গত আট দশক ধরে নির্বাসন ও প্রত্যাবাসনের চক্রে আটকা পড়ে আছে রোহিঙ্গারা। সবশেষ যে আশার আলো দেখা গিয়েছিল তা-ও নতুন বাস্তবতায় ফিকে হতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক কূটচালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হচ্ছে না।
তথ্যমতে, বাংলাদেশ থেকে আট লাখ ২৯ হাজার ৩৬ জন রোহিঙ্গার তালিকা ২০১৮ সালেই পাঠানো হয়েছে। এরপর মিয়ানমার সরকার এক লাখ ৮০ হাজারের ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করে ফেরত নেওয়ার কথা জানায়। কিন্তু প্রত্যাবাসন নিয়ে ২০১৮, ১৯ ও ২৩ সালের উদ্যোগ ভেস্তে যায়।
সবশেষ ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে মিয়ানমার সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের সাথে প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হলেও এর কোনো সুরহা হয়নি।
প্রত্যাবসন নিয়ে কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, মিয়ারমার সরকার যে এক লাখ ৮০ হাজারে রোহিঙ্গা নেবে বলেছে- এটাই অগ্রগতি, এর বাহিরে আর কোনো প্রক্রিয়া অগ্রসর হয়নি। তাদের তরফ থেকেও আর কোনো প্রক্রিয়া দেখা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনে মিয়ানমান কখনও আগ্রহ দেখায়নি। তাদের কোনো সৎ মনোভাব নেই। এটি তাদের রাজনৈতিক কূট কৌশল। রোহিঙ্গাদের জন্য আস্থার জায়াগ তৈরি করতে না পারায় বাংলাদেশের চেষ্টার পরও প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধানের মাধ্যম।
আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের নাগরিক মনে করছে না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হলে এটি পৃথিবীর প্রথম ঘটনা হবে। এটি পাহাড় সমান একটি কঠিন কাজ।
আরটিভি/আরএ/এস