• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
সাঁতারের পোশাকে সৌদি আরবে নারীদের ফ্যাশন শো (ভিডিও)
সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন জেফার
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে গায়িকা জেফার রহমানের নতুন ইংরেজি গান ‘স্পাইসি’। এতে নার্গিস আক্তারের গাওয়া ‘সোনা বন্ধু তুই আমারে’ গানের দুই লাইন ব্যবহার করা হয়েছে। গানটি মুক্তির পরই এই অংশ নিয়ে নেটদুনিয়ায় তুমুল সমালোচিত হচ্ছেন জেফার। এবার সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন এই গায়িকা।  দেশের একটি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে জেফার বলেন, ‘যে অংশটুকু নিয়ে সমালোচনা করছেন, সেটুকু কিন্তু আমার লেখা কিংবা সুর করা নয়। লিরিকটা কিন্তু ফুয়াদ ভাইও লেখেন নাই। গানটি অনেক আগে নার্গিস নামের একজনের গাওয়া। ইউটিউবে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে। ২০০৬ সালে সেই গানটি প্রথম কানিজ সুবর্ণাকে নিয়ে করেন ফুয়াদ ভাই।’   মূলত সেই রেফারেন্সটাই ২০২৪ সালে আমার ইংরেজি গানে আনা হয়েছে। অনেকে বুঝতে পারছেন, অনেকে পারছেন না। যারা ফুয়াদ ভাইয়ের গান শোনেন, তারা বিষয়টি বুঝতে পারছেন।  গায়িকা আরও বলেন, যারা নতুন বা বয়সে ছোট, ‘তারা বুঝতে পারছে না গানের অংশটুকু রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া সেসময়ে আমাদের দেশে ইন্টারনেট এত সহজলভ্য ছিল না বিধায় তখন এত কথা হয়নি। এখন মানুষের বলার সুযোগ বেড়েছে।’   ট্রল হওয়া প্রসঙ্গে জেফার, ‘ট্রলকে কখনও পাত্তা দিই না। নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে জানি আমি। কী করতে পারি, সেটা কাজের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে প্রমাণ করে এসেছি। সামনেও কাজ দিয়েই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চাই। তাই সমালোচনা নিয়ে আমি একিদমই ভাবি না।’  গায়িকার ভাষ্য, ‘আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো এই ট্রল নিয়ে নড়েচড়ে বসতো। আমাকে এইসব ভাবায় না। আমার চেহারা যেহেতু পরিচিত, তাই সমালোচনাটা আমার ঘাড়ে পড়ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি লজ্জিত নই।’   
কানে লাল বেনারসিতে মোহনীয় রূপে ভাবনা
অর্থকষ্টেই কি এমন পদক্ষেপ নিলেন মালাইকা
এবার ডিএ তায়েবের বিরুদ্ধে মামলা করবেন নিপুণ
মোনালি ঠাকুরের মা আর নেই
বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক
তুরস্কের বেশ কয়েকটি ইসলামিক সিরিজ বাংলাদেশে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যার মধ্যে ‘কুরুলুস উসমান’ অন্যতম। নতুন খবর হলো, এই সিরিজের প্রধান চরিত্র উসমানের ভূমিকায় অভিনয় করা অভিনেতা বুরাক অ্যাজিভিট বাংলাদেশে আসছেন। আর বিষয়টি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, সালাম বাংলাদেশ, কেমন আছেন আপনারা? খুব শিগগিরই আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। জানা গেছে, একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে তিনি বাংলাদেশে আসতে যাচ্ছেন। তবে ঠিক কবে আসবেন,তা এখনো জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, উসমানী সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট উসমানের ভূমিকায় অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছেন বুরাক অ্যাজিভিট। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভক্ত-অনুসারীর সংখ্যা অনেক। 
‘আমাকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জয়’
চিত্রনায়ক শাকিব খানকে নিয়ে সমালোচনার যেন শেষ নেই। সম্প্রতি এই নায়কের সঙ্গে বিয়ের গুঞ্জনে খবরের শিরোনামে এসেছে চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতের নাম। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ডাক্তার পাত্রীকেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন শাকিব। তবে সেই পাত্রীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।  অন্যদিকে গুঞ্জন উঠেছে অভিনেত্রী ও ডাক্তার মিষ্টি জান্নাতই নাকি সেই পাত্রী। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে এই নায়িকা কথা বললেও স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি। আর এতেই চটেছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। অভিনেতার ভাষ্য, ওই মেয়ে ভাইরাল হওয়ার জন্যই শাকিবকে জড়িয়ে এসব কথা বলছেন। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।  জয়ের এমন মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ মিষ্টি জান্নাত। অভিনেত্রী বলেন, ‘জয় ভাইয়াকে দেখলাম, তিনি বলছেন- ওই যে একটা মেয়ে, শাকিব খানকে নিয়ে ভাইরাল হতে চান। তিনি একজন ডাক্তার পাশাপাশি অভিনেত্রী, যেটা মিলে গেছে। তাদের বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।’ এটা উনি কীভাবে জানল? কীভাবে বলল? এটা আমার প্রশ্ন। চিত্রনায়িকা আরও বলেন, সে বলল, ওই যে একটা মেয়ে। এটা কেন বলবে? আমি কষ্ট পেয়েছি। যদি সে সিনিয়র না হতেন, তাহলে তাকে ধরে থাপড়াতাম। তার প্রোগ্রামে গেলেও এমন করে। আমাকে অফস্ক্রিনে চুমু দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন তিনি।  আমার কাছে সেসবের ভিডিও আছে। সে অনেক নেগেটিভ কথা বলে। সে আমাকে চেনে। গত পরশুদিন আমাকে টেক্সট করে বলেছে, মিষ্টি কোথায় আছো? চলো লং ড্রাইভে যাই। অথচ, এমন একটা ভাব নিলো, সে আমাকে চেনেই না। উল্লেখ্য, মিষ্টি জান্নাত ২০১৪ সালে ‘লাভ স্টেশন’ সিনেমার মাধ্যমে শুরু করেন রুপালি পর্দার ক্যারিয়ার। এরপর নিয়মিত কাজ করেছেন সিনেমায়। অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে মিষ্টি জান্নাত একজন দন্ত্য চিকিৎসক।  
কান উৎসবে কে এই অন্তঃসত্ত্বা বাংলাদেশি তারকা
গত কয়েকবারের ন্যায় এবারও চলমান ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশি মেয়ে ও সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড মাকসুদা আখতার প্রিয়তি। তবে এবারের উপস্থিতিটা তার জন্য থাকছে বিশেষ হয়ে। মা হতে যাচ্ছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রিয়তি গণমাধ্যমকে বলেন, আয়ারল্যান্ডের রিচার্ড হ্যারিস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পক্ষ থেকে এবারও কানে এসেছি। সপ্তাহখানেক থাকব। এরমধ্যে বেশ কিছু ইভেন্ট অংশ নিতে হবে। আজকেই (১৫ মে) লালগালিচায় হাঁটব আমি। তিনি আরও বলেন, আবার মা হতে চলেছি আমি। আশা করছি, আগস্ট মাসেই নতুন অতিথি পৃথিবীর আলো দেখবে। পেটে সন্তান ধারণ করে ফেস্টিভ্যালে অংশ নেওয়ায় এটি আমার জন্য আরও বিশেষ হয়ে গেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ নির্বাচিত হন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মডেল, অভিনেত্রী ও পাইলট মাকসুদা আখতার প্রিয়তি। এরপর আন্তর্জাতিক বহু প্রতিযোগিতায় তিনি হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন। পরে ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে পান টপ মডেলের অ্যাওয়ার্ড। ইনটিগ্রিটি ম্যাগাজিন আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বিশ্বের নানা প্রান্তের মডেলরা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে ‘সেরা’র অ্যাওয়ার্ড পান প্রিয়তি। পাশাপাশি আইরিশ চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন তিনি।
নায়ক ফারুক চলে যাওয়ার এক বছর আজ
ঢাকাই সিনেমার নায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (১৫ মে)। ২০২৩ সালের আজকের এই দিনে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।   বাংলা চলচ্চিত্রের দাপুটে অভিনেতা ছিলেন ফারুক। খুব অল্প সময়েই গ্রামীণ, সামাজিক ও রোমান্টিক সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রাঙ্গনে তার অভাব অপূরণীয়।  ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। তার বাবা আজগার হোসেন পাঠান। এই নায়কের শৈশব-কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে পুরান ঢাকায়। পাঁচ বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি। স্কুলজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন ফারুক। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে যোগ দেন এবং সে সময়ে তার নামে প্রায় ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ছাত্রজীবনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পাড়া-মহল্লায় নাটকে অভিনয় করতেন তিনি।  অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান, পরিচালক এইচ আকবর এবং ফারুক নামে এক বন্ধু মিলে তার নাম দিয়েছিলেন ফারুক। অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত ফারুক। চলচ্চিত্রের মানুষের কাছে তিনি সবার প্রিয় ‘মিঞা ভাই’। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক। ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘আলোর মিছিল’ দুটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। এরপর ১৯৭৫ সালে গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ দুটি ব্যবসাসফল ও আলোচিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং সে বছর ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত ৩টি সিনেমা সূর্যগ্রহণ, মাটির মায়া ও নয়নমনি। আর এই চলচ্চিত্র ৩টি বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। ১৯৮৭ সালে ‘মিয়া ভাই’ সিনেমার সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে মিয়া ভাই হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন নায়ক ফারুক। তার অভিনীত বেশির ভাগ চলচ্চিত্রই ব্যবসা সফল হয়। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২০১৬ সালে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ অনুষ্ঠানে তাকে আজীবন সম্মাননার পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
কানে প্রথম দিনেই নজর কাড়লেন ভাবনা
ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর কানে বসেছে চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব।’ মঙ্গলবার (১৪ মে) পর্দা উঠেছে ৭৭তম এই আসরের। এই উৎসবের অভিজ্ঞতা নিতে প্রথমবারের মতো সেখানে গেছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। উৎসব প্রথম দিনেই সবার নজর কেড়েছেন তিনি।   বাংলাদেশ সময় ১২ মে রাতে কান চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনে অংশ নিতে সেখানে পৌঁছান ভাবনা। উৎসবের প্রথম দিন সিনেমা দেখেছেন তিনি। সেখানে যখন সাল দেবুসি মিলনায়তনে ‘নেপোলিয়ন’ সিনেমা উপভোগ করছিলেন, ঠিক তখনই দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেন ভাবনা। শেয়ার করেছেন ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’-এর প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা।     ভাবনার ভাষ্য, এমন মিলনায়তনে কোনো সিনেমা উপভোগ করাটা তার কাছে স্বপ্নের মতো। কোনোদিন ভাবেননি, কান চলচ্চিত্র উৎসবের মতো এত বড় আসরে যাওয়া হবে। সেখানে এবার গেলেন এবং সিনেমাও উপভোগ করছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিনেমাপ্রেমীদের সঙ্গে। এদিন গাঢ় ব্লু রঙের একটি গাওন পরেছিলেন ভাবনা। এতে রয়েছে মাল্টি রংঙের কারচুপির কাজ। গাওনটির পেছনে রয়েছে একটি আচঁল। সঙ্গে হালকা মেকআপ ও হাতে পরেছিলেন ছোট ছোট অর্নামেন্টস। এমন লুকেই ক্যামেরায় পোজ দিতে দেখা যায় ভাবনাকে।  জানা গেছে, মঙ্গলবার উৎসবের প্রথম দিন সিনেমা দেখার পাশাপাশি ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার সেশনেও অংশ নিয়েছেন তিনি। ভাবনা বলেন, ‘সত্যিই দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রথম দিন সব মিলিয়ে দারুণ কেটেছে।’ অভিনেত্রী আরও বলেন, আমার বাবা থিয়েটারের মানুষ। আমি অভিনয়শিল্পী হব, এমনটা ভাবিনি। যেন অনেকটা ‘দেখি না কী হয়’— এমনভাবেই আমার অভিনয় জগতে পা ফেলা। তবে এখন আমি একজন সু-অভিনেত্রীই হতে চাই।  মাঝেমধ্যে ভাবি, আমার অভিনয় দেখে আমাকে কি কেউ মনে রাখবে অড্রে হেপবার্নের মতো। সিংহ রাশির জাতক ভাবনার খুবই প্রিয় অভিনয়শিল্পী রোমান হলিডের অড্রে হেপবার্ন। এমনকি অভিনেত্রীর চুলের কাটেও রয়েছে সেই রাজকন্যার ছায়া।
শিল্পী সমিতির মিশা-ডিপজল কমিটি বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট
চলতি বছর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছে মিশা-ডিপজল প্যানেল। জয়ের পর নতুন কমিটি গঠনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন তারা। ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছেন মিশা-ডিপজল।  এসবের মাঝেই হঠাৎ মিশা-ডিপজল কমিটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। রিটে তাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন। এতে সভাপতি পদে মিশা ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়ে হেরে যান তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ। তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।  শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সহসভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহসাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ কমল (২৩১)। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)।   
সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় ক্ষোভ ঝাড়ল কর্তৃপক্ষ
সিনেপ্লেক্সে থেকে ‘ডেডবডি’ সিনেমা নামিয়ে দেওয়ায় নানান অভিযোগ তোলেন সিনেমা নির্মাতা এমডি ইকবাল। অন্যদিকে ‘শ্যামাকাব্য’র নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদও নানান সমস্যার কথা উল্লেখ করে নিজেই সিনেমা নামিয়ে নেন। সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় এবার ক্ষোভ ঝাড়ল প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।     গত ১৩ মে ‘তৃতীয় দশকের স্বপ্ন’ এমন শিরোনামে দেশি-ভিনদেশি সিনেমা প্রসঙ্গে রাজধানীর একটি ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। এ সময় সম্প্রতি সিনেপ্লেক্স থেকে ‘ডেডবডি’ ও ‘শ্যামাকাব্য’ সিনেমা নির্মাতাদের ক্ষোভের প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য মাহবুব রহমান। তিনি বলেন, দেশের চলচ্চিত্রের কোনো কোনো নির্মাতা অভিযোগ করেছেন সিনেপ্লেক্স বাংলাদেশের সিনেমা প্রদর্শনে প্রাধান্য দেয় না। গেল সপ্তাহে মুক্তিপ্রাপ্ত এমডি ইকবাল পরিচালিত ‘ডেডবডি’ মুক্তির দুদিন পরই সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এতে তিনি অভিযোগ করেন, সিনেপ্লেক্স বাংলা সিনেমার ভালো চায় না বলে ‘ডেডবডি’ সেখান থেকে নামিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেও সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুড়ে ইকবাল বলেছেন, ‘স্টার সিনেপ্লেক্সের নভোথিয়েটার শাখায় ডেডবডি সিনেমার একটি শো দিয়েছে। যেটির কখনো নাম শুনিনি, সেখানে আর স্টার সিনেপ্লেক্সের মিরপুর শাখায় একটি শো দিয়েছে, যার টিকিট মূল্য ৫০০ টাকা। ইকবাল দাবি করেছেন, এসব কারণে তিনি নিজেই তার ম্যানেজারকে সিনেপ্লেক্স থেকে ছবি নামিয়ে দিতে বলেছেন। নির্মাতার এমন অভিযোগে অসন্তোষ প্রকাশ করে মাহবুব রহমান বলেন, যে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে এতে সিনেপ্লেক্সের সবাই কষ্ট পেয়েছে। এখানে আমার বা সিনেপ্লেক্সের কোনো হাত নেই। আমি কোনো ব্যক্তি বা ছবির বিপক্ষে নই। ব্যবসা হলে প্রফিট সিনেপ্লেক্সের হবে। কিন্তু কোনো সিনেমা সিনেপ্লেক্সে দর্শক না দেখে, সেটা আমাদের দোষ নয়। এটা ছবি-সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা। তারা ঠিকমতো প্রমোশন করেনি, ভালোমতো সিনেমা নির্মান করতে পারেনি। অথচ প্রেস কনফারেন্স করে বলা হচ্ছে ‘সিনেপ্লেক্সকে কন্ট্রোল’ করতে হবে। বিনিয়োগ করে রিস্ক নিচ্ছি আমি, আপনারা কেন কন্ট্রোল করবেন? এখানে গডফাদার আনতে চাচ্ছে কি না, জানি না।  আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, কথাগুলো বাধ্য হয়ে বলছি, সিনেপ্লেক্সে যারা ছবি দেখেন, তারা এসব ছবি (ডেডবডি) দেখতে চান না। ভালো গল্পের আধুনিক ছবি চায়। কিন্তু সেটা না করে যা ইচ্ছা ও মানহীন সিনেমা দিয়ে যদি জোর করে বলা হয়, সিনেপ্লেক্সে দেখাতে হবে, এটা তো হবে না। ‘ডেডবডি’ চালানোর জন্য উনি (ইকবাল) আমাকে বারবার অনুরোধ করার পর সিনেমাটি প্রর্দশন করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই সিনেমা দর্শক দেখেইনি, বরং নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। আমাদের দর্শকেরা বলেছে, সিনেপ্লেক্সে এই টাইপের সিনেমা দেখতে চাই না। দর্শকরাই আমাদের কাছে রাজা। এমন কোনো সিনেমা আমরা দেখাব না যে আমাদের ব্র্যান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ‘ডেডবডি’ সিনেমা প্রসঙ্গে মাহবুব রহমান আরও বলেন, দর্শক বিশ্বাস করে এসে যে সিনেমা দেখে বিরক্ত হচ্ছে এবং ব্যবসায়িকভাবে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, স্ক্রিনিং কষ্ট উঠছে না সেই ছবি তো আমি চালাব না। এসব নিয়ে যে যতই প্রেস কনফারেন্স করুক আমার অবস্থান অনড় থাকবে। আমি সব সময় ভালো বাংলা সিনেমা পক্ষে। আমাদের ইয়াং মেধাবী পরিচালকেরা দর্শকদের চাহিদা বুঝে কিছু কিছু ভালো সিনেমা উপহার দিয়েছেন, যেমন হাওয়া, পরাণ, প্রিয়তমা, সুড়ঙ্গ, রাজকুমার।   ‘শ্যামাকাব্য’ সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিনেমাটি মুক্তির দিনেই নির্মাতা অভিযোগ করেন, সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি ব্রাঞ্চে ৩ নম্বর হলে যে স্ক্রিনে তার সিনেমা দেখাচ্ছে, সেখানে সিনেমা দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছেন দর্শক। স্ক্রিন ঘোলাসহ নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। এ কারণে তিনি সিনেপ্লেক্স থেকে সিনেমা নামিয়ে নেন।  বসুন্ধরাতে পাঁচটি স্ক্রিন রয়েছে। রিসেন্ট ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে যে স্ক্রিনে সমস্যা আছে, সেটা ঠিক করা সম্ভব হয়নি। অপেক্ষা করছি, নতুন চুক্তি হওয়ার পর স্ক্রিনসহ বাকি যা আছে সেগুলো ঠিক করব। উনি (বদরুল আনাম সৌদ) ঠিক বলেছেন। ওই হলে আমাদের প্রজেকশনে একটু সমস্যা ছিল। ওনার ছবিটি যেহেতু ডার্ক, তিনি স্ক্রিন চেঞ্জ করতে আমাকে পারসোনালি বলতে পারতেন। আমি রিপ্লেস করে দিতে পারতাম। কিন্তু তারা সিনেপ্লেক্সের লবিতে দাঁড়িয়ে আমাদের অপবাদ দিয়েছে, সেটা মোটেও কাম্য নয়।   মাহবুব রহমান বলেন, সিনেমা ভালো-মন্দ তা বলব না, তবে দর্শক সেভাবে ছিল না। ভালো সিনেমা বলতে দর্শক ঈদের পর এখনো সিনেপ্লেক্সে ‘রাজকুমার’ চলছে এবং দর্শক পছন্দ করায় আমরা চালাচ্ছি। দর্শক কম থাকায় নামিয়ে দেওয়ার পর আবার দর্শকেরা চাচ্ছে বলে ‘কাজলরেখা’ দেখাচ্ছি। আমি সাপ্লাই ডিমান্ডে বিশ্বাস করি। দর্শক যেটা চাইবে আমি সেটা দেখাব। এতে ব্লেম করলে মানব না।