি এবং কি করেন, তা তার নিজেরই ভেবে দেখা উচিত। এ ব্যাপারে তার হুঁশ আসা জরুরি।
বিয়ে করলেন ‘পাপমুক্ত’ সিনেমার সেই অভিনেতা রাসেল
সময়টা ২০২২ সাল, বছরের মাঝামাঝি সময় মুক্তি পায় ‘ভাইয়ারে’ চলচ্চিত্র। সিনেমাটির নির্মাতা এবং অভিনেতা রাসেল মিয়া কখনও রিকশা চালিয়ে, আবার কখনও ঠেলাগাড়ি ঠেলে প্রচার করে আলোচনায় আসার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার সব প্রচেষ্টা ছাড়িয়ে গেছে সিনেমাটি মুক্তির পর। ‘পাপমুক্ত সিনেমা’, ‘অজু নিয়ে দেখা যাবে’ এমন ধরনের উদ্ভট, আপত্তিজনক মন্তব্য করে ভাইরাল হন তিনি। এমনকি একটি ভিডিওতে তাকে হাউমাউ করে কান্না করতেও দেখা গেছে- যা ভাইরাল হয়।  এবার সেই রাসেল মিয়া বিয়ে করলেন। কনের নাম বর্ষা। রাসেলের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী রত্না কবির, অভিনেতা ডিএ তায়েব ও ব্যবসায়ী ও অভিনেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর। বিষয়টি সামাজিকমাধ্যমে জানিয়েছেন অভিনেত্রী রত্না ও  হেলেনা জাহাঙ্গীর। হেলেনা জাহাঙ্গীর খবরটি জানিয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ছোট ভাই রাসেল মিয়াকে বিয়ে করালাম। সকলে দোয়া করবেন। বউ আমার ছোট বোন বর্ষা চৌধুরী। দুজনেই সামাজিকমাধ্যমে অনেক পরিচিত মুখ। সবাই তাদের সুখী জীবনের জন্য দোয়া করবেন। ‘ভাইয়ারে’ সিনেমায় রাসেল মিয়া ছাড়াও হেলেনা জাহাঙ্গীর অভিনয় করেছেন। সিনেমা প্রসঙ্গে রাসেল বলেছিলেন, ‘ভাইয়ারে ছবিটি অজু করে দেখলেও অজু ভাঙবে না।’ তার এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
‘নিপুণের চিকিৎসার প্রয়োজন’ (ভিডিও)
গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এ নির্বাচনে মিশা সওদাগর ও ডিপজল প্যানেল নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিল। তাদের কাছে হেরে যান কলি-নিপুণ প্যানেল। ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ীদের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছাও জানান পরাজিত নিপুণ। কিন্তু এক মাস না পেরোতেই বেঁকে বসলেন এই অভিনেত্রী। সোজা চলে গেলেন আদালতে। আইনজীবী ধরে করিয়েছেন রিট। চাইছেন শিল্পী সমিতির নতুন এই কমিটির ফলাফল স্থগিত করা হোক! গত মঙ্গলবার (১৪ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নিপুণের হয়ে রিটটি করেছেন আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায়। আগামী ১৯ মে রিটের শুনানি হবে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চে। এমন কাণ্ড ঘটেছিল গত মেয়াদের নির্বাচনেও। তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েও চেয়ারে বসতে পারেনি ভোটে নির্বাচিত জায়েদ খান। নতুন মেয়াদের নির্বাচনে একই পথে হেঁটেছেন নিপুণ। মালা পরিয়ে বরণের ২৬ দিন পর কেন রিট করলেন নিপুণ?—এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মিডিয়া পাড়ায়। তবে নিপুণের রিট আমলে নিচ্ছে না শিল্পী সমিতি। এমনটাই জানিয়েছেন সহসভাপতি ডি এ তায়েব। না নেওয়ার কারণও ব্যাখা করেছেন তিনি। তায়েব বলেন, ‘রিট আমরা আমলে নিচ্ছি না। কারণ, রিট হওয়ার মতো ঘটনাই ঘটেনি। সমিতির সদস্য এমন যে, কেউ চাইলেই রিট করতে পারে। তার মানে বিনা কারণে এবং যুক্তহীনভাবে বলবে, সেটা তো হবে না। আমরা আইন দিয়ে আইনকে লড়ব।’ সঙ্গে তায়েব যোগ করলেন নিপুণের ভাষাগত অনেক সমস্যা আছে। সে প্রসঙ্গে বলেছেন, তার কিছু ভাষাগত সমস্যা আছে। সম্মানিত সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত পড়াশোনা নিয়ে যেসব কথা বলেছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন শিল্পীর মুখে আমরা এটা আশা করি না। জাতির কাছে একজন সম্মানিত মানুষকে তিনি হেয় করেছে। এতে আমরা খুব ব্যতীত। ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে নিপুণের মন্তব্য সহজ ভাবে নিচ্ছে না শিল্পী সমিতি। সাংগঠনিকভাবে দেখছেন তারা। কারণ, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করেছিলেন নিপুণ আক্তার। গণমাধ্যমে শিল্পী সমিতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন নিপুণ। এবার একই কারণে সদস্যপদ হারাতে পারেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে তায়েব বলেন, এটা আমরা সহজে নিচ্ছি না। কার্যকরী সভায় বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়েছে। আমরা অ্যাকশনে যাব। এটা সহজভাবে নিচ্ছি না কারণ, এটা শুধু সাধারণ সম্পাদককে ছোট করা হয়নি, নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ডকেও ছোট করা হয়েছে। শিল্পী সমিতি নিয়ে যিনি এমন নিষ্ঠুর কথা বলেছেন তাকে আমরা ৭ দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব। সন্তোষজনক উত্তর না এলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে। চলচ্চিত্রের সংকটকাল উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেন, এমনিতেই চলচ্চিত্রের দূর সময়। তার মধ্যে এতদিন পর এসে যে, প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা দুঃখজনক। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিন নিপুণ ডিপজল ভাইকে মালা পড়িয়ে বলেছিলেন—ডিপজল ভাই আমার বাপের মতো। আবার তাকেই অশিক্ষিত বলে হেয় করার প্রবণতা দেখিয়েছে। তার কথা ও কাজে মিল পাচ্ছি না। সঙ্গে তায়েব এ-ও বললেন, আমরা ধারণা করছি ওনার মাথায় সমস্যা আছে কি না। আমাদের মনে হচ্ছে তার (নিপুণ) চিকিৎসার প্রয়োজন। তার কথা ও কাজের মধ্যে মিল নেই। সংবিধানে লেখা আছে কেউ যদি শিল্পী সমিতির কোনো কর্মকর্তাকে হেয় করে কথা বলে তাহলে তার সদস্যপদ স্থাগিত করা যাবে। এ ছাড়াও অনেকগুলো কারণ আছে যার জন্য তার সদস্যপদ বাতিল হওয়ার মতো। তাকে আমরা তিন বার চিঠি দেব। তিনবারের মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর না এলে তাকে বহিষ্কার হবে। কোনো অশিল্পীকে আমরা রাখব না। প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসা নিয়েও দ্বন্দ্বে জড়ান নিপুণ এবং চিত্রনায়ক জায়েদ খান। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পর মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
‘কিছুদিন পর মানুষ আমাদের পাগল বলবে’
ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে মেনেও নিলেন। তবে মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আবার আদালতে গিয়ে নবনির্বাচিত কমিটির ফল স্থগিত চেয়ে রিট আবেদন করে বসলেন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়া সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারের এ রিট আবেদনকে কেন্দ্র করে আবার আলোচনায় এসেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গতবারের নির্বাচন নিয়েও কম জল ঘোলা হয়নি। ২০২২-২৪ মেয়াদের ওই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের মধ্যকার দ্বন্দ্ব হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। এবারও মিশা-ডিপজল প্যানেলের জয় এবং দায়িত্ব গ্রহণের এক মাস পার না হতেই তা আবার আদালতে গিয়ে ঠেকল। তবে বিষয়টি ভালোভাবে দেখছেন না সাধারণ শিল্পী থেকে শুরু করে নিপুণের প্যানেল থেকে নির্বাচিত সদস্যরাও। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কলি-নিপুণ প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন চিত্রনায়িকা পলি। তিনি নিপুণের রিট মেনে নিতে পারছেন না। আরটিভির মুখোমুখি হয়ে সরাসরি নিপুণের রিটের ঘোর বিরোধিতা করলেন। এ প্রসঙ্গে পলি বলেন, ডিপজল ভাই যেদিন নির্বাচনে পাস করেছেন সেদিন সকালে নিপুণ আক্তার তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে। এখন আসলে বিষয়টা একটু দৃষ্টিকটু এবং প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। যদি রিট-ই করবে তাহলে ফুলের মালা গলায় দিয়ে বরণ করার কি দরকার ছিল? সেদিনই তো রিট করতে পারত। এই নায়িকা এ-ও বলেছেন যে, আমাদের দেশের জনগণ শিল্পী সমিতিকে অনেক উঁচু পর্যায়ে দেখে। শিল্পী সমিতির নির্বাচনের জন্য তারা অনেক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক আনন্দ বিরাজ করে। এভাবেই যদি আদালত প্রাঙ্গণেই শিল্পীরা দৌড়াদৌড়ি এবং রিট করে তাহলে কিছুদিন পরে আমাদের সাধারণ জনগণ পাগল ছাড়া কিছুই বলবে না। বর্তমান কমিটির এগিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পলি বলেন, নতুন কমিটি অনেক সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে শিল্পীদের কল্যাণে বেশ কিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। সেই কাজ থামিয়ে দেওয়ার জন্য এভাবে রিট করা আমি মনে করি একদমই উচিত হয়নি। নিপুণের রিটের ঘোর বিরোধিতা করছি। সঙ্গে এই অভিনেত্রী যোগ করলেন, আজ আমি পলি সৃষ্টি এই চলচ্চিত্র দিয়েই। আজ নির্বাচিত হয়েছি এই শিল্পীদের ভোটেই। শিল্পীরা টাকা ছাড়া কখনো কিছু বোঝে না আমি এটা কখনো ফিল করিনি। যেহেতু আমি পাইনি এটা নিয়ে আমি কিছু আর বলতে পারব না। ও (নিপুণ) কোন পয়েন্ট অব ভিউ থেকে বলেছে সেটা আসলে ওই ভালো বলতে পারবে। এদিন পলি কথা বলেছেন কাটপিস নিয়েও। এর আগে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তার সিনেমায় কোনো অশ্লীলতা নেই দাবি করেছেন। তবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় সুর বদল করে কাটপিসে কাজ করেছিলেন স্বীকার করে পলি বলেন, শুরুর দিকে কাটপিসের বিষয়টি জানতাম না। অনেক পরে জেনেছি। কিছু যে করিনি সেটা না। অবশ্যই করেছি। ভুলত্রুটি অবশ্যই হয়েছে। তবে বেশি কিছু করিনি। সেটা আমার দোষ না। সেটা সে সময় যারা করিয়েছেন তাদের দোষ। কাটপিসে অভিনয় করলেও সে সময় প্রতিবাদ করতে না পারার কারণ উল্লেখ করে ‘ফায়ার’ সিনেমার এই নায়িকা বলেন, যখন সিনেমায় কাজ শুরু করি তখন কিশোরী ছিলাম। বয়সে অনেক ছোট। মফস্বল থেকে এ শহরে এসেছিলাম। তখন সেভাবে আমার কোনো অভিভাবক ছিল না। ওটা ছিল সময়ের দোষ। তখন সে সময়ের সবাই কাটপিসে অভিনয় করেছে। আমি শুধু একাই করিনি। তবে যারা আমাদের দিয়ে এসব কাজ করিয়েছেন তারা কাজটি ঠিক করেনি। যদিও সে সময়ের প্রযোজকরা এখন আর চলচ্চিত্রে নেই।
‘ভিন্ন লুকে’ আলোচনায় নুসরাত ফারিয়া
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। প্রায়ই নতুন লুকের ছবি দিয়ে নেট দুনিয়ায় জয় করেন মানুষের মন। সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন তেমনই কিছু ছবি। সেখানে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার সিডনির পথে পথে হেঁটে বেড়াচ্ছেন ফারিয়া। পরনে আবেদনময়ী পিংক কালারের ফুল খচিত ড্রেস।  নিজের ফেসবুক আইডিতে ছবিগুলো শেয়ার করে তিনি একটি ক্যাপশন লিখেছেন। যার অর্থ দাঁড়ায়, সেই শেষ দিন আমি মন দিয়ে কাঁদব বলে ঠিক করলাম। সেই সকালের পর, আমি এই ফুলের মতোই ফুটেছিলাম। ছবিগুলো পোস্টের পরপরই সহকর্মী থেকে ভক্ত-অনুরাগী সবাই তার রূপের প্রশংসা করছেন। উপস্থাপক, মডেল ও অভিনেত্রী শান্তা জাহান লিখেছেন, অ্যাবসোলিউটলি স্টানিং, লাইক এ ফ্লাওয়ার। জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক ভক্ত লিখেছেন, তুমি সুহাসিনী, তুমি মায়াবতী। সুজন মাঝি নামের আরেকজন লিখেছেন, তুমি ফুলের মতো সুন্দর নুসরাত। প্রসঙ্গত, সবশেষ বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এ দেখা গেছে নুসরাত ফারিয়াকে। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমাটিতে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।