• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
আমদানির ২২ হাজার টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে
নিজের সম্পদের হিসাব তুলে ধরে যা বললেন প্রেস সচিব শফিকুল
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখার লক্ষ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তার আগেই ফেসবুকে নিজের সম্পদের বিবরণী তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক পোস্টের মাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এ বিবরণী তুলে ধরেন। শফিকুল আলম লিখেছেন, ২০০০ সালের দিকে আমার বাবা ঢাকা শহরের নিম্নমধ্যবিত্ত এলাকা ডেমরার কাছে জুরাইন এবং যাত্রাবাড়ীর মধ্যবর্তী দনিয়া এলাকায় পাঁচতলা একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন নির্মাণ করেন। সেই ভবনের একটি ১১৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট আমি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি। ২০১০ সালে দনিয়া ছেড়ে চলে এলেও এখনও সেই ফ্ল্যাট আমার মালিকানায় আছে। একসময় আমি সেটি আমার এক ভাইয়ের কাছে বিক্রি করার কথা ভেবেছিলাম, যিনি এখনও সেখানে থাকেন। তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি।  তিনি আরও লিখেছেন, জীবনের এক পর্যায়ে হয়তো আবার দনিয়ায় ফিরে যাব। বাবা-মায়ের বাড়িতে গেলে আমি এখনও সেই সরু করিডোরগুলোতে তাদের হাঁটতে দেখি। আমার প্রয়াত বাবার কোরআন তেলাওয়াতের শব্দ শুনি, মা যেভাবে বিনয়ের সঙ্গে সালাত আদায় করতেন তা-ও যেন দেখতে পাই। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লিখেছেন, ২০১৪ সালে আমি শাহীনবাগে ১১০০ বর্গফুটের একটি তিন বেডরুমের ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। ভাই এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন কিছু টাকা দিয়েছিলেন, আর বাকিটা আমার সঞ্চয় থেকে দিয়েছিলাম। আমি জায়গাটি ভালোবাসি। তবে নিরাপত্তার কারণে হয়তো খুব শিগগিরই এই ফ্ল্যাট ছেড়ে যেতে হবে। সম্প্রতি দেখছি, আমাদের এলাকার মসজিদের ভিক্ষুকরাও আমাকে চেনেন। কিছুদিন আগে কয়েকজন তরুণ আমাকে তাদের আড্ডার সামনে দিয়ে হাঁটার সময় ‘গণশত্রু’ বলে ডেকেছিল। এ কারণে আমাকে হয়তো শিগগিরই সরকারি একটি ফ্ল্যাটে চলে যেতে হবে। আমার পরিবার এই নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত। তিনি লিখেছেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে আমি আমার এক শ্যালকের কাছ থেকে ময়মনসিংহে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। খুব সস্তায় পেয়েছিলাম সেটি। একই ভবনে আমার স্ত্রী তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এই দুটি ফ্ল্যাট আমাদের জন্য মাসিক আয়ের একটি উৎস। এ ছাড়া গ্রামে আমার ৪০ শতাংশ আবাদি জমি আছে। বহু বছর ধরে একটা ভ্রান্ত ধারণায় ভুগেছি যে, অবসরে গ্রামে ফিরে যাব। শুধু লিখব আর হাঁটব—এটাই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু এখন মনে হয়, গ্রামে আর কখনও ফিরে যাওয়া হবে না। হয়তো আমি মরে গেলে আমার সন্তানরা আমাকে বাবা-মায়ের পাশেই কবর দেবে। শফিকুল আলম আরও লিখেছেন, আমার একটি মাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে, যেখানে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা (১১.৪ মিলিয়ন টাকা) সঞ্চিত আছে। এই আগস্টে আমি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপিতে দুই দশকের চাকরি ছেড়েছি। অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থের বেশিরভাগই আমার এএফপির চাকরির পেনশন এবং গ্র্যাচুইটির। কিছু মানুষ আমার কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ধার নিয়েছে। আমার ধারণা, বছরের শেষে আমার সঞ্চয় হয় অপরিবর্তিত থাকবে, নয়তো খরচের কারণে কমে যাবে। আমার একটি গাড়ি আছে। ঢাকা শহরে একটি গাড়ি পরিচালনা এবং ড্রাইভার রাখার মাসিক খরচ প্রায় ৫০ হাজার টাকা। সবশেষে প্রধান উপদেষ্টার এই প্রেস সচিব লিখেছেন, আমি জানি না প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ শেষ করার পর আমার ভাগ্য কোথায় নিয়ে যাবে। তবে নিশ্চিত জানি, এই সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কোনো কাজ না পেলেও আমি মধ্যবিত্তের মতোই সাধারণ জীবনযাপন করতে পারব। ক্ষমতায় থাকলে অনেকেই আপনার উপার্জন নিয়ে মিথ্যা রটায়। এটাই আমার পূর্ণাঙ্গ সম্পত্তির প্রকাশ। আরটিভি/আইএম/এস
হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ৭৭ ব্যাংক হিসাব জব্দ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন / ‘আওয়ামী কায়দায় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা কাম্য নয়’
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
ভারত-পাকিস্তান থেকে এক লাখ টন চাল কিনবে সরকার
ট্রাম্পের অভিষেকে যোগ দেবেন বাংলাদেশের দূত
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে শপথ নেবেন। তার এই শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ কথা জানান। তিনি বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম অংশগ্রহণ করবেন। তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের যে ঐতিহ্য আছে, সেখানে বিদেশি মিশন প্রধান যারা আছেন তারা সবসময় দাওয়াত পান এবং এবারও সেই একই ঐতিহ্য অনুসরণ করা হচ্ছে। আমাদের কাছে যে চিঠি আছে সেখানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি মিশনের প্রধান যারা আছেন তারা ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত।  প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। আরটিভি/এফএ-টি
শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সরানো হয়েছে সেই দুই নিরাপত্তাকর্মীকে
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নরওয়ে প্রবাসী যাত্রী সাঈদ উদ্দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় দুই নিরাপত্তাকর্মীকে বিমানবন্দরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বেবিচক কার্যালয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের অগ্রগতি নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। তিনি বলেন, এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তারা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করেছে। তদন্তের ভিত্তিতে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে (বাহিনীতে)। আরও তদন্ত হবে। মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, নিরাপত্তাকর্মীরা যথেষ্ট পোলাইট (নম্র) ছিল, তবে তাদের আরও পোলাইট হতে হবে। যাত্রীদেরও আরও সহনশীল আচরণ করতে হবে। উল্লেখ্য, সেই দুই নিরাপত্তাকর্মীর নাম-পরিচয় জানানো হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে বেবিচক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, সিলেট বিমান, কক্সবাজার বিমানবন্দর, যশোর বিমানবন্দর, বগুড়ার আংশিক চলমান বিমানবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের চলমান প্রকল্প নিয়েও কথা বলেন। সিলেট বিমানবন্দর বাদে চলমান সব প্রকল্পের কাজ এ বছরই শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি। আরটিভি/এমএ-টি  
নির্দেশনা না মেনে ফেসবুকে পোস্ট, সরকারি চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ
নির্দেশনা ও বিধিমালা না মেনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ অনুযায়ী পরিহারযোগ্য বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। তারা বিভিন্ন ডকুমেন্টস শেয়ার করছেন এবং ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারকে বিব্রত করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন, যা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সার্ভিস রুলস পরিপন্থি ও অগ্রহণযোগ্য আচরণ। দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। অনেক ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর এবং সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণের পর্যায়ভুক্ত অপরাধ। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ধরনের বিভিন্ন ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হওয়ায় রেগুলেটরি মন্ত্রণালয় হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।   চিঠিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকার সুষ্ঠু ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ ধরনের প্রতিটি ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ এবং ‘সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮’ অনুসারে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আরটিভি/এসএপি-টি
সাগর-রুনি হত্যা / সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউলকে ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন মামলা তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ও পিবিআইপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামাল। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান সাগর-রুনির বাসায় গিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, সেদিন সকাল ৮টার দিকে ওই বাসায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। তখন সাগর-রুনি হত্যা মামলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জিয়াউল আহসানকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। বুধবার এসব বিষয়ে জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ড নিয়ে জিয়াউল আহসান কিছু জানেন কি না, সে বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে তার কোনো বক্তব্য আছে কি না, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পিবিআই সূত্র জানায়, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা বুধবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলগেটে যান। সেখানে জিয়াউল আহসানকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে গত সোমবার বিএফইউজের (বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন) সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে রাজধানীর পিবিআই কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। সাগর ছিলেন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক এবং রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। হত্যার ঘটনায় বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছিলেন রুনির ভাই নওশের আলম।  প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ এই মামলা তদন্ত করেছিল। চার দিন পর মামলার তদন্তভার হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে। পরে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর র‍্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।  ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর র‍্যাবের হাত থেকে ওই মামলা তদন্তের দায়িত্ব বুঝে নেয় পিবিআই। এর আগে একই বছরের ২৩ অক্টোবর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সকে এই হত্যা মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে এবং হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। আরটিভি/এফএ
ঐক্য নষ্টের আশঙ্কায় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে মানা করেছিলেন ড. ইউনূস
ঐক্য নষ্টের আশঙ্কায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে মানা করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরির লক্ষ্যে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় ঐক্যের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মাঝে একদিন ছাত্ররা এসে বললো আমার উপস্থিতে তারা একটা ঘোষণা দেবে, প্রক্লেমেশন করবে। তখন এ বিষয়ে আমি বুঝতে চাইলাম। তাদের কাছ থেকে শুনে আমি বললাম, এটা হবে না। এটা আমার চাওয়াটাও ঠিক হবে না, তোমাদেরও করাটা ঠিক হবে না। তোমরা যদি ৫ অগাস্ট ফিরে যেতে চাও, তাহলে সেদিনের পরিপ্রেক্ষিতে যা হয়েছিল, সেটা রিক্রিয়েট করতে হবে। এটা একা করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘সেদিনের দিনের পুরো অনুভূতিই ছিল এক হওয়ার অনুভূতি। কেউ বলেনি, তুমি অমুক, তুমি তমুক। কাজেই তোমরা যদি করতে চাও, স্পষ্ট সবাইকে নিয়ে করতে হবে। তাছাড়া করাটা ঠিক হবে না। তোমরা ৫ আগস্ট যে একতা দিয়ে সৃষ্টি করেছিলে, সেটার অবমাননা হবে।’ ড. ইউনূস বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে করতে না পারলে উদ্দেশ্যে ব্যাহত হবে। ঐক্যের মাধ্যমে করলে সবার মনে সাহস আসবে। সবাই ভাববে আমরা এখনও জেগে আছি। আমরা ভোতা হয়ে যায়নি। আমরা জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ আছি। আমি যতদিন আছি, একতা নিয়েই থাকব। কাজেই সেই পথেই আমাদের চলতে হবে।’ রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যখন নিজেরা নিজেরা কাজ করি, তখন একটু দুর্বল মনে করি। আবার যখন সবাই একসঙ্গে কাজ করি তখন মনের মধ্যে সাহস বাড়ে, একতাবদ্ধভাবে আছি। আপনাদের সঙ্গে দেখা হলে, বসতে পারলে খুব ভালো লাগে, মনে সাহস পাই।’ আরটিভি/এসএপি-টি
যা আছে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের খসড়ায় 
আলোচিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ঘোষণাপত্রের খসড়ায় বর্তমান সংবিধান সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিল করার কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারাও বৈঠকে অংশ নেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ঘোষণাপত্রের খসড়ায় তুলে ধরা হয় এই ভূখণ্ডের মানুষের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যুগের পর যুগ সংগ্রামের প্রসঙ্গ। এ ছাড়া পাকিস্তান আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জন, ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কথাও খসড়ায় তুলে ধরা হয়। এরপর বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে কীভাবে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণবিক্ষোভ গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয় ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান, সে প্রসঙ্গও রয়েছে। খসড়ায় বলা হয়, আমরা, ছাত্র-জনতা সেই অভিপ্রায়বলে আত্মমর্যাদা, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচারের যে আদর্শে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে, সেই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য সার্বভৌম জনগোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের সংগঠিত করলাম। আমরা, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি এবং ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও অখণ্ডতা রক্ষার্থে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানালাম। আমরা সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পুনরাবৃত্তি রোধ নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করবে, এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করলাম। আমরা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারকে লালন করার দলিল ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিল করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলাম। আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংগঠিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুটপাটের অপরাধগুলোর উপযুক্ত বিচার করা হবে, এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করলাম। আমরা এই ঘোষণা করলাম যে, ১৯৭২ এবং ১/১১ কালের রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য আমাদের একটি নতুন জনতন্ত্র (রিপাবলিক) প্রয়োজন, যা রাষ্ট্রে সকল ধরনের নিপীড়ন, শোষণ ও বৈষম্যর অবসান ঘটাবে এবং এ দেশের তরুণসমাজের প্রত্যাশাকে ধারণ করতে পারবে। আমরা এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করলাম যে এই ঘোষণাপত্রকে উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তখন এই ঘোষণাপত্র নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা তৈরি হয়। পরে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।  এ ঘটনার পরে ওই রাতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি বৈঠক করে ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ নামে কর্মসূচি ঘোষণা করে। ওই কর্মসূচি থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। আরটিভি/এফএ-টি
ঘোষণাপত্র তৈরিতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দলগুলো: আইন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র তৈরিতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে এ কথা জানান আসিফ নজরুল।  আইন উপদেষ্টা বলেন, ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনোরকম দূরত্ব হয়নি। দরকার হলে এটি নিয়ে একটি কমিটি করা হবে। দরকার হলে সেই কমিটি আবারও সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করবে।  এর আগে, এদিন বিকেল ৪টার পর ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-(এলডিপি) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল। তখন এনিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা তৈরি হয়। পরে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের ওপর একটি সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করবে। আরটিভি/এসএপি